সিলেট থেকে ঢাকায় আসলেই প্রথমে যা মনে হয়, তা হল এই দেশে থাকা যাবে না। এতো মানুষ এই দেশে। ১৯৭৪ এর আদমশুমারিতে প্রতি মায়ের গড়ে সন্তান দেখানো হয়েছিল ৬.৭ জন করে, যা ২০১১ এর আদমশুমারিতে নেমে আসছে ২ এর ঘরে। তারপরেও র্যাপিড গতিতে জনসংখ্যা বাড়ছেই।
অনেকেই এর জন্য মূলত আমাদের দাদা-নানাদের জেনারেশনকে দায়ী করেন। হ্যাঁ, তাঁরা অবশ্যই দায় এড়াতে পারেন না। আমার নিজের দাদা-দাদির ঘরে ১৭ জন ছেলে-মেয়ে হয়েছিল, যাদের মধ্যে ৮ জন এই মুহূর্তে বেঁচে আছেন। এই কাহিনী বাংলাদেশের প্রায় সব পরিবারেরই।
কিন্তু তাদের পরের জেনারেশনের কি দায় নাই? বাংলাদেশের ৯০% দম্পতি বিয়ের ১ম বছরেই বাচ্চা নেয়। আর বাচ্চা নেয়ার কারণগুলোও অদ্ভুত-
১। আত্মীয়স্বজন,পাড়া-প্রতিবেশি বাচ্চা নেয়ার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে।
২।প্রবাসিরা কয়েক মাসের ছুটি নিয়ে এসে বিয়ে করে যাওয়ার সময় বাচ্চা ধরায়ে দিয়ে যায় এই চিন্তা করে যে বউ তাহলে বাচ্চা নিয়ে ব্যস্ত থাকবে( সোজা বাংলায় 'পরকিয়া' করার টাইম পাবেনা)।
৩।পরিবারের অমতে বিয়ে করসে, তাই মা-বাবাকে খুশি করতে হবে।
৪।এই কারণটা এখন খুব মার্কেট পাইসে...... অনিয়ন্ত্রিত যৌনকর্ম করতে গিয়ে প্রেমিক তার প্রেমিকাকে গর্বিত(!) বানায়া ফেলসে, এখন বাচ্চার সামাজিক স্বীকৃতি দরকার বলেই বিয়েটা করা।
and the list goes on.........
আল্লাহ যেন বাঙ্গালীদের মাথায় সুবুদ্ধি দেন নয়তো প্রজননক্ষমতা কমায়ে দেন।আমিন।।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৪