somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল
পাঠক ছিলাম, লেখক হলাম। পড়ব বেশী, লিখব কম। পছন্দের বিষয় প্রকৃতি, জীবন ও দর্শন। ভালোলাগে প্রবন্ধ ও সম্পাদকীয়। প্রতীক্ষায় আছি একদল বিচক্ষণ লেখকের। যারা সমাজের সমস্যাগুলো বুঝবে, তা নিয়ে ভাববে ও লিখবে। যে লেখায় মানুষ হবে সচেতন, দেশের হবে উন্নয়ন।।জয় বাংলা।।

★ গণবিধ্বংসী অস্ত্র (রাসায়নিক অস্ত্র ও জ্বীবাণু অস্ত্র)।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

উত্তর কোরিয়ার একটি রাসায়নিক পরীক্ষাগার।

মনে করুন, বাসায় গিন্নী নেই।
আপনার ইচ্ছে হল সরিষার তেল, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, চনাচুর দিয়ে সুন্দর করে মুড়ি মেখে খাবেন। উপকরন সব রেডি, কিন্তু পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে চোখের জলে- নাকের জলে একাকার! এটা আর কিছু না রসায়নের কারসাজি। আবার পুরাতন কুয়া বা সেপটি ট্যাঙ্কে ঢুকে মানুষের মৃত্যুর খবর প্রায়ই শেনা যায়। অথবা ভুপালের সেই দুর্ঘটনা। কিংবা কয়েক দিন আগে শাহবাগে পুলিশের কাঁদানে গ্যাস বা টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করা। মনে আছে??


গণবিধ্বংসী অস্ত্র (Weapon of mass destruction - WMD):
এগুলো এমন অস্ত্র, যা অনেক মানুষকে মেরে ফেলার ক্ষমতা রাখে। যা প্রকৃতি, মনুষ্য নির্মিত (দালান) বা প্রাকৃতিক (পাহাড়) কাঠামোর বিপুল ক্ষতি সাধন করে। যেমনঃ রাসায়নিক অস্ত্র, পারমাণবিক অস্ত্র, জৈবিক অস্ত্র ইত্যাদি।

★★★রাসায়নিক অস্ত্রঃ
নাম থেকেই বুঝা যাচ্ছে, এটা কি। পর্যায় সারণীতে যে মৌলগুলো আছে, সেগুলো জোড়াতালি দিয়ে এটা তৈরী করা হয়। মানবদেহ তথা প্রাণিদেহের জন্য অতিমাত্রায় ক্ষতিকর, এমন রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে তৈরি অস্ত্রই হলো রাসায়নিক অস্ত্র। যেমনঃ সারিন গ্যাস, ভি-এক্স নার্ভ এজেন্ট, ক্লোরিন, জিবি, মাস্টার্ড, টিয়ার গ্যাস বা কাঁদানে গ্যাস (আমাদের দেশে হরতালে ব্যবহার করা হয়)।

১. সারিন গ্যাসঃ
এটি সেই গ্যাস যাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়া উত্তাল। যেটা সিরিয়াতে প্রয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। যেটা মানবদেহকে আক্রান্ত করার জন্য সবচেয়ে কুখ্যাত নার্ভ এজেন্ট। আচ্ছা, এটা আসলে কী??

জাতিসংঘ ঘোষিত ডব্লিউ-এম- ডি (WMD = Weapons of Mass Destruction) এর মতে, সারিন হলঃ

অরগানো-ফসফরাস যৌগ। এটি একটি নার্ভ এজেন্ট। যা স্বাদহীন, বর্নহীন ,গন্ধহীন ও স্বচ্ছ তরল(উদ্বায়ী)। যার কারণে মানুষ হামলা হওয়ার সাথে সাথে বুঝতে পারেনা । এর রাসায়নিক নাম হল আইসোপ্রোপাইল-মিথাইল ফসফোনো ফ্লোরিডেট। এটি বাতাসের চেয়েও ভারী এবং একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যাক্তিকে মারার জন্য এক ফোটা সারিনই যথেষ্ট।(কপি)

২. ভিএক্স নার্ভ এজেন্টঃ
২০১৭ সালে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সৎ-ভাই, কিং জং-ন্যামকে এই রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করে হত্যা করা হয় । এটি তৈলাক্ত পদার্থ এবং অত্যন্ত শক্তিশালী এজেন্ট নার্ভ এজেন্ট। এর এক গ্রামের একশ ভাগের এক ভাগও; অর্থাৎ ভিএক্স-এর একটি ছোট্ট ফোঁটাও মানুষের চামড়ার ওপর পড়লে, তা কয়েক মিনিটের মধ্যে মৃত্যু ঘটাতে পারে।

গ্যাস মাস্ক ও নিরাপত্তা পোষাক পরিহিত এক সৈনিক। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের মুভিতে দেখতে পাবেন।।

★★★জীবাণু অস্ত্র বা বায়োলজিক্যাল উইপনঃ
বায়োলজিক্যাল এজেন্ট (জীবাণু অস্ত্র) হলো একটি বিশেষ ধরনের অণুজীব, যা যুদ্ধ ক্ষেত্রে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অণুজীবগুলোকে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে জেনেটিক্যালি বদলে ফেলে স্বাভাবিক কার্যক্ষমতার থেকে কয়েক'শ গুণ বেশি কর্মক্ষম করে তোলা হয়। এই জীবাণুগুলো বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি করে শত্রুদের নির্বংশ করে। যেমনঃ অ্যানথ্রাক্স জীবাণু, র ্যাবিট ফিভার, প্লেগ, টাইফাস, গুটিবসন্তের জীবানু সহ আরো অনেক ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়া।


এত কিছু থাকতে রাসায়নিক অস্ত্র কেন?
এক কথায় উত্তরঃ লাখ টাকা দিয়ে স্নাইপার রাইফেল কিনে সারাদিনে দু-চার জনকে মারার চেয়ে, কয়েক হাজার টাকা খরচ করে কয়েক মিনিটের মধে হাজারো শত্রুকে নির্বংশ করার জন্য।

চোরের মায়ের বড় গলাঃ
সিরিয়ার ঘটনা নিয়ে আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন খুব লাফাচ্ছে। রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা যাবে না, ভালো কথা। ক্ষেপনাস্ত্র, মিসাইল, বন্দুক, বোমা ওগুলো কি নিষ্পাপ শিশু???X( রাসায়নিক অস্ত্রের সূচনা করেছে হারামি জার্মানি। এরপর নানা সময়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান, রাশিয়া, ইরাক বা হালের সিরিয়া তা ব্যবহার করেছে। মানবতা লঙ্ঘিত হয়েছে কিন্তু যুদ্ধ থামেনি। কসাইদের কাছে মানবতা কীসের???


সারমর্মঃ
১. রাসায়নিক হামলার কারনে অস্ত্রের রপ্তানিতে ভাটা পড়েছে, তাই মোড়লদের এত ----
২. যুদ্ধ নয় শান্তি চাই। কসাইরা নিপাত যাক্, মানবতা মুক্তি পাক।


অথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া + বই + নেট।
ছবিঃ একটাও আমার নয় (নেট)।
/
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৪৯
১৯টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×