somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কাশ্মীরের জন্য ভালো সুযোগ সৃষ্টি করেছে মোদী, হাউকাউ না করে এই সুযোগের সৎ ব্যবহার করা উচিত কাশ্মীরীদের।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


৭২ বছর ধরে নরেন্দ্র মোদি ছাড়া ভারতের বাকি ১৩ প্রধানমন্ত্রীর এই সাহস ছিল না তাদের সংবিধানের 370 ও 35A ধারাটি বাতিল করার। অথবা নিজেদের স্বার্থের কথা ভেবে এইটা নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি।
সারা ভারতের ট্যাক্সের টাকার চরম অপচয় হয়ে আসছিল কাশ্মিরীদের পিছনে। ২০১৮ সালে প্রতি ভারতীয়দের পিছনে কেন্দ্র সরকার খরচ করে ৮হাজার ২শ রুপির মত আর এক কাশ্মীরীদের পিছনে ব্যয় করে ২৭হাজার ৩শ রুপির বেশি। সারা ভারতের মোট জনসংখ্যার ১ ভাগ এই জম্মু, কাশ্মীরে অথচ মোট জিডিপি'র ১০ ভাগ ব্যয় হয় কাশ্মীরে। অন্যদিকে উত্তর প্রদেশ ভারতের মোট জিডিপির ১৩ ভাগ যোগান দেয় এবং সেখানে জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার ১০ ভাগ। আর এই উত্তর প্রদেশে ভারতের মোট জিডিপি'র মাত্র ৮ ভাগ ব্যয় হয়। অথচ বাকি ভারতীয়রা কাশ্মীরে কোন জমি কিনতে পারতো না, সরাসরি ব্যবসা করতে পারতো না এবং স্থায়ী বাসিন্দা হতে পারতো না। অন্যসব কারন বাদ দিলেও ভারতীয়দের ভিতর এসবের জন্য একটা ইগো তৈরি হয়।
370 আর 35A ধারাটি কাশ্মীরকে মূল ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল। যদিও এমন সুবিধা ভারতের আরো কিছু পাহাড়ি রাজ্যে আছে কিন্তু কাশ্মীরের ব্যাপারটি ভিন্ন। এত ইনভেস্টমেন্টের পরেও কাশ্মীর ভারতের একটি অন্যতম গরীব প্রদেশ। ভারতীয়রা মনে করতো পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা এদের অর্থের যোগান দিতো, সেই অর্থ দিয়ে এরা জঙ্গি কার্যক্রম চালাতো। আসলে আগে এমন করলেও এখন পাকিস্তানের অর্থনীতির যা অবস্থা তাতে এত অর্থের যোগান দিতে পারছে না এটা ভারতের কেন্দ্র সরকার বুঝে ফেলেছে।
কেন্দ্র সরকার থেকে পাওয়া অনুদান সাধারণ কাশ্মিরীদের উন্নয়নে ব্যয় হচ্ছে না, এই টাকার বৃহৎ একটা অংশ চলে যায় এখানকার দুইটি পরিবার শেখ আব্দুল্লাহ আর মুফতি পরিবারের কাছে। কাশ্মীরের সব বড়বড় ব্যবসা এই পরিবার গুলোর দখলে এবং এরা জঙ্গি আর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জিইয়ে রাখার জন্য দেদারসে খরচ করে। কেননা এই জঙ্গি আর বিচ্ছিন্নতাবাদীর ভয় দেখিয়ে কেন্দ্র সরকারকে ব্ল্যাকমেইল করে আসছে আর রাজনৈতিক ফায়দা লুটে নিচ্ছে। মোদি সরকারের হাতে এখন বেশ ক্ষমতা এবং নির্বাচনের আগে এমন একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেটার বাস্তবায়ন সাংবিধানিক ভাবেই করেছে।
এখন সাধারণ কাশ্মিরীদের উচিত হবে এই দুই মাফিয়া পরিবার থেকে বের হয়ে ভারতের সাথে মিশে যাওয়া।
আর মোদী সরকারের উচিত হবে কাশ্মিরের জন্য আরো টেকসই উন্নয়নের ব্যবস্থা নেওয়া। ভারতের অন্য প্রদেশের হিন্দুরা এখন এখানে এসে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করবে, তাদের ৭২ বছরের ক্ষোভ মেটানোর উপায় খুঁজবে। এগুলো শক্ত হাতে দমন করতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৬
২৪টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×