৭২ বছর ধরে নরেন্দ্র মোদি ছাড়া ভারতের বাকি ১৩ প্রধানমন্ত্রীর এই সাহস ছিল না তাদের সংবিধানের 370 ও 35A ধারাটি বাতিল করার। অথবা নিজেদের স্বার্থের কথা ভেবে এইটা নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি।
সারা ভারতের ট্যাক্সের টাকার চরম অপচয় হয়ে আসছিল কাশ্মিরীদের পিছনে। ২০১৮ সালে প্রতি ভারতীয়দের পিছনে কেন্দ্র সরকার খরচ করে ৮হাজার ২শ রুপির মত আর এক কাশ্মীরীদের পিছনে ব্যয় করে ২৭হাজার ৩শ রুপির বেশি। সারা ভারতের মোট জনসংখ্যার ১ ভাগ এই জম্মু, কাশ্মীরে অথচ মোট জিডিপি'র ১০ ভাগ ব্যয় হয় কাশ্মীরে। অন্যদিকে উত্তর প্রদেশ ভারতের মোট জিডিপির ১৩ ভাগ যোগান দেয় এবং সেখানে জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার ১০ ভাগ। আর এই উত্তর প্রদেশে ভারতের মোট জিডিপি'র মাত্র ৮ ভাগ ব্যয় হয়। অথচ বাকি ভারতীয়রা কাশ্মীরে কোন জমি কিনতে পারতো না, সরাসরি ব্যবসা করতে পারতো না এবং স্থায়ী বাসিন্দা হতে পারতো না। অন্যসব কারন বাদ দিলেও ভারতীয়দের ভিতর এসবের জন্য একটা ইগো তৈরি হয়।
370 আর 35A ধারাটি কাশ্মীরকে মূল ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল। যদিও এমন সুবিধা ভারতের আরো কিছু পাহাড়ি রাজ্যে আছে কিন্তু কাশ্মীরের ব্যাপারটি ভিন্ন। এত ইনভেস্টমেন্টের পরেও কাশ্মীর ভারতের একটি অন্যতম গরীব প্রদেশ। ভারতীয়রা মনে করতো পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা এদের অর্থের যোগান দিতো, সেই অর্থ দিয়ে এরা জঙ্গি কার্যক্রম চালাতো। আসলে আগে এমন করলেও এখন পাকিস্তানের অর্থনীতির যা অবস্থা তাতে এত অর্থের যোগান দিতে পারছে না এটা ভারতের কেন্দ্র সরকার বুঝে ফেলেছে।
কেন্দ্র সরকার থেকে পাওয়া অনুদান সাধারণ কাশ্মিরীদের উন্নয়নে ব্যয় হচ্ছে না, এই টাকার বৃহৎ একটা অংশ চলে যায় এখানকার দুইটি পরিবার শেখ আব্দুল্লাহ আর মুফতি পরিবারের কাছে। কাশ্মীরের সব বড়বড় ব্যবসা এই পরিবার গুলোর দখলে এবং এরা জঙ্গি আর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জিইয়ে রাখার জন্য দেদারসে খরচ করে। কেননা এই জঙ্গি আর বিচ্ছিন্নতাবাদীর ভয় দেখিয়ে কেন্দ্র সরকারকে ব্ল্যাকমেইল করে আসছে আর রাজনৈতিক ফায়দা লুটে নিচ্ছে। মোদি সরকারের হাতে এখন বেশ ক্ষমতা এবং নির্বাচনের আগে এমন একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেটার বাস্তবায়ন সাংবিধানিক ভাবেই করেছে।
এখন সাধারণ কাশ্মিরীদের উচিত হবে এই দুই মাফিয়া পরিবার থেকে বের হয়ে ভারতের সাথে মিশে যাওয়া।
আর মোদী সরকারের উচিত হবে কাশ্মিরের জন্য আরো টেকসই উন্নয়নের ব্যবস্থা নেওয়া। ভারতের অন্য প্রদেশের হিন্দুরা এখন এখানে এসে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করবে, তাদের ৭২ বছরের ক্ষোভ মেটানোর উপায় খুঁজবে। এগুলো শক্ত হাতে দমন করতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৬