মানুষের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা পর্যাপ্ত নেই তবে আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। রাজনীতিবিদরা কিছু উল্টোপাল্টা বললে সেগুলি নিয়ে কথা হয়, তাদের ভুল হলে সেটা ধরিয়ে দিতে চায় অথবা ট্রল করা হয়। তবে রাজনীতিবিদদের এখনো বুঝের মধ্যে আসেনি যে দেশের একটা শ্রেণীর মাঝে রাজনৈতিক সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকা সিটি নির্বাচনে তারেক রহমান তার দল থেকে মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার ছেলেকে মনোনয়ন দিয়েছে। সে নির্বাচনী প্রচারণা খুব জোরেশোরে চালাচ্ছে বা চালানোর সুযোগ পাচ্ছে, এটা ভালো খবর। কিন্তু প্রচারণা চালাতে গিয়ে সে বলছে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তাদের জিততে দেবেনা তাই এই নির্বাচনকে তারা রাজনৈতিক আন্দোলন হিসেবে দেখছে এবং নির্বাচনে জিততে পারলে বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য চেষ্টা করবে।
একজন নগরপিতার কাজ বেগম জিয়াকে মুক্ত করা? সিটি নির্বাচনে জিতলে বেগম জিয়াকে তার কি দরকার হতে পারে, কে জানে? সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর বানাবে হয়তো? আসলে তার দোষ নেই, মনোনয়ন দেওয়ার আগেই মির্জা ফখরুল বলেছে এই নির্বাচনে সরকার কারচুপি করবে, তাদেরকে জিততে দিবে না তাই তারা নির্বাচনটাকে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন হিসেবে নিয়েছে।
ঢাকা শহর বিশ্বের মধ্যে বসবাসযোগ্য শহরের ভিতরে নেই। অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপে দিনদিন নোংরা হচ্ছে, কিছু কিছু উন্নয়ন হচ্ছে কিন্তু সেগুলোকে কোনভাবেই টেকসই উন্নয়ন বলা যায়না। হাজারো নাগরিক সমস্যার শহরে নির্বাচন হচ্ছে আর এক লোক বলছে নির্বাচনে জিতলে একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে মুক্ত করার জন্য কাজ করবে। এগুলি ভোটারদের সাথে তামাশা। ভোটাররা বেগম জিয়াকে মুক্ত করার জন্য ভোট দিবে বলে মনে হচ্ছে না।
এবারের সিটি নির্বাচনের ভোট ইভিএমে হবে। ইভিএম মেশিনে প্রোগ্রামিংয়ে কারচুপি হয়তো করা যায় কিন্তু আমার কাছে মনে হয় প্রোগ্রামিংয়ে কারচুপি করা হবে না। গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন থামাতে আওয়ামী লীগ ভোটের দিন সকালবেলা বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের সৈনিকদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেবেনা।
আওমীলীগের প্রার্থী কি সাদেক হোসেন খোকার ছেলের মত উল্টা পাল্টা কিছু বলছে?
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৪