ব্লগার চাঁদগাজী বলেছেন ঢাকায় করোনা ভাইরাস আক্রমণ করলে উহা আমাদের শরীরে ঢুকে মারা যাবে। মজা করে বললেও এটা একেবারেই ভুল কথা। আমাদের দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হলে মানুষের মৃত্যুর শঙ্কা অনেক বেশি থাকবে। করোনা ভাইরাসের সমস্যা হচ্ছে এটা মানুষের শরীরে প্রবেশ করার পর ১-১৪ দিন সময় নেয় সে মানুষের মধ্যে উপসর্গ দেখা দিতে। আর এই সময়ে আক্রান্ত মানুষের সংস্পর্শে যারা আসবে তাদের মধ্যে এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে স্বাভাবিক জ্বর, সর্দি, শুকনো কাশি এবং হালকা মাথা ব্যথা ও শরীর ব্যথা করবে। এরপরে ফুসফুস, কিডনিতে আক্রমণ করার কারণে শ্বাসকষ্ট শুরু হবে এবং এক দুই সপ্তাহের মধ্যেই ফুসফুস ও কিডনি নষ্ট করে দেবে। যার ফলশ্রুতিতে ভাইরাসের বাহক মারা পড়বে। তবে যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি তারা বেঁচে যাবে। ঢাকা শহরের ২০ ভাগ মানুষের কিডনি ও ফুসফুসের কোন না কোন সমস্যা আছে। যাদের কিডনি ও ফুসফুসের পুরনো সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় অবশ্যই কম থাকবে। আর এজন্যই করোনা ভাইরাস ঢাকাবাসীর শরীরে প্রবেশ করলে মৃতের সংখ্যা অন্য দেশের তুলনায় বেশিই হবে।
করোনা ভাইরাস সর্বপ্রথম ষাটের দশকে ধরা পড়ে, তখন দেখা গিয়েছিল ভাইরাসটি হাঁস-মুরগি, সামুদ্রিক মাছ ও বন্য প্রাণীদের মধ্যে বসবাস করে। পচা মাছ-মাংস, অর্ধসিদ্ধ খাবার ও বন্যপ্রাণী খাওয়ার ব্যাপারে চীনারা বেশ এগিয়ে। চীনে শিয়াল, কুকুর, নেকড়ে, সাপ, ইঁদুর, সজারু, ময়ূর, বন্য উটের মাংস অনলাইনে অর্ডার করে পাওয়া যায়। এসব হাবিজাবি খাবার থেকে এই ভাইরাসটি ছড়িয়েছে চিনে। এখন পর্যন্ত ১০৭জনের মত প্রাণ হারিয়েছে আর ৪৮০০ জনের মত আক্রান্ত হয়ে আছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে চীনা সরকার সঠিক হিসেব দিচ্ছে না, আক্রান্তের সংখ্যা ৯০হাজার ছাড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যাইহোক চীনারা যে দ্রুততার সাথে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে, প্রথম আক্রান্ত ও উৎস দেশ হিসেবে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা আনুপাতিক হারে অনেক কম। সে হিসেবে আমাদের এখানে আক্রান্ত হয়ে গেলে আমাদের প্রস্তুতি কেমন! এখানে সাধারণ মানুষের জন্য স্বাস্থ্য সুবিধার যে অবস্থা রোগটি খুব দ্রুত মহামারী আকার ধারন করবে।
ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়ার কারণে আপাতত সর্তকতা অবলম্বন করা ছাড়া বেশি কিছু করার নেই।
●বাইরে বের হওয়ার সময় মুখে মাস্ক জাতীয় কিছু পড়ে নিতে হবে।
●বাইরে থেকে আসার পর হাত-মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে পানি দিয়ে।
●ঘন ঘন পানি পান করতে হবে।
●আক্রান্ত রোগী থেকে যথাসম্ভব দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
●বন্যপ্রাণী, মাছ-মাংস খেতে হলে যথেষ্ট পরিমাণ সিদ্ধ করে খেতে হবে।
● চীন ও আমেরিকা থেকে ভ্যাকসিন কেনার জন্য ফান্ড রেডি রাখতে হবে।
● যারা ইহুদী-নাসারাদের ভ্যাকসিন ব্যবহার করবেন না, তারা শফি হুজুর ও আজহারী সাহেবের কাছ থেকে রোগ মুক্তির দোয়া শিখে রাখতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪৪