somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি কেনো নৌকায় ভোট দিই?

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


গত দুই সেশন দেশের মানুষ সঠিক ভাবে জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। এই নিয়ে মানুষের আক্ষেপ, অভিযোগ অনেক। এই ভোট দিতে না পারা মানুষকে হতাশ করেছে আর এর দায়ভার বেশিরভাগ ক্ষমতাসীন আওমীলীগেরই। তারপরেও এই দেশে আওমীলীগে ভোট দেওয়া মানুষের সংখ্যা এখনো অনেক। এই মুহূর্তে আওমীলীগেকে যারা ভোট দেয় তাদের দুইভাগে ভাগ করা যায়। এক, যারা আওমীলীগের নৌকায় ভোট দেওয়াকে ব্যবসায়ের ইনভেস্টমেন্ট হিসেবে দেখে। দুই, যারা বিএনপি-জামাতকে ভয় পেয়ে নৌকায় ভোট দেয়। আমিও এই দলে, বিএনপি-জামাতের হুঙ্কারকে ভয় পেয়ে নৌকায় ভোট দিচ্ছি!
২০১৪'র আগে আরেক দল ছিল যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে নৌকায় ভোট দিতো। এই দলের এখন প্রায় বিলুপ্তি ঘটেছে। এরা এখন দুই নম্বর দলে শামিল হয়েছে। কারণ আওমীলীগ বঙ্গবন্ধুর ওজন এত পরিমান নীচে নামিয়ে এনেছে যার জন্য এই দলের সমর্থকদের সংখ্যা জ্যামিতিক হারে কমেছে!

আমি ছোট একটা সার্ভে করেছি(৭০-৮০জন হবে) নিজের আশেপাশের বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনদের কাছে কৌশলে জানতে চেয়েছি তারা কেনো নৌকায় ভোট দিচ্ছে? এদের বেশিরভাগই জামাত,বিএনপিকে ক্ষমতায় দেখতে চায়না তাই অনিচ্ছাসত্ত্বেও নৌকায় ভোট দিয়ে যাচ্ছে! কিন্তু এরা নৌকার মালিক আওমীলীগের দেশ পরিচালনার উপর চরমভাবে বিরক্ত! মনে হচ্ছে আওমীলীগ নিজেও বুঝে গেছে এই বিশাল ভোট ব্যাংকের ব্যাপারে। তাই জামাত-শিবিরকে রিফর্ম করার যে চেষ্টা ২০১৪ থেকে চালিয়েছে সেটা মনে হচ্ছে এখন বন্ধ করে দিয়েছে। এই ভয়কে পুঁজি করে তারা সমর্থক যোগাচ্ছে!
আপনার আশেপাশে খুঁজলে এমন সমর্থকের দেখা পাবেন অনেক।

যাইহোক, অনেকেই আমার এই অবসার্বেশনকে ভুল বলেবন কিন্তু যারা জামাত-বিএনপি অধ্যুষিত এলাকায় থাকেন তারা এই ব্যপারে ভালো উপলব্ধি করতে পারবেন। দেশের পরিস্থিতি এদের অনুকূলে আসলে এরা গর্ত থেকে বের হয়ে আসবে। যদিও এরা এখন গর্তের মুখে এসে উঁকি দিয়ে আছে। আওমীলীগের যেসব লোকজনের জন্য এরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের এরা ছাড়বে না, এমনকি যারা আওমীলীগের সামান্য কর্মী বা সমর্থক তাদেরও এরা হেনস্তা করবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০৪
১৩টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×