গত দুই সেশন দেশের মানুষ সঠিক ভাবে জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। এই নিয়ে মানুষের আক্ষেপ, অভিযোগ অনেক। এই ভোট দিতে না পারা মানুষকে হতাশ করেছে আর এর দায়ভার বেশিরভাগ ক্ষমতাসীন আওমীলীগেরই। তারপরেও এই দেশে আওমীলীগে ভোট দেওয়া মানুষের সংখ্যা এখনো অনেক। এই মুহূর্তে আওমীলীগেকে যারা ভোট দেয় তাদের দুইভাগে ভাগ করা যায়। এক, যারা আওমীলীগের নৌকায় ভোট দেওয়াকে ব্যবসায়ের ইনভেস্টমেন্ট হিসেবে দেখে। দুই, যারা বিএনপি-জামাতকে ভয় পেয়ে নৌকায় ভোট দেয়। আমিও এই দলে, বিএনপি-জামাতের হুঙ্কারকে ভয় পেয়ে নৌকায় ভোট দিচ্ছি!
২০১৪'র আগে আরেক দল ছিল যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে নৌকায় ভোট দিতো। এই দলের এখন প্রায় বিলুপ্তি ঘটেছে। এরা এখন দুই নম্বর দলে শামিল হয়েছে। কারণ আওমীলীগ বঙ্গবন্ধুর ওজন এত পরিমান নীচে নামিয়ে এনেছে যার জন্য এই দলের সমর্থকদের সংখ্যা জ্যামিতিক হারে কমেছে!
আমি ছোট একটা সার্ভে করেছি(৭০-৮০জন হবে) নিজের আশেপাশের বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনদের কাছে কৌশলে জানতে চেয়েছি তারা কেনো নৌকায় ভোট দিচ্ছে? এদের বেশিরভাগই জামাত,বিএনপিকে ক্ষমতায় দেখতে চায়না তাই অনিচ্ছাসত্ত্বেও নৌকায় ভোট দিয়ে যাচ্ছে! কিন্তু এরা নৌকার মালিক আওমীলীগের দেশ পরিচালনার উপর চরমভাবে বিরক্ত! মনে হচ্ছে আওমীলীগ নিজেও বুঝে গেছে এই বিশাল ভোট ব্যাংকের ব্যাপারে। তাই জামাত-শিবিরকে রিফর্ম করার যে চেষ্টা ২০১৪ থেকে চালিয়েছে সেটা মনে হচ্ছে এখন বন্ধ করে দিয়েছে। এই ভয়কে পুঁজি করে তারা সমর্থক যোগাচ্ছে!
আপনার আশেপাশে খুঁজলে এমন সমর্থকের দেখা পাবেন অনেক।
যাইহোক, অনেকেই আমার এই অবসার্বেশনকে ভুল বলেবন কিন্তু যারা জামাত-বিএনপি অধ্যুষিত এলাকায় থাকেন তারা এই ব্যপারে ভালো উপলব্ধি করতে পারবেন। দেশের পরিস্থিতি এদের অনুকূলে আসলে এরা গর্ত থেকে বের হয়ে আসবে। যদিও এরা এখন গর্তের মুখে এসে উঁকি দিয়ে আছে। আওমীলীগের যেসব লোকজনের জন্য এরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের এরা ছাড়বে না, এমনকি যারা আওমীলীগের সামান্য কর্মী বা সমর্থক তাদেরও এরা হেনস্তা করবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০৪