তসলিমা নাসরিনকে নিয়ে এদেশে অনেক সমালোচনা হয়েছে। তার বিভিন্ন লেখা নিয়ে সমালোচনা আলোচনা হয়েছে বহুবার। তার রচিত বইও নিষিদ্ধ করা হয়েছে এদেশে। আমি নিজেও তার বিভিন্ন স্টেটমেন্টের সাথে একমত ছিলাম না। ফেসবুকে তার পোস্টের নিচে তার লেখা নিয়ে দ্বিমত করার কারণে উনি আনফ্রেন্ড করে দিয়েছিলেন আমাকে। কিন্তু আজ উনি এমন একটি ঘোষণা দিয়েছে যার জন্য উনাকে সত্যিই মন থেকে প্রশংসা করছি। নিশ্চয়ই উনি অনেক মহৎ একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আজ। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উনার শান্তিনগরে একটি অ্যাপার্টমেন্ট আছে এবং সেই অ্যাপার্টমেন্টটি বিদ্যানন্দকে দিতে চাচ্ছেন। যেন তারা সেখানে তাদের অফিসিয়াল কার্যক্রম চালাতে পারে।
নিশ্চয়ই এই সিদ্ধান্তটি খুব সহজ ছিল না উনার জন্য নেওয়া। তারপরেও বিদ্যানন্দের উপর যে ঝড় এসেছে সেটাকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য ভালো একটি প্রতিরোধ হলো। বিদ্যানন্দ যে ধরনের কাজ করে, যে কোন মানুষই ধর্ম বর্ণ কিংবা রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে এসব সেবামূলক কাজকে অ্যাপ্রিশিয়েট করতে বাধ্য। সমস্যা হচ্ছে বিদ্যানন্দ খুব অল্প সময়ে যেভাবে রাইজ করেছে তাতে ত্রুটি বিচ্যুতি হওয়াটাই স্বাভাবিক।
আপাতত তারা তাদের সেই ত্রুটি বিচ্যুতি গুলির যে ব্যাখ্যা দিয়েছে তাতে আমি মোটামুটি সন্তুষ্ট। তবে এখন থেকে তাদের আরো সতর্ক হয়ে কাজ করতে হবে, কারণ তারা এখন যে পজিশনে চলে গেছে স্বচ্ছতা না থাকলে তাদের ইমেজ এক নিমিষেই কলাপ্স করবে!
আমি এ পর্যন্ত বিদ্যানন্দে তেমন কোন ডোনেট করিনি। শুধুমাত্র তাদের একটা প্রজেক্ট যেটা ছিল ময়লার বিনিময় চাল, ডাল, তেল সেটা দেখে বিকাশ একাউন্ট থেকে সামান্য কিছু টাকা ডোনেট করেছিলাম। কিন্তু এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি তাদেরকে প্রতিবছর অন্তত দুইবার করে যতটুকু সম্ভব ডোনেট করবো। তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করব, যেন তারা তাদের নিয়মিত সেবা মূলক কাজগুলো চালিয়ে যেতে পারে।
পরিশেষে তাসলিমা নাসরিনকে আবারো ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করছি। উনি এই মুহূর্তে বিদ্যানন্দের জন্য যে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন সেটা সত্যি প্রশংসনীয়।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:১৯