কোমরে একটা লাল রঙের সূতা বেঁধে পাগলটি সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে রাস্তায় বসে ছিল । এক জায়গায় জটলা পাকিয়ে কিছু বাচ্চা পাগলটির জননাঙ্গ নিয়ে হাসাহাসি করছে । কমবয়সী যুবতীরা আঁড়চোখে তা দেখে মুখে ওড়না ঢেকে হাসি আড়ালের চেষ্টা করছে । এক ভদ্রমহিলাকে দেখা যাচ্ছে তার কিন্ডারগার্টেন পড়ুয়া শিশুকে বকা দিচ্ছে ঐদিকে না তাকানোর জন্য । কিন্তু পাগলটির যেনো এ ব্যাপারে কোন ভ্রূক্ষেপ নেই!! কে তাকে নিয়ে পরিহাস করছে আর কে তার দিকে করুণার নজরে তাকাচ্ছে তা বোঝার ক্ষমতা তার নেই দেখেই সে উন্মাদ ।
কিন্তু আমি বলি কি আমাদের পুরো দেশটাই বদ্ধ উন্মাদে ভরা । কি সরকার বলেন আর কি বিরোধী দল বলেন, আপনি যার দিকেই তাকাবেন একই জিনিস দেখবেন । জেনে-শুনে-বুঝে নোংরামি করাটা এদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে । একদিনে কিন্তু এই অভ্যাস গড়ে উঠে নি, দিনের পর দিন আমাদের প্রশ্রয় পেয়ে পেয়ে তারা আজকের চরম নির্লজ্জতে পরিণত হয়েছে । পাগল যেমন সবার সামনে উলঙ্গ হয়ে ঘুরলেও তার লজ্জা লাগে না, ঠিক তেমনি আপনি গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে সদুপদেশ দিয়ে গেলেও এরা তা বুঝবে না ।
এ তো গেল সাধারণ এক উদাহরণ । কিন্তু আমাদের এই সমাজে, আমাদেরই আশেপাশে প্রতিনিয়ত যে কতো বেহায়া লোক ঘুরাফেরা করছে তার হিসাব কে রাখে! একই কথা একাধিকবার বলার পর যখন আপনার ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটবে তখন আপনি নিজের সম্মান বাঁচানোর জন্য হয়তো একসময় চুপ হয়ে যাবেন । তবে যারা বেহায়া তারা বেহায়াই থেকে যাবে এবং এ ব্যাপারে তাদের কোন মাথাব্যথাও থাকবে না, ঠিক যেমনটি উলঙ্গ পাগলের নেই তার বস্ত্র নিয়ে ।