somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডিশলাইন ছাড়াই দেখা যাবে স্যাটেলাইট টিভি অনুষ্ঠান, ডিটিএইচ আসছে এপ্রিলে !

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অবশেষে স্যাটেলাইট টেলিভিশনের অনুষ্ঠান দেখার ভোগান্তি থেকে রেহাই পেতে যাচ্ছেন ডিশ গ্রাহকরা। টেলিভিশনে স্যাটেলাইট চেনেল দেখার জন্য আর ডিশের তার টানাটানি করতে হবে না । খুব শিঘ্রই বাংলাদেশে চালু হতে যাচ্ছে স্যাটেলাইট টিভি দেখার উন্নত প্রযুক্তি ডাইরেক্ট টু হোম বা ডিটিএইচ সিস্টেম। কেবল বা তার সংযোগ ছাড়াই স্যাটেলাইট টিভি দেখার উন্নত প্রযুক্তি হচ্ছে ডাইরেক্ট টু হোম বা ডিটিএইচ। এই প্রযুক্তিতে গ্রাহক সরাসরি স্যাটেলাইট থেকে পছন্দের অনুষ্টান নিজের টেলিভিশনে ডাউনলিংক করতে পারবে। ডিটিএইচ পদ্ধতিতে ছবি এবং শব্দ আসবে কেবল সিস্টেম এর চেয়ে দ্রুতগতিতে। প্রতিটি চ্যানেলের ছবি ও শব্দের মান থাকবে একই রকম। এবং সবচেয়ে বড় সুবিধা ,প্রিপেইড কার্ড কিনে ঘরে বসেই রিচার্জ করেই উপভোগ করা যাবে ডিটিএইচ সুবিধা! প্রতিবেশী দেশ ভারতে টাটা স্কাই, সান, বিগটিভি, রিলায়েন্স, ডিশটিভি, এয়ারটেল সহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্টান এই সেবা দিয়ে থাকে, যা ভারতে খুবই জনপ্রিয়। আমাদের দেশে ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে এসব প্রতিষ্টানের টপবস্ক পাওয়া যায় । রাজধানীতে এখনও অনেক বাড়িতে এই প্রযুক্তি রয়েছে। ডিটিএইচ চালু হলে তার টানাটানি থেকে রেহাই গ্রাহক সাথে ভালো সার্ভিস। অধিকন্ত ডিস লাইন ওয়ালাদের একচেটিয়া দৌরাত্ত্বের অবসান হবে। উল্লেখ, ডিটিএইচ প্রযুক্তির মাধ্যমে টিভি দর্শক তার বাড়িতে একটি ছোট ডিস ও রিসিভারের মাধ্যমে সরাসরি সিগন্যাল গ্রহণ করতে পারবেন। ডিস লাইন ওয়ালাদের মত আলাদা তারের মাধ্যমে প্রতিটি টিভি সেটে কেবল সংযোগ দেয়ার প্রয়োজন পড়বে না। বাংলাদেশে বর্তমানে কোন বৈধ ডিটিএইচ অপারেটর নেই। টিভি দর্শকদের কয়েকটি ক্যাবল অপারেটর ও টেরেস্ট্রিয়াল টেলিভিশন চ্যানেল বিটিভির ওপর নির্ভর করতে হয়। ব্যক্তিগত ডিস ব্যাবহারকারিরা অল্প কয়েকটি ফ্রি চ্যানেল দেখতে পারে। ভারতীয় অপারেটররা দর্শকদের কোন স্থানীয় বাংলা টিভি না দিয়ে সরকারকে কোন কর না দিয়ে অবৈধভাবে উচ্চমুল্যে ডিটিএইচ ব্যাবসা করছে। ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোতে এসব প্রতিষ্ঠানের সেট টপ বক্স পাওয়া যায়। অবৈধ হলেও রাজধানীর অনেক বাড়িতে ডিটিএইচ সংযোগ রয়েছে।


একনজরে টিটিএ্ইচঃ ডিটিএইচ সেবার মাধ্যমে একটি স্যাটেলাইট সিস্টেম ব্যবহার করে সরাসরি গ্রাহকের আঙ্গিনায় টিভি সিগন্যাল পৌঁছে দিয়ে মাল্টি-চ্যানেল টিভি প্রোগ্রাম দেখার সুযোগ করে দেয়া হবে। ডিটিএইচ সংযোগ দিতে ব্রডকাস্টিং কোম্পানি গ্রাহককে একটি ডিশ ও রিসিভার সেট প্রদান করবে যা, ডিশের মাধ্যমে সিগন্যাল গ্রহণ করে রিসিভিং সেটের সাহায্যে দর্শকরা টিভিতে বিভিন্ন চ্যানেল দেখতে পারবেন। ওই সেটের মাধ্যমেই শুধু গ্রাহকেরা কাঙিক্ষত চ্যানেলগুলো দেখার সুযোগ পাবেন। ডিটিএইচ’র অনেকগুলো সুবিধার একটি হচ্ছে গ্রাহকরা নিজেরাই পছন্দনীয় চ্যানেলগুলো বাছাই করতে পারবেন। কেবল অপারেটরের পছন্দে চ্যানেল দেখতে হবে না। কেবল সংযোগের মাধ্যমে এখন গ্রাহকেরা যে মানের ছবি দেখে থাকেন তার চেয়ে এর মান হবে অনেক উন্নত। বর্তমানে আমরা যে কেবলের মাধ্যমে টিভি দেখি তাতে সিগন্যাল ব্রেক হয়। অপরদিকে ডিটিএইচ প্রযুক্তিতে সিগন্যাল ব্রেক হয় না বলে উন্নতমানের সেবা পাওয়া যায়। গ্রাহক শুধু তার পছন্দমতো চ্যানেলগুলো ক্রয় করে মাসিক খরচের পরিমাণও কমিয়ে আনতে পারেন।


তারহীন উচ্চপ্রযুক্তির স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল প্রযুক্তি ডিটিএইচের (ডাইরেক্ট টু হোম) নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এর ফলে শিগগিরই বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করতে পারবে ডিটিএইচ সেবা দেওয়ার লাইসেন্স পাওয়া দুই প্রতিষ্ঠান। কেবল অপারেটরদের ব্যাপক বাধা সত্ত্বেও দেশের দুটি বড় কম্পানীকে DTH সেবার অনুমতি দেয়। বাংলাদেশে এ সেবা দেওয়ার অনুমোদন পেয়েছে বেক্সিমকো কমিউনিকেশনস লিমিটেড। বেক্সিমকোর অংশীদার হয়েছে রাশিয়ার অন্যতম বৃহৎ বিনিয়োগ ও শিল্প প্রতিষ্ঠান জিএস গ্রুপ। বেক্সিমকো কমিউনিকেশন্স লিমিটেড নামের এ যৌথ প্রকল্প জিএস গ্রুপের সমন্বিত প্রযুক্তি সেবা দেবে বাংলাদেশের গ্রাহকদের। জিএস গ্রুপ একটি বিনিয়োগ ও শিল্প প্রতিষ্ঠান, টেলিযোগাযোগ ও উদ্ভাবনী ক্ষেত্রে তাদের বিশেষত্ব রয়েছে। তাদের মূল কার্যক্রম, আন্তর্জাতিক ব্রডকাস্টিং প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন, আর অ্যান্ড ডি ও নেনোটেকনোলজি হিসেবে এসব ক্ষেত্রে পণ্য উৎপাদন, মাইক্রোইলেকট্রনিকস, টেকনোপলিস জিএস ইনোভেশন সেন্টারের নির্মাণ ও উন্নয়ন, কাঠ প্রক্রিয়াজাতকরণ, যৌথ প্রকল্পে বিনিয়োগ, মিডিয়া কন্টেন্ট তৈরি ও ব্যবস্থাপনা, সফটওয়্যার পণ্যের নকশা ও সমন্বয়, বিজ্ঞাপন, লজিস্টিক ও ট্রেড। ২০১৩ সালের ডিসেম্ব তাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়। প্রতিবছর ৪ লাখ নতুন গ্রাহকের কাছে সেবা পৌঁছানোর প্রাথমিক লক্ষ্য ঠিক করেছে কোম্পানিটি। যৌথ উদ্যোগে গৃহীত এই কার্যক্রমের আওতায় স্থানীয় বাংলা ও শীর্ষ আন্তর্জাতিক চ্যানেলগুলো উপভোগের সুযোগ পাবেন গ্রাহকরা। DTH সেবার অনুমতি পাওয়া অন্য প্রতিষ্ঠান বায়ার মিডিয়া লিমিটেড। লাইসেন্স ফি হিসেবে প্রতিষ্ঠান দুটি সরকারকে দুই কোটি করে চার কোটি টাকা দেয়। কিন্তু নীতিমালা না থাকায় এত দিনেও কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি প্রতিষ্ঠান দুটি। ডিটিএইচ প্রযুক্তির লাইসেন্স অনুমোদন সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় দিলেও নীতিমালা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয় বিটিআরসিকে। বিটিআরসি গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিটিএইচ নীতিমালা তৈরির কাজ শুরু করে। কমিশনের তরঙ্গ ব্যবস্থাপনা (এসএম) বিভাগ আট মাস সময় নিয়ে এ নীতিমালা তৈরী করেছে। বিটিআরসির সর্বশেষ ১৮৭তম কমিশন বৈঠকে ডিটিএইচ নীতিমালার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে এবছর এপ্রিলের মাঝামাঝি বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করতে পারবে অনুমোদন পাওয়া দুই প্রতিষ্ঠান।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪
১০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কোথাও ছিলো না কেউ ....

লিখেছেন আহমেদ জী এস, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৯




কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।

আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

নারীবাদ, ইসলাম এবং আইয়ামে জাহেলিয়া: ঐতিহাসিক ও আধুনিক প্রেক্ষাপট

লিখেছেন মি. বিকেল, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৪



আইয়ামে জাহিলিয়াত (আরবি: ‏جَاهِلِيَّة‎) একটি ইসলামিক ধারণা যা ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর আবির্ভাবের পূর্ববর্তী আরবের যুগকে বোঝায়। ঐতিহাসিকদের মতে, এই সময়কাল ৬ষ্ঠ থেকে ৭ম শতাব্দী পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

#প্রিয়তম কী লিখি তোমায়

লিখেছেন নীল মনি, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫১


আমাদের শহর ছিল।
সে শহর ঘিরে গড়ে উঠেছিল অলৌকিক সংসার।
তুমি রোজ তাঁকে যে গল্প শোনাতে সেখানে ভিড় জমাতো বেলা বোস, বনলতা কিংবা রোদ্দুর নামের সেই মেয়েটি!
সে কেবল অভিমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভুল শুধু ভুল নয়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৬

এক
লেখাটা একটি কৌতুক দিয়ে শুরু করি। ১৯৯৫ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে শফিপুর আনসার একাডেমিতে বিদ্রোহ হয়। ৪ ডিসেম্বর পুলিশ একাডেমিতে অভিযান চালায়। এতে চারজন আনসার সদস্য নিহত হয়েছিল। এটি ছিল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ময়লাপোতার কমলালেবুর কেচ্ছা!! (রম্য)

লিখেছেন শেরজা তপন, ২১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৩


বাংলাদেশের বিশেষ এক বিভাগীয় শহরে ময়লাপোতা, গোবরচাকা, লবনচোরা, মাথাভাঙ্গা, সোনাডাঙ্গার মত চমৎকার সব নামের এলাকায় দারুণ সব সম্ভ্রান্ত পরিবারের বাস।
আমার এক বন্ধুর আদিনিবাস এমনই এক সম্ভ্রান্ত এলাকায় যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×