somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশিষ্ট আইনজীবী ও সাহিত্যিক অতুলচন্দ্র গুপ্তের ৫৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বাঙালি সাহিত্যিক এবং বিশিষ্ট আইনজীবী অতুলচন্দ্র গুপ্ত । তিনি ভারতীয় কংগ্রেস দলের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। রাজনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানে, দুঃস্থ ছাত্রদের শিক্ষাকল্পে এবং গরিব রোগীদের চিকিৎসার্থে তিনি প্রচুর অর্থ দান করেন। সাহিত্য, সমাজ, শিক্ষা, ইতিহাস ও রাজনীতি বিষয়ে তিনি বহু গ্রন্থ রচনা করেন। ভারতীয় অলঙ্কারশাস্ত্রে তিনি বিশেষ পারদর্শী ছিলেন। প্রমথ চৌধুরীর সবুজপত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকায় তাঁর রচনায় যুক্তিবাদ ও মননশীলতার ছাপ পড়ে। অতুলচন্দ্র প্রধানত আইনজীবী ও রসতত্ত্বের ব্যাখ্যাকার হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করলেও সমাজ, শিক্ষা, ইতিহাস, রাজনীতি প্রভৃতির আলোচনায়ও অসাধারণ মনীষার পরিচয় দেন। গদ্যলেখক হিসেবে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। ১৯৬১ সালের আজকের দিনে তিনি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। আজ তার ৫৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। বিশিষ্ট আইনজীবী ও সাহিত্যিক অতুলচন্দ্র গুপ্তের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

অতুলচন্দ্র গুপ্ত ১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১২ মার্চ টাঙ্গাইল জেলার বিল্লাইক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম উমেশচন্দ্র গুপ্ত। তিনি ছিলেন আইনজীবী। আইন ব্যবসার কারণে উমেশচন্দ্র সপরিবারে রংপুরে বসবাস শুরু করেন। এই কারণে অতুলচন্দ্রের প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন হয় রংপুরে। ১৯০১ খ্রিষ্টাব্দে অতুলচন্দ্র রংপুর জেলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা পাস করেন। এরপর কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ ভর্তি হন। এই কলেজ থেকে ১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দে ইংরেজি ও দর্শনশাস্ত্রে অনার্সসহ বি.এ পাশ করেন। ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি 'কার্লাইল সার্কুলার-বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে এম.এ পাশ করেন। এবং ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে বি.এল ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর কিছুদিন তিনি রংপুর জাতীয় বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। পরে রংপুরেই তিনি আইন ব্যবসা শুরু করেন। ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে আইন ব্যবসা শুরু করে।


১৯১৮ খ্রিষ্টব্দে তিনি কলকাতা বিশববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে রোমান ল' ও জুরিসপ্রূডেন্সের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। এই বৎসরে তিনি Trading with the Enemy নামক একটি গবেষণামূলক প্রবন্ধ রচনা করে, তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'অনাথনাথ দেব পুরস্কার' লাভ করেন। ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দে অধ্যাপনা ত্যাগ করে তিনি পুনরায় আইন ব্যবসায় ফিরে যান এবং ভারতবর্ষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আইনজীবিরৃপে স্বীকৃতি লাভ করেন। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে র্যাডক্লিফ ট্রাইবিউনাল-এ পশ্চিমবঙ্গের বক্তব্য তৈরির ভার তাঁর উপর অর্পিত হয়। ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনিওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ডি.এল উপাধি লাভ করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাঃ
১। শিক্ষা ও সভ্যতা (১৩৩৪ বঙ্গাব্দ)
২। কাব্যজিজ্ঞাসা (১৩৩৫ বঙ্গাব্দ)
৩। নদীপথে (১৩৪৪ বঙ্গাব্দ)
৪। জমির মালিক (১৩৫১ বঙ্গাব্দ)
৫। সমাজ ও বিবাহ (১৩৫৩ বঙ্গাব্দ)
৬। ইতিহাসের মুক্তি (১৩৬৪ বঙ্গাব্দ)


১৯১৮ সালে Trading with the Enemy শীর্ষক গবেষণামূলক প্রবন্ধের জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'অনাথনাথ দেব' পুরস্কার লাভ করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ডি.এল. উপাধি লাভ করেন (১৯৫৭)।মহান এই সাহিত্যিক ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দের ১২ ফেব্রূয়ারি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।আজ তার ৫৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। বিশিষ্ট আইনজীবী ও সাহিত্যিক অতুলচন্দ্র গুপ্তের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:১২
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পরিণতি - ৩য় পর্ব (একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস)

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮



( পরিণতি ৬১ পর্বে'র একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস ।)

তিন


আচানক ঘুম ভেঙ্গে গেলো ।

চোখ খুলে প্রথমে বুঝতে পারলাম না কোথায় আছি । আবছা আলোয় মশারির বাহিরে চারপাশটা অপরিচিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইফতার পার্টি মানে খাবারের বিপুল অপচয়

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩



গতকাল সরকারি ছুটির দিন ছিলো।
সারাদিন রাস্তাঘাট মোটামুটি ফাকাই ছিলো। ভাবলাম, আজ আরাম করে মেট্রোরেলে যাতায়াত করা যাবে। হায় কপাল! মেট্রো স্টেশনে গিয়ে দেখি গজব ভীড়! এত ভিড়... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×