somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চিত্রশিল্পী সাহাবুদ্দিন আহমদের ৭১তম জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছা

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


চিত্রশিল্পী হিসেবে যে ক'জন বাঙালি কৃতি সন্তান বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন এবং এখনও করে চলেছেন শাহাবুদ্দিন আহমেদ তাদের অন্যতম। আধুনিক ঘরানার প্যারিস-প্রবাসী ফরাসী-বাঙালী এই শিল্পীর খ্যাতি ইয়োরোপে ছড়িয়ে পড়েছে। তি্নি ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন, তাঁর চিত্রকলায় সংগ্রামী মানুষের প্রতিকৃতিতে দুর্দমনীয় শক্তি ও অপ্রতিরোধ্য গতির ইংগিতময় অভিব্যাক্তির জন্য সুপরিচিত। তিনি মনে করেন, মানুষের মুক্তিযুদ্ধ অদ্যাবধি চলমান, এবং রং ও তুলির দ্বৈত অস্ত্র সহযোগে তিনি এ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে চলেছেন। সত্তুরের দশকের প্রারম্ভে বাংলাদেশে বিমূর্ত চিত্রকলার যে দুবোর্ধ্য পর্বের সূচনা হয়েছিল, তার সঙ্গে গাঁটছড়া না-বেঁধে তিনি নির্মাণ করেন স্বকীয় শৈলী যার ভিত্তিতে রয়েছে শারীরী প্রকাশভঙ্গী। তাঁর এই চিত্রশৈলী বাংলাদেশের পরবর্তী প্রজন্মকে গভীরভাবে প্রভাবান্বিত করে। মুক্তিযোদ্ধা ও চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ চিত্রকর্মে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যরীতির সম্মিলন ঘটিয়ে নতুন ধরনের একটি রীতি নিয়ে আসেন, যা তাকে ইউরোপীয় চিত্র প্রেমিকদের মাঝে অনন্য করে তোলে। চিত্রকর্মে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্যারিসে বসবাসরত বাংলাদেশি এই চিত্রশিল্পীকে ‘নাইট’ উপাধি দিয়ে সম্মানিত করেছে ফরাসি সরকার। তার ছবিতে বরাবরই বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ আর বীরত্ব বিশেষ র্মযাদায় প্রতিফলিত হয়। ১৯৯২ সালে বিশ্বের পঞ্চাশ জন মাস্টার পেইন্টারের মধ্যে অন্যতম হিসেবে বিবেচিত হন শাহাবুদ্দিন আহমেদ।আজ মুক্তিযোদ্ধা ও চিত্রশিল্পী সাহাবুদ্দিন আহমদের ৭১তম জন্মদিন। চিত্রশিল্পী সাহাবুদ্দিন আহমদের জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছা


চিত্রশিল্পী সাহাবুদ্দিন আহমদ ১৯৫০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার আলগী গ্রামে হলেও তিনি ১৯৫০ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। পরিবারের জ্যেষ্ঠ সন্তান হিসেবে শাহাবুদ্দিনের বাবা তায়েবউদ্দীন প্রধান ছিলেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর মায়ের নাম সাইফুন্নেছা আহমেদ। শিল্পী শাহাবুদ্দিন ১৯৬৮ সালে এস,এস,সি পাশ করেন ফরিদউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে৷ তিনি ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন আর্টসে পড়াশোনা করে বিএফএ ডিগ্রী অর্জন করেন। ঐ বছরই ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। পরবর্তীতে ফ্রান্স সরকার হতে চারুকলায় বৃত্তিলাভ করে ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ইকোল দে বোজার্ট চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে অদ্যাবধি প্যারিসে কর্মরত আছেন। শাহাবুদ্দিন, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন, তার চিত্রকলায় সংগ্রামী মানুষের প্রতিকৃতিতে দুর্দমনীয় শক্তি ও অপ্রতিরোধ্য গতির ইংগিতময় অভিব্যক্তির জন্য সুপরিচিত। তিনি মনে করেন, মানুষের মুক্তিযুদ্ধ অদ্যাবধি চলমান, এবং রং ও তুলির দ্বৈত অস্ত্র সহযোগে তিনি এ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে চলেছেন। সত্তুরের দশকের প্রারম্ভে বাংলাদেশে বিমূর্ত চিত্রকলার যে দুবোর্ধ্য পর্বের সূচনা হয়েছিল, তার সঙ্গে গাঁটছড়া না-বেঁধে তিনি নির্মাণ করেন স্বকীয় শৈলী যার ভিত্তিতে রয়েছে শারীরী প্রকাশভঙ্গী। তার এই চিত্রশৈলী বাংলাদেশের পরবর্তী প্রজন্মকে গভীরভাবে প্রভাবান্বিত করে। বড় ক্যানভাসের পর্দায় গতিশীল ও পেশীবহুল অতিমানবীয় পুরুষের ছবি আঁকতে ভীষণ পছন্দ করেন শাহাবুদ্দিন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে উপজীব্য করে রংয়ের তুলির সাহায্যে যথাযথ উপস্থাপনা, প্রতিস্থাপন ইত্যাদি বিষয়গুলো সার্থক ও সফলভাবেই সম্পন্ন করেছেন তিনি। এছাড়াও, শাহাবুদ্দিনের তুলিতে নারী চিত্রকর্মগুলোয় তাদের চিরায়ত কোমলতা, দ্যুতির স্পন্দন, স্নিগ্ধতা দেখা যায়। মিহি কাপড়ের মাধ্যমে নারীকে আবৃত করে শারীরিক সৌন্দর্য্যের দ্যূতি তুলে ধরেন তিনি যাতে রমণীর অলৌকিক ও অসীম শক্তি বিচ্ছুরিত হয়। চারু ও কারুকলায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশ-বিদেশে অনেক পুরস্কার পান শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ। যথাঃ (১) রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক ১৯৬৮ শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী(২) প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণপদক ১৯৭৩(৩) বাংলা একাডেমীর স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার ১৯৭৪(৪) ১ম পুরস্কার ১৯৭৫ প্যারিসে অধ্যয়নরত শিল্পীদের আন্তর্জাতিক চিত্র প্রদর্শনী(৫) ১ম পুরস্কার ১৯৭৯ প্যারিসে আয়োজিত ৩১টি দেশের শিল্পীদের আন্তর্জাতিক চিত্র প্রদর্শনী(৬) ১ম পুরস্কার ১৯৮০ ইউনেস্কো আয়োজিত আন্তর্জাতিক চিত্র প্রদর্শনী (৭) শ্রেষ্ঠ পুরস্কার ১৯৮২ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনী (৮) স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার ২০০০।


বেগবান তেজস্বী মানুষ শাহাবুদ্দিনের শিল্পসৃষ্টির প্রেরণার উৎস বেগ ও তেজকে তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন মানুষের দেহে। মানুষের আগ্নেয় উত্থান ঘটান তিনি। তবে মানুষের দেহই তার গতি পর্যবেক্ষণের একমাত্র বিষয় নয়, অন্য প্রাণী অভিব্যক্তি একেও তিনি গতির অনুশীলন করেছেন। অপরাজেয় বেগে চালিত ঘোড়াদের দৌড়, ব্যাঘ্রমুখের ভয়ঙ্কর প্রকাশ এঁকেও রক্তের রাগের ক্ষুরধার পরিস্থিতি দর্শককে অবলোকন করাতে চেয়েছেন শিল্পী। যুদ্ধে অবতীর্ণ মানুষ, প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ মানুষ, প্রতিবাদে প্রতিরোধে বুক চিতানো ঊধ্র্ববাহু মানুষ; শাহাবুদ্দিনের ক্যানভাসে চিত্রিত হয়েছে মানুষের বিচিত্র উত্থান। আক্রমণের প্রাক্-মুহূর্তের হুঙ্কার এবং বিজয়ের উল্লাস, দুই একক যোদ্ধার বিস্ফারিত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে কিংবা সমবেত যোদ্ধাদের বিজড়িত দেহ এঁকে তিনি শনাক্ত করতে চান। কেবলই ধাবমানতা, রক্তিম দেহের তাপ, তপ্ত দীর্ঘশ্বাস, সব মিলিয়ে গতির নতুন পুরাণ রচিত হয়েছে তার কাজে। শাহাবুদ্দিনের চৈতন্যে কখনো কোনো স্থবির জাতক জন্ম নেয় না। তার স্পেসে সমুত্থিত মানুষরা মহাকাব্যের বিপুল পরিধির কথা মনে করিয়ে দেয়। সেই স্পেসে মূলত জয় ঘোষিত হয়েছে, রচিত হয়েছে ট্র্যাজিক উল্লাস। আহত-বিক্ষত মানুষের করুণ গোঙানিও রয়েছে। তবে মৃত্যু-পথযাত্রী বীরের মুখে বিপন্ন পরাস্ত হওয়ায় হতাশার ব্যঞ্জনা নেই। যাতনা আছে; ক্ষুব্ধতা আছে তার চেয়ে বেশি। কিন্তু নিথর লাশ এঁকে মৃত্যু উল্লিখিত হয়নি। কেননা শিল্পী আশাবাদী চেতনা লালন করেন এবং তিনি একদা যে প্রতিজ্ঞা নিয়ে স্বদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন সেই অঙ্গীকারের অঙ্গার এখনো ধিকিধিকি জ্বলছে তার অন্তরে। তিনি এখনো কাক্সিক্ষত গন্তব্যে পৌঁছতে পারেননি। তাই তার যুদ্ধ সচল রয়েছে। ছবি আঁকাটা শাহাবুদ্দিনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে সজীব সবলভাবে বেঁচে থাকার বিষয়। তবে শুধু যুদ্ধ বা যোদ্ধা নয়, যেখানেই তিনি মানুষি শক্তির জাগরণ দেখেন, ছন্দময় প্রকাশ পর্যবেক্ষণ করেন, শক্তির পরাকাষ্ঠা প্রত্যক্ষ করেন তাকেই শৈল্পিক ভাষ্য দিতে চান। তবে বেদনায় বিদীর্ণ অবয়বেও প্রকাশের খরবেগ দেখতে পেয়েছেন তিনি। এই উপমহাদেশের তত্ত্বগত শাস্ত্রের বিচারে শিল্পী মূলত রুদ্র ও বীর রসের সংক্রমণ ঘটিয়েছেন তার কাজে। সৃজনশীল মানুষের এই উদ্দামতা আমরা অনুভব করেছি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতায়। ‘আমি উল্লাস; আমি অগ্নি; আমি জ্বালা’; এসব উচ্চারণে বিদ্রোহী কবি যেভাবে আগ্নেয় উদ্গিরনের মতো নিজের ভেতরের আমি’কে প্রকাশ করেছেন শিল্পী শাহাবুদ্দিনের ছবিও তার শিল্পী চৈতন্যের সংখ্য অগ্নি ময় ‘আমি’র প্রকাশ।


শাহাবুদ্দিনের ছবির মানুষ আর মানুষ থাকে না, তা হয়ে যায় শুভ্র আকাশে ধূমকেতু। জাগরণ আর উত্থানের মহাকাব্য রচনা করেছেন শিল্পী। উৎসবের হর্ষোৎফুল্ল মানুষ, সংগ্রামে যুদ্ধংদেহী মানুষের সমবেত যাত্রাথ দুই-ই আশাবাদী শিল্পীকে প্রাণিত করে রাখে। তবে একক মানুষের বিচিত্র প্রকাশই শাহাবুদ্দিনের শিল্পে বিশেষ অভিনিবেশ দেখার সময়। মানুষ তির্যকভাবে তীরের মতো বেগবান, অগ্নিপিণ্ডের মতো শূন্য থেকে ছুটে আসছে কিংবা শূন্যে হারিয়ে যাচ্ছে। পুঞ্জীভূত শক্তিকে পুঞ্জীভূত বর্ণ দিয়েই শনাক্ত করতে চান শিল্পী। বর্ণই শক্তি, এখন বর্ণই ঈশ্বর হয়ে উঠেছে তার কাজে। একদিকে শক্তি পুঞ্জীভূত হয়ে অগ্নিপিণ্ডের রূপ নিচ্ছে, অন্যদিকে শক্তির চাড়ে প্রসারিত হচ্ছে সংগ্রামশীল মানুষের অঙ্গ-প্রতঙ্গ। কোনোভাবেই পরিচিত চেনা অবয়ব আর প্রামাণিকতায় থাকছে না। প্রমাণ-আয়তনকে ভেঙে প্রলম্বিত ও প্রসারিত যে ইমেজ বা ইমেজরাশির জন্ম দেন শাহাবুদ্দিন তা-ই সৃজন-চেতনা, মানসিক অবস্থা, মনের সেই মুহূর্তের পরিস্থিতি। এই অন্তর্ভেদী বিশ্লেষণের পর আমরা বুঝতে পারি শাহাবুদ্দিনের ছবিতে দেহজ অনুষঙ্গ এক উপলক্ষ মাত্র, তিনি গতিকে মনোবেগকে, সৃজনচেতনাকেই চিত্রার্পিত করে চলেছেন। পেইন্টারলি ইফেক্ট বা বর্ণ-প্রতিক্রিয়া অথবা বর্ণ-পরিমার্জনার এক বিরল শৈল্পিক স্বাক্ষরও এই গতির শিল্পী। নতুন গতিতত্ত্ব যেন মূর্ত হয়ে উঠেছে শাহাবুদ্দিনের ছবিতে। ব্যক্তিগত জীবনে আনা’কে বিয়ে করেন শাহাবুদ্দিন আহমদে। সংসারে তার দুই মেয়ে - চিত্র ও চর্চা আছে।আজ মুক্তিযোদ্ধা ও চিত্রশিল্পী সাহাবুদ্দি আহমদের ৭১তম জন্মদিন। চিত্রশিল্পী সাহাবুদ্দিন আহমদের ৭১তম জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছা

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০২
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×