(দুজনে দুজনারঃ ছবি: সংগৃহীত)
কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের সংশ্লিষ্টতা পায়নি পুলিশ। তাই আনভীরের বিরুদ্ধে তরুণী মোসারাত জাহানকে (মুনিয়া) আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা থেকে অব্যহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ। গত ১৯ জুলাই আদালতে ওই ‘ফাইনাল রিপোর্ট’ দাখিল করা হয়েছে বলে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী নিশ্চিত করেছেন। মুনিয়ার আত্মহত্যায় বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। পুলিশের রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুনিয়ার আত্মহত্যার প্ররোচনার জন্য বসুন্ধরা এমডি'কে আসামি অভিযুক্ত করা হয়েছে তিনি আদতেই অভিযুক্ত নন এবং আত্মহত্যার প্ররোচনার কোন ঘটনা ঘটেনি। ফলে, মুনিয়ার বোন নুসরাতের অভিযোগ অসত্য প্রমাণিত হল। পুলিশের দেওয়া ওই প্রতিবেদনের ওপর ২৯ জুলাই শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত। ওই দিন আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন চূড়ান্ত এই প্রতিবেদন গ্রহণ করবেন কিনা।
(মোসারাত জাহান মুনিয়ার নিথর দেহ। হাতে কামড়ের চিহ্ন। ছবি: সংগৃহীত)
উল্লেখ্য গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যার পর গুলশান-২-এর একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান (মুনিয়া) নামের এক তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই তরুণীর বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে গুলশান থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহানকে আসামি করেন। মুনিয়ার বোন অভিযোগ করেন,আনভীরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মুনিয়ার। তার বোনকে বিয়ের কথা বলে প্রতিমাসে এক লাখ টাকা ভাড়া দিয়ে ওই ফ্ল্যাটে মুনিয়াকে রেখেছিলেন আনভীর। তিনি নিয়মিত ওই বাসায় যাতায়াতও করতেন। একটি ছবি ফেসবুকে দেওয়াকে কেন্দ্র করে সায়েম সোবহান তার বোনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। তাদের মনে হচ্ছে, মুনিয়া আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। তবে তাদের ধারণা ভুল প্রমানিত করেছে পুলিশ। পুলিশের অনুসন্ধানে মুনিয়ার আত্মহত্যায় বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের কোন সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। নুসরাত শুরু থেকেই এই মামলাটি করেছিলেন উদ্দেশ্যমূলকভাবে এবং মামলা করতে গিয়ে তিনি অনেক মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। দেশের একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী ও সম্মানীত নাগরিকের চরিত্রে কলঙ্ক লেপনের দায়ে মিথ্যা মামলা দায়ের ও প্রতারণার আশ্রয় নেবার জন্য অভিযোগকারিনীকে আইনের আওতায় আনা যেতেই পারে!! আমরা অপেক্ষা করছি পরবর্তী দৃশ্য দেখার জন্য। ছোটবেলায় দেখা বাইস্কোপের মতো " কি চমৎকার দেখা গেলো, তারা সবাই চইলা গেলো। তার পরেতে কি রহিলো!!
সূত্রঃ বাঃপ্রঃ
© নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১:০৩