
সিন্ডিকেট !!
নূর মোহাম্মাদ নূরু
সিন্ডিকেটের মাইনকা চিপায় পড়ছে কিছু মানূষ!
তাদের ঠ্যালায় বাঁচা যে দায় চোখে দেখে ফানুস।
ঘরে বাইরে হাট বাজারে সবখানেতে এরা,
ধরলে তারা যায়না বোঝা জীয়ন্ত কে মরা।
চাল খেয়েছে ডাল ধরেছে এইবারেতে তেল
বারে বারে ন্যাড়া মাথায় মারছে তারা বেল।
মাছের বাজার আগুন এখন চিনি ছোলা কই,
মরার উপর খড়ার ঘা, কেমন করে সই।
ভোটাভুটি কাটাকুটি গলাবাজির মাঝে,
সিন্ডিকেটের হোতারা যে রণ সাজে সাজে।
গানবাজনা, লেখালেখি সবখানেতেই আছে।
পানের থেকে চুন খসিলে বাঁদর নাচন নাচে।
এদের পাল্লায় পড়ে গেলে বাঁচেনা তার মান,
ডাইনের কপাল বামে গেলে যেতে পারে জান।
যুক্তি ফুক্তির ধার ধারেনা তাল গাছ তাদের চাই,
তাদের কথা খাঁটি সোনা অন্যের গুলো ছাই!
কেউ যদি প্রতিবাদে একটু তোলে মাথা,
দল বেধে যে সব শেয়ালে বলবে একই কথা।
থাকতে হলে প্রাণটি নিয়ে খামোশ হয়ে থাকো।
জলে থেকে কুমিরের সাথে বিবাদ করো নাকো।
বেঘোরেতে প্রাণটি যাবে যদি লাগতে আসো,
মোদের দিকে না তাকিয়ে দূরে গিয়া বসো।
মোদের জাগায় কৃপা করে বসতে দিছি তোদের,
থাকবে তারা এই খানেতে খাজনা পাবো যাদের।
সিন্ডিকেটের মানে বুঝিস মাথায় ঘিলু আছে?
চুপি চুপি বলছি তোকে কানটা আনো কাছে।
নিয়ম নীতি,স্বজনপ্রীতি না দেখিও চোখে,
ভাবিস বুঝি লাভের হিসাব দিবো আমি তোকে!
যা বলার তা বলবো আমি করবো তা যা চাই।
মুখটি বুঁজে মেনে নিবি টু শব্দটি নাই।
সাত চড়েতে রা হবেনা, যদি পরে গালে,
ভাববি তখন এসব কিছু লেখা ছিলো ভালে।
এমনি শত ধমক খেয়ে আছে কত জন,
কেউতো আবার পাড়া ছাড়া নিয়ে গেছে যম।
মান গেছে জান যাবে বললে ন্যয্য কথা,
ওদের খড়্গের নীচে যে পাতা মোদের মাথ
ওরা জানি অ মানুষ আমরা কি তবে,
এমনি করে আর কত কাল মরে থাকতে হবে?
বাচঁতে হলে সিন্ডিকেটের টুটি চেপে ধরো।
বুকে সাহস না থাকিলে মরার আগে মরো।
বিঃদ্রঃ কেউ নিজেকে সিন্ডিকেটের সদস্য ভেবে
পুলকিত হয়ে চোখ রাঙাবেন না।
প্রকাশকালঃ ঢাকা, ২৪ মার্চ ২০২২ ইং
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




