মাটির মানুষের শিল্পী কাঙ্গালিনী সুফিয়া খাতুন মারাত্নক ভাবে অসুস্থ । সাভারের এনাম মেডিকেলে চিকিৎসা গ্রহন করছেন । বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে অনেক অনেক ধনী শিল্পীদের দেখেছি সরকারী কিংবা বেসরকারি উদ্যোগে নেওয়া অনুদান গ্রহন করতে দেখেছি । সমগ্র বাংলাদেশের সাধারন মানুষের হৃদয় জয় করা এই মানুষটি এখন মস্তিস্কে রক্ত ক্ষরন জনিত রোগে আক্রান্ত । মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করছে । তার পরিবার সুস্থতার জন্য দেশ বাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন ।
সমাজে যারা উচ্চ পদস্থ , ধনী এবং সুশীলদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন । সমাজের সুস্থ , উন্নত এবং প্রতিষ্ঠিত মানুষ জন তাঁর পাশে এগিয়ে আসুক । এই গুণী শিল্পী আরও অনেক বছর বেঁচে থাকুক ।
উইকিপিডিয়া থেকে কাঙ্গালিনী সুফিয়ার সংক্ষিপ্ত পরিচয়ঃ
জন্ম ও শৈশবকাল
কাঙ্গালিনী সুফিয়া ১৯৬১ সালে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দির উপজেলার রামদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।তাঁর প্রকৃত নাম ছিল টুনি হালদার। বাবার নাম খোকন হালদার ও মা টুলু হালদার।
সঙ্গীত জীবন
গ্রাম্য একটি গানের অনুষ্ঠানে ১৪ বছর বয়সে তিনি তাঁর সঙ্গীত জীবন শুরু করেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তাঁর সুধির হালদার নামের একজন বাউলের সঙ্গে বিয়ে হয়, যদিও সে বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। ওস্তাদ হালিম বয়াতির শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন ১৯৭৮ সালে। সে সময় তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে সুফিয়া খাতুন নাম ধারণ করেন। তাঁর গুরু দেবেন থাপা, গৌর মোহন্ত। তাঁর প্রিয় শিল্পী লালন ফকির, আব্দুল আলীম।
সুফিয়ার মোট রচিত গানের সংখ্যা প্রায় ৫০০। তিনি রাজ সিংহাসন চলচ্চিত্রে প্রথম কণ্ঠ দেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, চীন, ভারতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
কাঙ্গালিনী উপাধি
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সাবেক ডিজি মুস্তাফা মনোয়ার তাঁকে কাঙ্গালিনী উপাধি প্রদান করেন। তারপর থেকে তিনি সুফিয়া খাতুন থেকে দেশব্যাপী কাঙ্গালিনী সুফিয়া নামে পরিচিত হন।
অভিনয়
কাঙ্গালিনী সুফিয়া দেয়াল, নোনাজলের গল্প প্রভৃতি নাটকে অভিনয় করেন। উল্লেখ্য নোনাজলের গল্প বুড়ি হইলাম তোর কারণে গানটি অবলম্বনে নির্মিত হয় যেখানে সুফিয়া প্রধান চরিত্রে একজন বাউলের ভূমিকায় অভিনয় করেন। এছাড়াও তিনি ১৯৯৭ সালে বুকের ভেতর আগুন নামে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
পুরস্কার
সংগীতে তিনি প্রায় ৩০টি জাতীয় ও ১০টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১২