পানির অপর নাম জীবন। তা কিন্তু লবনাক্ত পানি নয়, স্বাদু পানি। এই স্বাদু পানির উৎসকে কেন্দ্র করেই যুগে যুগে, কালে কালে পৃথিবীতে মানবসভ্যতা গড়ে উঠেছে ও বিকশিত হয়েছে। পৃথিবীর জলভান্ডারের ৯৭.৫০ শতাংশ পানিই লবনাক্ত, অবশিষ্ট ২.৫০ শতাংশ স্বাদু পানি। এই স্বাদু পানির ৬৮.৭ শতাংশ জমাটবাঁধা বরফ হয়ে আছে উত্তর ও দক্ষিণ মেরু এলাকায় এবং হিমবাহগুলিতে। ২৯.৯ শতাংশ পানি মজুদ আছে ভূ-গর্ভস্থিত পানির আধারে। হ্রদ, জলাধার ও নদ-নদীসমূহে স্বাদু পানির পরিমান পৃথিবীর মোট স্বাদুপানির মাত্র ০.২৬ শতাংশ। আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা প্রধান জনাব এল-বারাদে ১৯৯৫ সালে বলেছিলেন, বিংশ শতাব্দীর অনেক যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে তেলের জন্য, আর একবিংশ শতাব্দীতে যুদ্ধ হবে পানির জন্য। একবিংশ শতাব্দীতে স্বাদু পানির প্রাপ্যতা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ গুণনীয়ক হিসাবে আবির্ভূত হবে বলে অনেকেই মনে করেন।
গাঙ্গেয় অববাহিকায় অবস্থিত নদীমাতৃক বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি, পরিবেশ, কৃষি, অর্থনীতি ও জনজীবনে বিভিন্ন নদ-নদী ও খাল-বিল আবহমানকাল ধরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। বাংলাদেশের কৃষি ও মৎস্যসম্পদের ক্ষেত্রে দেশের নদ-নদী ও খাল-বিলের অবদান কোনভাবেই অস্বীকার করা যায়না। নদ-নদীকে এই দেশের প্রাণ বললে অত্যুক্তি হবেনা। বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত এই নদ-নদীগুলির প্রায় সবগুলিই ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। অতীতে এসব নদ-নদীর পানি কোন প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়ত। সারা বছর ধরে দেশের নদ-নদী-খাল-বিলে পানি থাকত। এদেশের কৃষক ঐসব খাল-বিল-নদ-নদীর পানি দিয়ে জমিতে সেচ দিত, ফসল ফলাত। জেলেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত।
আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে, ভাটির দেশের স্বার্থকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে, ভারত গত শতাব্দীর পঞ্চম দশকে পশ্চিমবঙ্গের ফারাক্কায় গঙ্গা নদীতে বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করে যা’র বাস্তবায়ন শেষ হয় সপ্তম দশকের মাঝামাঝি সময়। বাংলাদেশের মানুষ মনে করেছিল বন্ধুদেশ ভারত গঙ্গা নদীর পানির উপর বৈরী পাকিস্তানের দাবীকে উপেক্ষা করলেও বাংলাদেশের ন্যায্য দাবীকে সম্মান দেখাবে। কিন্তু তা হলো না। বাংলাদেশের কাছে ফারাক্কাবাঁধ দুই সপ্তাহের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার অনুমতি নিয়ে ভারত ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে সেই যে একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহার শুরু করে দিল, তা এখন পর্যন্ত চলছে (অবশ্য ১৯৯৬-এর ডিসেম্বর মাসে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ৩০ বৎসর মেয়াদী গঙ্গা পানিবন্টন চুক্তি হয়েছে, যদিও কতটুকু যথাযথভাবে ভারত সেই চুক্তি মেনে চলেছে তা গবেষণার বিষয়। ফলে, বাংলাদেশে পদ্মা নদী ক্রমেই হয়ে পড়ল প্রায় পানিশূন্য। এককালের কীর্তিনাশা পদ্মা হয়ে গেল ক্ষীণস্রোতা। এককালের প্রমত্তা পদ্মার বুকে চলা শুরু করল গরুর গাড়ী।
পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্তানে যে গুটিকয় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছিল, গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এই সেচ প্রকল্প দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষিতে বৈপ্লবিক অবদান রেখেছিল। ভারতের ফারাক্কা বাঁধ এই প্রকল্পের শুধু সমাধি রচনা করেনি, সেই সঙ্গে দেশের জনগোষ্ঠির প্রায় একচতুর্থাংশের জীবন ও জীবিকার উপর মরণ আঘাত হেনেছে। পদ্মা নদীতে পানি প্রবাহের অল্পতাহেতু দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদ-নদীগুলিতে লবনাক্ততা বেড়ে গিয়েছে। অতিরিক্ত লবনাক্ততার কারণে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কল-কারখানাগুলিতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। চাষযোগ্য জমিগুলি অনুর্বর অথবা চাষের অযোগ্য হয়ে গিয়েছে। অতিরিক্ত পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়া খাল-বিলগুলি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে স্বাদুপানির মাছের সঙ্কুচিত বিচরণ ক্ষেত্র আরো সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে, যা দেশের মৎস্যসম্পদের উপর সরাসরি আঘাত হানে। মাছ হয়ে পড়ে দুষ্প্রাপ্য। অনেক প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যায়।
স্বাভাবিক প্রাকৃতিক কারণে উজানে ভূমিক্ষয়ের জন্য পলি প’ড়ে প্রতিবছরই বাংলাদেশের বিভিন্ন নদ-নদীগুলি ভরাট হয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে নির্বিচারে বনভূমি ধ্বংস করা ও নগরায়নসহ মানুষের সৃষ্ট বিভিন্ন কারণে ভূমিক্ষয়ের হার বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। ফলে, অস্বাভাবিক হারে পলি প’ড়ে দেশের খাল-বিল-নদ-নদীগুলি অতিদ্রুত ভরাট হয়ে যেতে থাকে এবং এসবের পানিধারণ ক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। এখন শুকনো মৌসুমে এককালের ক্ষরস্রোতা আত্রাই নদীর বুকে ছেলেরা ফুটবল খেলে। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিলের নাম চলনবিল। নওগাঁ, নাটোর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা - এই পাঁচ জেলাজুড়ে বিস্তৃত সাগরপ্রমান চলনবিল ছিল বিভিন্ন প্রজাতির মৎস্যসম্পদ ও জীববৈচিত্রের আধার। বছরের পর বছর পলি জমে চলনবিলের পরিধি ক্রমান্বয়ে সঙ্কুচিত হয়ে চলেছে। আজকের চলনবিলকে একদার সমুদ্রপ্রায় চলনবিলের কঙ্কাল বললেও বোধহয় কম বলা হবে। বর্ষাকাল ছাড়া, শুকনো মৌসুমে চলনবিলের প্রায় পুরোটাই শুকিয়ে যায়।
শুকনো মৌসুমে দেশের মজে যাওয়া খাল-বিল-নদ-নদীগুলিতে পানি না পেয়ে সেচের জন্য কৃষকরা ভূগর্ভস্থিত পানির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। ভূগর্ভস্থিত পানির অপরিমিত ব্যবহারের জন্য পানির স্তর ক্রমাগত নীচে চলে যাওয়ায় অগভীর নলকূপগুলি খরার সময় শুকিয়ে যায়, হারিয়ে যায় গ্রামীণ জনগণের নিরাপদ পানীয়জলের উৎস। এছাড়া, নিরাপদ পানীয়জলের উৎস ব’লে বিবেচিত বেশীরভাগ অগভীর নলকূপের পানি আজ আর্সেনিক বিষে বিষাক্ত। সারা দেশজুড়ে অগণিত জনগণ দুষিত নলকূপের পানি পান করে আজ আর্সেনিক বিষে জর্জরিত। অগণিত কুসংস্কারের এই দেশে সেই আর্সেনিকবিষে জর্জরিত অনেকেই এখন একঘরে জীবনযাপন করছে। সম্ভবতঃ ভূ-গর্ভস্থিত পানির অপরিমিত ব্যবহারের ফলেই এই বিপত্তি, পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞরা ভাল বলতে পারবেন।
দেশের সমগ্র পশ্চিমাঞ্চলের কৃষি, শিল্প, বানিজ্য ও অর্থনীতি আজ পানিসংকটের ফলে বিপর্যস্ত। নদী শুকিয়ে যাবার কারণে নদীতীরবর্তী অনেক প্রাণচঞ্চল বানিজ্যকেন্দ্র আজ মৃতপ্রায়। পানির অভাবে দেশের পশ্চিমাঞ্চল আজ মরুভূমিতে পরিণত হতে চলেছে। এই মরুকরণ প্রক্রিয়া রুখতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত পানির। কিন্তু আজ সেই পানির অভাবই প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে ভারতের একগুঁয়েমির কারণে। বাংলাদেশের প্রতিবাদ সত্বেও আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে ভারত সেদেশ থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত প্রায় সব নদ-নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে চলেছে। ফারাক্কার পর তিস্তা নদীতে বাঁধ নির্মাণ শেষ করেছে, যার ফলে বাংলাদেশের তিস্তাবাঁধ প্রকল্পের উদ্দেশ্যই ভেস্তে যেতে বসেছে। ব্রহ্মপুত্র নদে বাঁধ দিয়ে ব্রহ্মপুত্রের পানি খালের মাধ্যমে দক্ষিণ ভারতে নিয়ে যাওয়ার ভারতীয় পরিকল্পনা সম্বন্ধেও আমরা জানি। দেশের পূর্বাঞ্চলের নদীগুলিতেও ভারত পর্যায়ক্রমে বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। ভারতের প্রস্তাবিত টিপাইমুখ বাঁধ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পানিসঙ্কট সৃষ্টি করবে। এসব বাঁধ নির্মাণ শেষ হলে বাংলাদেশের কোন নদীতেই হয়তো শুকনো মৌসুমে পানি পাওয়া যাবেনা, আর বর্ষাকালে বাংলাদেশ বন্যার পানিতে ভাসবে।
ভারতের সৃষ্ট এই পানি সমস্যা মোকাবিলা করতে আর কালক্ষেপণ না করে এখন থেকেই প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশের নদ-নদীতে প্রাপ্ত পানির সর্বোত্তম ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যেই অবশ্য কর্তব্য। দেশের পশ্চিমাঞ্চলের পানিসংটক নিরসন করতে পদ্মা ও যমুনায় প্রাপ্ত পানির সর্বোত্তম ব্যবহারের বিকল্প নেই। ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া রুখতে তদানীন্তন পাকিস্তান সরকার হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ভাটিতে পদ্মা নদীতে বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু তার বাস্তবায়ন হয়নি। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকারও হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও পদ্মা-যমুনার সংযোগস্থলের মধ্যবর্তী কোন সুবিধাজনক জায়গায় বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে এবং সে উদ্দেশ্যে কিছু প্রাথমিক সমীক্ষাকাজও সম্পাদন করেছে। ভারতের ফারাক্কা বাঁধ থেকে ছেড়ে দেওয়া পানির উপর নির্ভর করে প্রস্তাবিত স্থানে পদ্মা বাঁধ নির্মিত হলে তার সাফল্য নিয়ে সন্দেহ থাকবে। আমরা দেখেছি, পানিবন্টন চুক্তি করেও ভারত চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে পানি দেয়নি। ভবিষ্যতে ভারত যে চুক্তি অনুযায়ী পানি দিবে তারও নিশ্চয়তা নেই। এছাড়া, পদ্মা নদীতে প্রাপ্ত পানি দিয়ে গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পানি সমস্যার সমাধান হলেও দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পানি সমস্যার সমাধান হবেনা। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পানি সমস্যার সমাধান করতে হলে পদ্মা ও যমুনা দুই নদীর পানিকেই ব্যবহার করতে হবে। আর এই দুই নদীর পানির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে আরিচার ভাটিতে বাঁধ নির্মাণ করার বিকল্প নেই। পদ্মা-যমুনার সংযোগস্থলের উজানে একটি বাঁধ নির্মাণ করার পর আরিচার ভাটিতে আরেকটি বাঁধ নির্মাণ করার মতো আর্থিক সঙ্গতিও বাংলাদেশের নেই।
আরিচার ভাটিতে নির্মিত পদ্মা বাঁধ হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ভাটিতে প্রস্তাবিত পদ্মা বাঁধের সমস্ত প্রয়োজন মিটিয়েও দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পানিসংকট সমাধানে অবদান রাখবে। আরিচার ভাটিতে যথাযথ উচ্চতার বাঁধ নির্মাণ করে বাঁধের জলাধারের পানি শুকনো মৌসুমে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বড়াল, হুরাসাগর, আত্রাই, করতোয়া, বাঙ্গালী, ইছামতি নদীতে পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা যেতে পারে। এর ফলে চলনবিলসহ দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় সব নদ-নদী-খাল-বিলে সারা বছর পানি থাকবে। সেচের জন্য কৃষকদেরকে আর ভূগর্ভস্থিত পানির উপর নির্ভর করতে হবেনা। ভূগর্ভস্থ পানির স্তরও ক্রমান্বয়ে উপরে চলে আসবে। খাল-বিল-নদ-নদীতে সারা বছর পানি থাকার কারণে মাছের উৎপাদনও বাড়বে। আরিচার উজানে ব্রহ্মপুত্র-যমুনার দুই পাড়েই বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ বিদ্যমান। বিদ্যমান বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলিকে সংস্কার করেই পদ্মা-যমুনা- ব্রহ্মপুত্র নদীকেই প্রস্তাবিত পদ্মা বাঁধের জলাধার হিসাবে ব্যবহার করা যাবে। ফলে, বিভিন্ন নদীমুখে সলুইসগেট নির্মাণ করা ও ভরাট হয়ে যাওয়া খাল-বিল-নদ-নদীর খনন ও সংস্কার করা ছাড়া অবকাঠামো উন্নয়নে আর কোন খরচ হবেনা হয়তো।
ইতোমধ্যেই সরকার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মাওয়ায় পদ্মা সেতু নির্মাণের পর মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় আরেকটি সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আমি মনে করি পাটুরিয়ায় আরেকটি সেতু নির্মাণ না করে সেখানে একটি বহুমুখী বাঁধ নির্মাণ করলে তা বাংলাদেশের জন্য বেশী উপকারী হবে। এর ফলে শুধু পদ্মা দিয়ে প্রবাহিত পানিই নয়, যমুনা নদীর স্রোতধারাকেও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। ঐ বাঁধে সড়কের পাশাপাশি রেল, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপন করার ব্যবস্থাও থাকতে পারে। সেতুর পরিবর্তে বহুমুখী বাঁধ নির্মাণ করতে অবশ্যই খরচ বেশী হবে। হয়তো ঐ বাঁধ নির্মাণ করতে আমরা বিদেশী অর্থসাহায্য পাব না, তবুও দেশের অস্তিত্ব রক্ষা করতে আমাদের নিজস্ব সম্পদ ব্যবহার করে হলেও আরিচার ভাটিতে পদ্মা বাঁধ নির্মাণ করা একান্ত প্রয়োজন। আর যত তাড়াতাড়ি এই বাঁধ নির্মাণ করা যায় ততই দেশের মঙ্গল।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


