somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শিরোনামহীন-১ এবং আমরা বাংলাদেশীরা!!

২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঘটনা ১ঃ “মেয়েটির নাম প্রিয়াঙ্কা। লম্বায় ৫.৪ কিবা ৫.৫ হবে। খুবই মেধাবী। বাসায় ষাটঊর্ধ্ব অবসরপ্রাপ্ত চাকুরিজীবী বাবা আছেন, তিনি অসুস্থ। ৩ বছর হয় প্যারালাইসড হয়ে বিছানাই তার একমাত্র সঙ্গী। পেনশনের কিছু টাকা দিয়েই এতোদিন সংসার চলে গেছে, কিন্তু বাবার চিকিৎসার জন্য দরকার টাকা। এর জন্য প্রিয়াঙ্কাই একমাত্র ভরস। সে অনেক জায়গায় ধরনা দেয়, ইন্টারভিউ দেয়। কিন্তু তার চাকরি হয়না।
সে মেধাবী হলে কি হবে? তার মুখের রঙ কালো চিকচিকে। তাই কেউ তাকে চাকরি দেয়না। ভাইভা বোর্ডে তাকে চরম অপমান করে বের করে দেয়া হয়। বাসায় এসে সে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে অনেক কান্না করে।
একদিন তার মা তাকে রঙ ফর্সাকারী ফেয়ার এন্ড লাভ্লি দেয়, মাত্র ৪ সপ্তাহ পরে প্রিয়াঙ্কার রঙ এমন ফর্সা হয় যে এক লাফে সে বিমান বালা হয়ে যায়। তাদের সংসারের অভাব সে তুরি মেরে উড়িয়ে দেয়। বাপও খুশি মাও খুশি।
আহা...”
ঘটনা ২ঃ “ছেলেটির নাম অদিত। বয়স ১১, ক্লাস ৫ এ পড়ে। অদিতের বাবা অদিতকে স্কুলে দিয়ে আসতে পারেন না কারণ সকাল ৮ টার মধ্যেই তাকে অফিসের দিকে রওনা দিতে হয়।
তাছাড়া অদিতের একটা ছোট বোন হওয়ার কারণে অদিতের মা আর অদিতকে স্কুলে নিয়ে যেতে পারেন না। তাই সাইকেলই অদিতের ভারসা।
তো একদিন অদিত স্কুলে যাওয়ার সময় জ্যামে পড়লো। অদিত সাইকেলে বসে আছে, এমন সময় দামি গাড়িতে বসা এক ভদ্র লোক অদিতকে দেখে টিটকারী মেড়লো। কারণ?
কারণ অদিতের গায়ের স্কুল শার্ট ছিল ময়লা। অদিতও ২ টাকার সার্ফ এক্সেলের জাদুতে তার ময়লা শার্ট পরিস্কার করে ফেলল।
এখন একসাথে সবাই বলেন
আহা...”

এই দুইটা ঘটনাই টিভি এড থেকে নেয়া, তথাকথিত আমাদের বন্ধু প্রতিম দ্যাশ ভারতের কিছু মানুষ (!!!) এই টাইপ এড বানিয়েছেন। তাদের মেন্টালিটি কতটা Cheap হলে তারা এই রকম কনসেপ্ট নিয়ে এড বানায়!!!!!!!
আর বানাবেই না কেন, একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে না? অপারের দাদাদের বাড়িতে বেড়াতে গেলে নাকি তারা আগেই প্রশ্ন করে উঠে “কি গো দাদা খেয়ে আসেছেন নাকি গিয়ে খাবেন!!!”

একটু দাঁড়ান, কষ্ট করে গুগুলে গিয়ে "মা" লিখে সার্চ দেন তো, রিজাল্টগুলো একটু বিশ্লেষণ করলেই দেখতে পাবেন মা নিয়ে বাজে বাজে **গুলো কাদের লেখা। নিজের মাকে নিয়ে যারা এসব লিখে তারা আর যাই হওক মানুষ হতে পারে না।
আপনার বিবেক কি বলে???

আর আমি ভারত বিদ্বেষী, ডু ইয়ু হেভ অ্যানি প্রবলেম????? ভারতীয় সংস্কৃতি তথা হিন্দি মুভি, গান বাজনা থেকে শুরু করে ভারতীয় পণ্য আমি ঘৃণা করি। থুতু দেই!!!

আমার ফেবু লিস্টের কোন আবুল হিন্দিতে স্ট্যাটাস দিলে তাদের আমি আন-সাবস্ক্রাইব/আনফলো করে রাখি। উৎপাত বেশি হলে ফ্রেন্ড লিস্ট থেকে রিমুভ করে দেই।
আমাদের নিজেদের সংস্কৃতি ধ্বংস করার আগেই আমাদের সাবধান হতে হবে।
কারণ ভারতের মতো বেঈমান দেশ পৃথিবীতে আর একটাও নাই। ভারত এমনই একটা দেশ যে দেশে হিন্দুরা সংখ্যা গরিষ্ঠ হলেও বাংলাদেশ থেকে কোন হিন্দু ভারতে গেলে ভারতীয়রা উপহাসের চোখে দেখে। তাদের একটাই কথা তুমি বাংলাদেশি!!!
Whatta Shame!!!
সীমান্তে যারা পাখির মতো গুলি করে আমার দেশের মানুষ মারে, বি.ডি.আর. বিদ্রোহের আড়ালে যারা তাদের গুয়েন্দা সংস্থা দিয়ে আমাদের দেশের সেনাবাহিনীর ১৫০+ অফিসারকে হত্যা করে, ফারাক্কা বাধ টিপাইমুখে বাধ দিয়ে যে দেশ আমাদের ন্যায্য পানির দাবী না মিটিয়ে এই দেশকে মরুভূমি বানাতে চায়, যারা আমাদের সুন্দরবন ধ্বংস করে, যে দেশ আমাদের দেশে হাজার হাজার কোটি টাকার হেরোইন পাঠিয়ে ,বাংলাদেশের সীমান্তের কাছে দেশ ১৪ টিরও বেশি ফেন্সিডিলের কারখানা দেয় শুধুমাত্র এদেশের যুব সমাজকে ধ্বংস করার জন্য সে দেশ আর যাই হওক কখনও কারও বন্ধু হতে পারে না।
এজন্যই লোকে বলে “ভারতের মতো বন্ধুপ্রতিম দেশ থাকলে সে দেশের শত্রুর দরকার হয়না।”
বন্ধু নামের কালনাগিনী সাপের ছোবল থেকে বাঁচতে হলে এখনি এদের সঙ্গ ত্যাগ করে হবে। কারণ সময়ের এক ফোঁড় আর অসময়ের দশ ফোঁড়।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:০১
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪১

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক

১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×