মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির পদ্ধতি হিসেবে তারা বেছে নেয় কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলাকে। যেহেতু আওয়ামী লীগকে দিয়ে এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উপর আঘাত হানা যাবে না, অন্য কোন শক্তি দিয়েও তা করা সম্ভব নয়। সেহেতু তারা বেছে নেয় আওয়ামী ঘেষা দাঁড়িটুপি পরা মুসলমানদের। শায়খ আব্দুর রহমান, মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মসউদ, বাংলা ভাই সহ এই জাতীয় লোকদের। আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর্জা আজমের বোন জামাই হলেন শায়খ আব্দুর রহমান, যিনি এই জঙ্গিবাদের প্রধান। অন্যতম আরেক শীর্ষ নেতা মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, যিনি আওয়ামী ওলামালীগের উপদেষ্টা, শায়খ আব্দুর রহমানের ভাবশীষ্য জেএমবির বাংলা ভাই। 17 আগস্টের বোমা হামলার পরিকল্পনা করে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাটি বাস্তবায়ন করে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা 'র' । 'অপারেশন পারপেল' নামে এই পরিকল্পনা গোয়েন্দা সংস্থাটি বাস্তবায়ন করে জেএমবি ও উগ্র সর্বহারাদের মাধ্যমে। কোথাও কোথাও যুবলীগের কর্মীদের অপারেশনে ব্যবহার করা হয়। ফেনীর জয়নাল হাজারী এবং নারায়নগঞ্জের শামীম ওসমানের যোগসাজস পাওয়া গেছে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে। সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তারকৃত ভারতীয় নাগরিক নাসির উদ্দিন দফাদার বলেন, "আমি ভারতীয় নাগরিক। আমি ভারতের একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে মসজিদে ইমামতি করতাম। সে সময় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার জনৈক কর্মকর্তার সাথে আমার পরিচয় হয়। আমি গোয়েন্দা সংস্থার চাকরি নেই এবং ট্রেনিং গ্রহণ করি। অস্ত্র চালানো থেকে শুরু করে কমান্ডো হামলা পর্যন্ত ট্রেনিং প্রাপ্ত হবার পর আমাকে 1995 সালে আমাকে আহলে হাদীস এর সাথে যোগদান করার নির্দেশ দেয়া হয়। আমি আহলে হাদীসে যোগদান করি। 2003 সালে আমাকে শায়খ আব্দুর রহমান এর জামায়াতুল মুজাহেদীন এর সাথে যোগদান করতে বলা হয়। আমি নির্দেশ মোতাবেক তার দলে যোগদান করি এবং বিভিন্ন জায়গায় ক্যাডারদের ট্রেনিং দেই। আমার পরিবার ভারতেই আছে। 17ই আগষ্টের বোমা হামলায় আমি সরাসরি জড়িত"। (আমার দেশ-26/08/05)
ভারতীয় আর এক নাগরিক গিয়াস উদ্দিন- এই সিরিজ বোমা হামলার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করে। ভারতীয় এই নাগরিকও ভারতে গোয়েন্দা সংস্থার তত্ত্বাবধানে ট্রেনিং প্রাপ্ত হয় এবং তাদের নির্দেশ মোতাবেক বাংলাদেশে তার দায়িত্ব পালন করে। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র' এর ট্রেনিং প্রাপ্ত আর এক নাগরিক ডাঃ এস. এম মাসুদ বিন ইসহাক গ্রেপ্তার হলে পুলিশকে সে সিরিজ বোমার বিস্তারিত তথ্য দেয়। 'র' এর নির্দেশে সে 1991 সালে জামা'তুল মুজাহেদীন যোগ দেয় এবং 2003 সালে জেলা আমীরের পদে অধিষ্ঠিত হয়। (নয়া দিগন্ত 19/09/05) বোমা হামলার ব্যাপারে সে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয়। ভারতীয় আর এক নাগরিক আঃ রউফ গ্রেপ্তার পর পাগলের ভান করে যাচ্ছিল। পরবর্তীতে সে ভয়ংকর সব তথ্য পরিবেশন করে। হাইকোর্টের মাজার থেকে গ্রেপ্তারকৃত ভারতীয় আর এক নাগরিক সিরিজ বোমা হামলার সাথে জড়িত। সরকারের স্পর্শকাতর স্থাপনার উপর বোমা হামলার দায়িত্ব দিয়ে 'র' গোয়েন্দা সংস্থা তাকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। আওয়ামী ওলামা লীগের উপদেষ্টা মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মসউদ যিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনে চাকরী করতেন এবং অখন্ড ভারতে বিশ্বাসী ভারতীয় নেতাদের বই অনুবাদ করে তিনি বাংলাদেশে বিতরণসহ এই বোমা হামলার সার্বিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত বলে জানা যায়।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



