somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ অনুজ

২৬ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করতে থাকে শম্ভু। আরামদায়ক বিছানা বলতে যা বোঝায় তাতে সে শোয়নি। এলোমেলো ছড়িয়ে দেয়া খড়ের ওপর কয়েকটা তেল চিটচিটে কাঁথা পাশাপাশি বিছিয়ে বানানো হয়েছে বিছানাটা। বাঙালির গড়পড়তা উচ্চতার তুলনায় শম্ভু আহামরি কোন লম্বা মানুষ নয়। তবুও তার পা কাঁথার আচ্ছাদনের বাইরে বেরিয়ে এসেছে। ক্লান্ত মাথাটা দুদন্ড শান্তি পাচ্ছে না বালিশের অনুপস্থিতিতে। উদোম শরীরে খড়ের আঁচড়ে তীব্র চুলকোনি হয়। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো জুটেছে ঝাঁকে ঝাঁকে মশা। তার পাশে শুয়ে থাকা জনা সাতেক ক্লান্ত মানুষের বিচিত্র নসিকা গর্জনে হারাম হয়ে গেছে ঘুমের পরিবেশ। চোখ বুজে মড়ার মতো পড়ে থাকে শম্ভু। নাছোড়বান্দার মতো রাতের দেবীকে চোখে ঘুম এনে দেবার ফরিয়াদ জানায়।


আগস্টের মাঝামাঝি। বর্ষার তীব্র বিষাদ আস্তে আস্তে মিলিয়ে গিয়ে আকাঙ্ক্ষিত শরত আসি আসি করছে। মেঘের দল শোকের কালো পোশাক বদলে নিয়েছে শুভ্র আবরণে। ভর দুপুরে সূর্যের প্রখর উপস্থিতিতে চোখ ধাঁধিয়ে দিচ্ছে আকাশের নীল। রাস্তার পাশে ধানি জমিগুলোতে বিগত বন্যার হাঁটু পানি জমে আছে। ভালো ভাবে খেয়াল করলে ছোট ছোট মাছের উপস্থিতি ঠাহর করা যায়। স্বাভাবিক সময়ে শম্ভু হয়তো জাল নিয়ে নেমে যেত মাছ শিকারে। বিকেলবেলা ভাসমান ছিপগুলো পরীক্ষা করতো ছটফটে টাকি মাছের আশায়। পেশায় নাপিত হলেও মাছ ধরার নেশা ও কৌশলে শম্ভু ষোলআনা পেশাদার। খালি হাত দিয়ে ছুটন্ত মাছ পাকড়াও করা খুব যে গোলমেলে ব্যাপার নয় সেটা তাকে দেখলে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে। মাছের ঝাঁক থেকে চোখ ফিরিয়ে শম্ভু দূরের রাস্তার দিকে তাকায়। হুডওয়ালা একটা সামরিক জিপ দেখতে পেয়েই নিজেকে লুকিয়ে ফেলে একটা শনের ঝোপের আড়ালে। মুঠোর মধ্যে শক্ত করে আঁকড়ে ধরে থ্রি নট থ্রি রাইফেল। চট করে চোখ বুলিয়ে নেয় চারপাশে। তার মতোই পজিশন নিয়েছে দলের অন্যান্য যোদ্ধারা। সাত জনের ছোট্ট টহল দল। এরই মধ্যে আফজাল রাস্তা ছেড়ে নেমে পড়েছে ধান ক্ষেতের গভীরে। এদিকটার পানি তুলনামূলক গভীর। কুসুম গরম পানিতে মৃদু ঢেউ তুলে এগিয়ে যাচ্ছে পজিশনের জন্য। আফজালের হাতে দলের একমাত্র এলএমজি। শম্ভু নির্দেশের অপেক্ষায় তাকায় দলনেতা মতিনের দিকে। তার কালো ফ্রেমের চশমা আঁটা চোখে দুশ্চিন্তার ছাপ। শম্ভুসহ অন্যদের পানিতে নামার আদেশ দেয় সে। গ্রাম্যপুকুরের অনাহূত অতিথি ঢোঁড়া সাপের মতোই নীরবে এগিয়ে যায় মুক্তিবাহিনী। খানিকটা এগিয়ে গিয়ে আড়াল করে নিজেদের অবয়ব। জমির আইলে রাইফেল রেখে ধ্যানী বকের মতো অপেক্ষা করে শত্রুর। চোখে মুখে তীব্র উৎকণ্ঠার ছাপ আর হৃদয়ে হাতুড়ির দ্রিম দ্রিম অনুভূতি। দলের নতুন রিক্রুট জনা চারেকের জন্য এই স্নায়ুক্ষয়ী অপেক্ষা সহ্য সীমা অতিক্রম করে ফেলে। ঘন ঘন হাই তুলে উত্তেজনার পারদের অবনমন ঘটাতে চায় তারা। মতিন তাদের দিকে তাকায়। মেঘালয়ে ট্রেইনড ছেলেগুলো এখনো এই নতুন দলের সাথে একত্ম হতে পারেনি। এরা নিজেদের মধ্যে থাকে। খাওয়া-দাওয়া, ঘুম সব একসাথে সারে। এখনো পাশাপাশি অস্ত্র নিয়ে শুয়ে আছে। গুজব আছে এরা ইসলামী ছাত্র সংঘের সাথে জড়িত ছিলো যুদ্ধের আগে। তারচেয়েও ভয়ের কথা সিরাজুলের বাবা শমসের মওলানা গাইবান্ধার চিহ্নিত রাজাকার। দুশ্চিন্তা হয় মতিনের।


আফজাল খানিকটা মাথা উঁচু করে আগুয়ান জিপটার অবস্থান যাচাই করতে চায়। খক করে কেশে ওঠে বাসেত। দুম করে তার মুখ চেপে ধরে শম্ভু। তাড়াতাড়ি করতে গিয়ে তার হাত ও বাসেতের মুখের সংঘর্ষটাকে থাপ্পড়ের মতো শোনায়। বাসেতের মেঘালয়ের কমরেডত্রয় আচমকা ভড়কে যায়। সিরাজুল উত্তেজনায় চেপে বসে বন্দুকের ট্রিগার। ঘটনার স্থায়ীত্ব খুব কম। সময়ের কিছু ভগ্নাংশের বেশী নয়। এটাই যথেষ্ট হয় শত্রুকে সতর্ক করার। পাঞ্জাবি মিলিটারি ড্রাইভার আচমকা গতি কমিয়ে ফেলে উল্টো দিকে গাড়ির মুখ ঘোরায়। জিপে উপবিষ্ট সৈনিকেরা শম্ভুদের উপস্থিতি অনুমান করে বুলেটের তীব্র জবাব দিতে দিতে ফিরে যায় তাদের পুরনো ডেরার পথে। শব্দ করে একবার শ্বাস নিয়ে পানিতে শরীর ডুবিয়ে দেয় শম্ভু। অন্যরাও অনুকরণ করে তাকে। দম না ফুরনো পর্যন্ত ডুবে থাকে সবাই। তারপর আস্তে আস্তে মাথা উঁচু করে। জিপটা চলে গেছে বিপদসীমার বাইরে। রাস্তায় ইতস্তত উড়োউড়ি করছে ধুলো। সূর্যের তাপে পুড়ে যাওয়া দূরের সবুজ গ্রামগুলোকে দুর্ভেদ্য জঙ্গল মনে হয় তাদের। পাকিস্তানি বন্য পশুগুলো ফিরে গেছে নিজেদের আস্তানায়। ওরা আবার ফিরবে। এইবার দল ভারী করেই ফিরবে। পাড়ার ঘেয়ো কুকুরের দল সাধারণত দল বেঁধেই চেঁচায়। এই কুকুরেরা ফিরবে মেশিনগান নিয়ে। এখানে দেরী করাটা বোকামি। মতিন সবাইকে ফিরে যাওয়ার কথা বলে। তাদের হাইড আউটটা পাশে বয়ে যাওয়া ঘাঘট নদীর ওপারে। সেখানে তাড়াতাড়ি ফেরাটাই মঙ্গল।


হাইড আউটে ফিরেই শুরু হয় বাদানুবাদ। সিরাজুলকে কষে থাপ্পড় মারে আফজাল। বয়সে ও ফিল্ডে সে সিনিয়র। দলের সবার উপর আদেশ ছিলো মতিনের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করার। গেরিলাযুদ্ধ ব্যাকরণ মানেনা। কিন্তু নিয়মিত সৈন্যদলের মতো চেইন অব কমান্ড এখানেও আবশ্যক। থাপ্পড় খেয়ে কুঁকড়ে যায় সিরাজুল। গলার স্বর সপ্তমে তুলে বলে ওঠে, ‘এইটা শম্ভুদার দোষ। শালা মালাউন তুই বাসেতের গায়ে হাত দিলি ক্যান?’ শম্ভুর শরীরে কেউ যেন সুঁই ফুটিয়ে এসিড ঢেলে দেয়। মাথাটা বন বন করে ঘুরে ওঠে দু’পাক। ‘মালাউন’ সম্বোধনটা তার জন্য নতুন কিছু নয়। এদেশে সে জন্মেছেই এই ডাক শোনার জন্য। সিরাজুলের গালাগালির তীব্রতা বাড়তেই থাকে। একপর্যায়ে সে থাপ্পড় কষায় বয়োজ্যোষ্ঠ শম্ভুর গালে। নিমেষেই যুদ্ধাবস্থা মিলিয়ে গিয়ে শম্ভু চলে যায় ভগবানপুর বালক বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে। দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ার সময় ইংরেজির ইবরাহিম স্যার শম্ভুকে ‘মালু’ বলে ডেকেছিলেন। তারপর থেকে ক্লাসে তার নাম হয়ে যায় ‘মালাউন শম্ভু’। সংখ্যালঘুর হয়তো এটাই নিয়তি। পাকিস্তান রাষ্ট্রটি না হয় ঘোষিতভাবেই সাম্প্রদায়িক ছিলো। এই যুদ্ধ তো একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের জন্মযুদ্ধ। এই যুদ্ধ তো সমতা ও সাম্যের যুদ্ধ। এই যুদ্ধ তো তার মাথা উঁচু করে জাতীয় পতাকা আঁকড়ে ধরার যুদ্ধ। এই যুদ্ধ তার আত্মপরিচয় অর্জনের। নিজের আক্ষেপ গিলে খেতে কষ্ট হয় তার। গলায় আটকানো কষ্টগুলো আর্দ্র করে মনের সীমানা। মতিনের প্রতিক্রিয়া হয় দেখার মতো। তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে সে। সিরাজুলকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে ডান পায়ের ক্রমাগত লাথিতে উগড়ে দেয় ঘৃণা। এই ছেলেটাকে নিয়ে শুরু থেকেই তার সন্দেহ ছিলো। দলনেতার ক্রোধ সঞ্চারিত হয় সবার মাঝে। তারাও পা চালায় সিরাজুলের শরীরে। শুধু দাঁড়িয়ে থাকে সিরাজুলের তিন বন্ধু ও শম্ভু। হকচকিত অবস্থায় খাবি খায় সিদ্ধান্তহীনতায়। শেষমেশ মতিন লাথি চালানো থামায়। সিরাজুলকে বেঁধে রাখার নির্দেশ দেয় সে। আজ রাতেই তার শাস্তি ঘোষণা ও কার্যকরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দ্রুত কদমে চলে যায় কুঁড়ে ঘরটার ভেতর। সামরিক একটি দলের জন্য শৃঙ্খলা অত্যাবশ্যকীয় বিষয়। সিরাজুল সেটা ভেঙ্গেছে। দলনেতা হিসেবে মতিনের দায়িত্ব হলো উপযুক্ত শাস্তি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা। যুদ্ধের ময়দানে লঘু শাস্তির কোন বালাই নেই। এখানে দৃষ্টান্ত সাধারণত মৃত্যুদন্ড কার্যকরের মাধ্যমেই স্থাপিত হয়।


হাইড আউটের সবেধন নীলমণি কুঁড়ে ঘরটার পাশেই একটা বছর চারেকের বন্ধ্যা কাঁঠাল গাছ। সেটাতেই পিছমোড়া করে বাঁধা হয়েছে সিরাজুলকে। মাথা নিচু করে মৃদু স্বরে ফুঁপিয়ে চলছে সে। নিজের মৃত্যুদন্ড কার্যকরের অপেক্ষায় থাকা সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে নিষ্ঠুর প্রতীক্ষা। তার বারবার মনে হয় ক্ষুদিরাম বসুর কথা। স্থানীয় পত্রিকার একটা ঝাপসা ফটোগ্রাফে ক্ষুদিরামকে দেখেছিলো সে। এই কমবয়সী ছেলেটাও নিজের ফাঁসির জন্য অপেক্ষা করেছিল। পরক্ষণেই তার মন বিষিয়ে ওঠে চোখে আঙুল দেয়া বৈপরত্যে। কোথায় আগরতলা আর কোথায় চৌকির তলা! ক্ষুদিরাম শহীদ হয়েছিলেন প্রতিপক্ষের নির্দেশে। অথচ তার মাথার ওপর ঝুলে থাকা খড়গ স্বপক্ষের। যথাযথ শেষকৃত্যানুসারে কবরে ঠাঁই করে নেয়ার সুযোগ এক্ষেত্রে খুব কম। দেশ স্বাধীন হলে শহীদের মর্যাদাও কেউ দেবেনা। সহযোদ্ধারা মুখ খিঁচিয়ে বয়ান করবে তার বেয়াড়াপনার কথা। মানবজীবনকে বড্ডো বেশী অকিঞ্চিৎকর মনে হয় সিরাজুলের। পৃথিবীর জল-ছায়া-মেঘ, অদূরের বাচ্চাওয়ালা মুরগিটাকে বড় ভাগ্যবান মনে হয় তার। ঈর্ষা প্রগাঢ় হয়। কাকডাকা ভোরে বিছানা ছেড়ে ঘুমন্ত ছোটভাইটার প্রতি যেমন ঈর্ষা হতো তেমন বোধ হয়। দুই হাতের বাঁধন ছিড়ে পালানোর ইচ্ছেটা মাথাচাড়া দেয়। অথচ তাতে কেবল পাকানো রশির দাগ কব্জিতে আলপনা আঁকে। যন্ত্রণায় মুখোভঙ্গিতে বিকৃতি আনে সে। চোখের সামনে অমোঘ নিয়তিকে প্রত্যক্ষ করে শিশুর মতো কান্নায় কুঁকড়ে যেতে থাকে। উপচে পরা ভাতের মাড়ের মতো চোখের বাঁধ ভেঙ্গে গড়িয়ে পড়তে থাকে অশ্রু। বুকের ভেতর দলাপাকানো অসহায়ত্ব বিদীর্ণ করে জীবনের আপাত সরল সমীকরণ।


শম্ভুর বিড়ির নেশাটা প্রবল নয়। মানে বিড়ি সে টানলেও চলে না টানলেও সমস্যা হয়না। সন্ধ্যায় একরাশ পান্তা গিলেছে সে। সাধারণত আহারের পরে দলের বাসিন্দাদের হাত ঘুরে দুই তিন টান বিড়ি পাওয়া যায়। এজন্য ধীরে ধীরে তামাকের প্রতি তার একটা আসক্তি জন্ম নিচ্ছে। শম্ভু গা করে না। হোক না, একটা দুইটা নেশা না থাকলে সে আবার পুরুষ নাকি! শম্ভুর মাথাজুড়ে এখন শুধু সিরাজুল। বিড়ির শেষাংশে কষে কয়েকটা টান দিয়ে জানালা গলে বাইরে তাকায় সে। সিরাজুল মাথা নিচু করে বিড় বিড় করছে। আল্লাহকে ডাকছে? মায়ের স্মৃতিচারণ করছে? নাকি প্রেয়সীর জন্য জমানো কথা নিজেকেই শুনিয়ে যাচ্ছে? মানুষের চরিত্রে এক ধরনের দ্বৈততা আছে। নিঃসঙ্গ মানুষ নিজের অন্য সত্তার সাথে আলাপচারিতায় অলস সময় পার করে। শম্ভু সিরাজুলকে ভালোভাবে খেয়াল করে। দুই পা দু’দিকে ছড়িয়ে বসে আছে সে। প্রিন্টের লুঙ্গিটা হাঁটুর উপরে উঠে তার লোমশ শরীরের অস্তিত্ব জাহির করছে। ফুল হাতা শার্টটার এখানে ওখানে ছিঁড়ে জবড়জং আকার ধারণ করেছে। তার মুখে বিকেলের প্রহারের চিহ্ন। ঠোঁটের কোণে জমাট রক্ত পানের কষের মতো গড়িয়ে পড়েছে। সিরাজুলকে তার অনুজ নরেশ বলে ভ্রম হয় শম্ভুর। পান খেয়ে সারল্যমাখা হাসি দিয়ে কিশোর নরেশ সুর করে ডেকে উঠতো ‘দাদা’ বলে। লাল দাঁতের দেঁতো হাসি দিয়ে মাতিয়ে রাখতো বাড়ির চারপাশ। প্রিন্টের লুঙ্গি ও শম্ভুর পুরনো শার্টে নরেশ যেন ফিরে এসেছে সিরাজুল হয়ে। আফজালের বিড়ির প্যাকেট থেকে একটা শলাকা আলগোছে সরিয়ে সে ঘরের বাইরে বেরোয়। সিরাজুলের সামনে এসে বাতাসের প্রাবাল্য হাতের তালুতে এড়িয়ে দেশলাই ঠোকে। সে শব্দে সচকিত হয় সিরাজুল। চোখের সামনে শম্ভুকে দেখে তার দৃষ্টিতে ভর করে তীব্র ভয়। আজরাইল এসেছে তার সামনে।
‘আমারে মাইরা ফালাইতে আইছো শম্ভুদা?’
শম্ভু হাসে। জল্লাদের নির্বাক হাসি। সিরাজুলের গায়ে কাঁটা দেয়। কলেমা শাহাদত আওড়াতে গিয়ে দেখে তাইয়্যেবাও ভুলে গেছে। মৃত্যু বোধহয় এমনই। সহস্রবার দেখা মায়ের মুখটাও ঝাপসা ক্ষুদিরামের ছবির সাথে মিলে যায়।


শম্ভু সিরাজুলের পেছনে গিয়ে লুঙ্গির প্যাঁচে লুকানো ছোট্ট একটা ছুরি বের করে। বিড়িটা মুখে গুঁজে তার হাতের বাঁধন কেটে দেয়। ঘটনার আকস্মিকতায় সিরাজুল বিস্মিত হতেও ভুলে যায়। তারপর নিঃশব্দে দৌড় দেয় দূরের অন্ধকারে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×