সম্প্রতি বেশ কিছুদিন আগে পুরোনো পত্রিকা নিয়ে ঘাটাঘাটি করার সুযোগ পেয়েছিলাম। পুরাতন বই, পুরাতন পত্রিকা, পুরাতন তৈজসপত্র সব কিছুতেই আমার মোহ কাজ করে। সে হিসেবে পুরাতন পত্রিকা ঘাঁটার কাজটা বেশ উপভোগ করেছি। প্রথমেই সাবধান করে দেয়া হয়েছিল যেন, মাস্ক পড়ে যাই না হলে এ্যালার্জির সমস্যা হবার ঝুঁকি আছে। একেক মাসের একেকটি পত্রিকার বড় স্তুপকে বই আকারে রূপ দেয়া হয়েছে। সাদাকালো পুরাতন বর্ণে লেখা আমাদের ইতিহাস। কাগজগুলো কেমন মলিন হয়ে আছে। বিভিন্ন খবরে ভরপুর গ্রামীন জীবন যাপনের করুণ চিত্র। বিভিন্ন কোম্পানির পণ্যের বিজ্ঞাপন। ছবি তোলার অনুমতি থাকায় বেশ কিছু মজার সংবাদ তুলে রেখেছি।
পত্রিকায় চোখ বুলাতে হঠাৎ একটা সংবাদের দিকে চোখ পড়ল। প্রথমেই হেসে উঠেছিলাম হো হো করে। রসিক সংবাদকর্মী একদম খিচুরির মত সুস্বাদু ভাষায় এই সংবাদটিকে উপস্থাপন করেছে। বন্ধু মহলে হাসতে হাসতে পেটে দম ধরে গেছিল।
শিরোনামঃ- ময়মনসিংহের নয়াবতী গ্রামে ডাকাতদের মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত
মূল সংবাদঃ- গত ২৫শে জানুয়ারী রাতে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানার নয়াবতী গ্রামে পাকুন্দিয়া, হোসেনপুর, গফরগাঁও ও ভালুকা থানার ডাকাতদের এক মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বিরই গ্রামের জনৈক মনু মিঞার সভাপতিত্তে¡ অনুষ্ঠিত মহাসম্মেলনে চারশতেরও বেশি ডাকাত উপস্থিত ছিল বলে বিশ্বস্তসুত্রে প্রাপ্ত সংবাদে জানা গেছে।
৫/৬টি হ্যাজাক লাইটের আলোয় উদ্ভাসিত মহাসম্মেলনে গৃহীত এক প্রস্তাবে ডাকাতদের ঐতিহ্য রক্ষার শফত গ্রহণ করা হয়। লেপ, কাঁথা, বালিশ ডাকাতির নামে চুরি করে যারা ডাকাতির নামে কলঙ্ক লেপন করছে তাদের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করা এবং নিজেদের মধ্যে সম্প্রীতি রক্ষার আহ্বান জানানো হয়। মহাসম্মেলনে কেহ ধরা পড়লে দলের অন্যদের নাম প্রকাশ না করার শফত গ্রহণ করা হয় এবং নিজেদের এলাকায় গরীব লোকের বাড়ীতে ডাকাতি না করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
অধিকন্তু মহাসম্মেলনে কথিত চার থানার পুলিশ প্রধানের প্রত্যেককে ডাকাতদলের প্রতি সপ্তাহে যে ছয়শ টাকা করে সেলামী প্রদান করতে হয় সে টাকাটা যাতে ডাকাতদলের সবাই নির্দিষ্ট হারে রীতিমত এবং সময়মত প্রদান করে তার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদটি আমার কাছে হাসির মনে হয়েছে তাই দিলাম। যদি কারো হাসি না পায় দয়া করে কষ্ট পাবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৯