আমার আসল জিমেইল একাউন্ট একখানা হইলেও, নকল কিংবা দুই নম্বুরি একাউন্টের অভাব নাই। অনেক সময় দেড় দুই বচ্ছর হয়তো একটা একাউন্টে লগইন কইরা মেইল দেখাও হয় না। সেইখানে মনে হয় রেকর্ড কইরা ফেলাইলাম। কয়েকদিন আগে একটা জং ধরা পেনড্রাইভ বাইর হইলো আমার পোলার খেলনার ভান্ডার থেইকা। তার খেলার ঠেলায় সেই পেনড্রাইভের ছাল-বাকল, এমনকি বডিখানাও নাই। আছে শুধু কঙ্কাল। সেই কঙ্কাল কম্পিউটারে দেওয়া মাত্র পটপট কইরা ফকফকা কিছু ছবি বের হইয়া আসলো। তার কিছু দেইখা মনে মনে দীর্ঘ নিঃশাস ফেললাম। আহা, আমি এমন শুকনাও ছিলাম। ছবির ভীড়ে দেখি একটা কম্পিউটার মনিটরের ছবি। সেই মনিটরে আবার নোটপ্যাড খুলা। আর নোটপ্যাডে খালি বিভিন্ন একাউন্ট আর তাগো পাসওয়ার্ড। আমি মনে মনে কইলা আমারে খাইসেরে। কাহিনী হইলো, তখন তো আর নিজের কম্পিউটার বা বেশিপিউটার কিছুই ছিল না। সাইবার ক্যাফেই ছিল ভরসা। সেইখানে যাতে লগইনে এক সেকেন্ডও দেরি না হয় তাই মনে হয় এই সিস্টেম কইরা ছবি তুইলা রাখসিলাম।
তারাতারি জিমেইল খুইলা দেখি সেই ২০০৯ সালে সামুতে যে যোগদানের নিমিত্তে নিবন্ধন করিয়াছিলাম, তার মেইলটা এখন পর্যন্ত জ্বলজ্বল করতাসে। তারাতারি টর নামলো। একাউন্ট এক্টিভেট করলাম। পাসওয়ার্ড দেই আর লয় না। কয় নতুন কইরা পাসওয়ার্ড দেন। সেই দিতে যাইয়া কান্দন আহনের অবস্থা। ক্যাপচা দেই আর ভুল, দেই আর ভুল, ভুল আর দেই। এমনে এক দিন পার হওনের পর মোবাইলে টর নামাইয়া সিস্টেম করলাম অডিও ক্যাপচা দিয়া। আর ডিং ডিং ডিং, একাউন্ট চালু হইয়া গেল। দশ বছরে কত কিছু পাল্টাইছে। কি ছিল সামু, আর কি হইছে। দশ বছর আগে অজ্ঞ বালক নামে ব্লগে লিখতে নিশ্চয়ই আমোদিত হইতাম, আর এখন নিজেরে বেক্কল লাগতাছে। কি আর করা।
আরেকখানা মজা হইসে। একাউন্ট তো সেই দশ বছর আগের কিন্তু চালুও করা হয় নাই। একটা ব্লগও লেখি নাই, একটা কমেন্টও করি নাই। কিন্তু, আমি দেখি পুরা সেইফ মাম্মা। মানে পুরা ফাঁকতালে চিপা দিয়ে বাইর হইয়া গেসি। আহা, কি আনন্দ আকাশে বাতাসে।
সবাইরে সেলামালাইকুম!!!
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:১২