২৭ জুলাই, ২০২১।
আজ ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২।
বয়স হিসাবের ক্যালকুলেটর অংক কষে বের করলো ১ বছর ৪ মাস ২৮ দিন পার হয়েছে শেষ পোস্ট লিখেছি সামুতে।
কিছু একটা লিখতে ইচ্ছা হওয়াতে নতুন ব্লগের বাটনে ক্লিক করে লেখা শুরু করলাম কিন্তু এখন বিরক্তি লাগছে। বাংলাদেশের বর্তমানে জীবিত জনপ্রিয়তম ঔপন্যাসিককে একবার প্রশ্ন করেছিলাম লিখতে হলে কি লাগে। তার উত্তর ছিল, ধৈর্য। এ জিনিসের অস্তিত্ত্ব আমার জিনোমের মধ্যে আদৌ ছিলোও না, নেই আর হবে বলেও মনে হয় না। কিন্তু চেষ্টা কম ছিল না লেখক হওয়ার। কেন? কারণ মনে হতো, আরে ভালোই তো লিখি। অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী যেমনটা সবাইই জানে, তেমনি অল্পখ্যাতিও প্রলয়ঙ্করী। অতিদ্রুত লিটল ম্যাগ, সাহিত্য ম্যাগাজিন, পত্রিকায় নিজের নাম ছাপার অক্ষরে দেখে এমন মনে হতেই পারে আমিই সেই কাণ্ডারি যার কাঁধে উঠবে বাংলা সাহিত্যকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জোয়াল। কিন্তু সমাজ-সংসার এর জোয়াল যে হাট্টাকাট্টা ষাঁড়কে বলদ বানিয়ে দিতে পারে সে তো আর জানা ছিল না।
তবে লেখা আমার কাছে একটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচার অংশ। গত প্রায় দুই বছর ধরে একটা দমবন্ধকর প্রতিষ্ঠানে অন্ধের মত শ্রম দিয়ে গিয়েছি, ও স্ময়ের আমাকে জীবিত বলতে বাধছে। তারপর আবার ভীমরতি বা সুমতি ও প্রস্থান-পর্ব চলমান। কেন যেন দুঃসময়েই প্রকৃত বন্ধুর কথা মনে পরে। আমার যেমন মনে পড়লো সামুর কথা, ব্লগের কথা। আরও সূক্ষ্মভাবে বলতে গেলে লেখার কথা।
ডিসেম্বর খুব মাহাত্ম্যপূর্ণ এক মাস। এ মাসে গায়ে একটা ভাব আসে, কাগজের ডায়েরি বা স্মার্টফোনের নোটপ্যাডে অনেক লম্বা লম্বা ফিরিস্তি লেখা হয় যাকে প্রমূখ বিশেষ ব্যাক্তিবর্গ রেজুলিউশন বলে থাকেন, এবং এর কোনোটাই কখনো সম্পন্ন না হওয়ার অমিত সম্ভাবনা নিয়ে অনেক আলোচনা-পর্যালোচনা অন্তর্জালে বিদ্যমান। আমি তাই সভয়ে এড়িয়ে চলি এমন তালিকা নির্মাণ। ধ্বংসে আমার সুখ্যাতি সুবিদিত, গড়তে নয়। তাও ভাবছি আবারও এক পরিবর্তনের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে সপ্তাহান্তে অন্তত একটি লেখা প্রসবান্তে ব্লগে ত্যাজ্য করে যাওয়ার যুগোপযোগী রেজুলিউশনটা কি এবার নিয়েই ফেলবো নাকি? ভোগে নয়, ত্যাগেই তো প্রকৃত সুখ!
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৩৩