somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কুরআন ছাড়া কথা বলতেন না যে নারী

০৪ ঠা মে, ২০০৯ দুপুর ২:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা
কুরআন ছাড়া কথা বলতেন না যে নারী
________________________________________
আবুল কাশেম কুশাইরী থেকে বর্ণিত;

তিনি বলেন, মরভূমির মাঝে জনৈকা নারীকে একাকী দেখলাম; বললাম, ‘কে আপনি’? উত্তরে বললেন-“আর বলুন, সালাম, অতঃপর শীঘ্রই জানতে পারবেন” (যুখরুখ-৮৯)

এ আয়াত থেকে পাঠ থেকে বুঝতে পারলাম যে, তিনি বলছেন, প্রথমে সালাম দিন; অতঃপর প্রশ্ন করুন; কেননা সালাম হলো ভদ্রতা এবং আগন্তুকের পক্ষ থেকে যার সান্নিধ্যে আসা হয় তার প্রতি কর্তব্যস্বরুপ; তখন আমি তাকে সালাম দিলাম এবং জিজ্ঞাসা করলাম, এই মরু প্রান্তরে একাকী আপনি কি করছেন?

উত্তরে তিনি বললেন- “আল্লাহ যাকে পথ দেখান তার কোন পথভ্রষ্টকারী নেই”(যুমার-৩৭)

এ আয়াত থেকে আমি বুঝতে পারলাম যে, তিনি পথ হারিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু পথ খুজে পাওয়ার জন্য তিনি মহান রাব্বুল আলামীনের ওপর ভরসা করছেন। আমি তাকে প্রশ্ন করলাম আপনি জ্বিন নাকি মানুষ?

তিনি বললেন, “হে আদম সন্তানেরা! প্রত্যেক নামাযের সময় তোমাদের উত্তম পোষাক পরিধান করো”(আরাফ-৩১)

এ আয়াত শুনে বুঝতে পারলাম যে, তিনি একজন মানুষ। তখন আমি তাকে আমি জিজ্ঞাসা করলাম ‘কোথা থেকে এসেছেন’

উত্তরে তিনি বললেন, “তোমাদেরকে দুরবর্তী স্থান থেকে ডাক দেয়া হবে” (হামীম আস সাজদা-৪৪)

এ আয়াত শুনে বুঝতে পারলাম যে, তিনি বহুদুর থেকে থেকে এসেছেন। আবার তাকে জিজ্ঞাসা করলাম ‘কোথায় চলেছেন?’

উত্তরে তিনি বললেন, “সামর্থ্যবান ব্যক্তির ওপর (কাবা) ঘরের হ্বজ্জ করা ফরজ ” (আলে ইমরান-৯৭)

বুঝতে পারলাম যে, তিনি হ্বজ্জের উদ্দেশে যাচ্ছেন।

আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, কয়দিন হলো রওয়ানা হয়েছেন। উত্তরে বললেন, “নিশ্চয়ই আমি আকাশসমুহ এবং পৃথিবীতে আর যা কিছু এতদুভয়ের মধ্যে বিদ্যমান সে সব কিছুকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছি ” (ক্বাফ-৩৮)

আমি বুঝতে পারলাম যে, ছয় দিন আগে তিনি হ্বজ্জের উদ্দেশে তার স্থান থেকে রওয়ানা হয়েছেন। বললাম কিছু খেয়েছেন?

উত্তরে বললেন, “আল্লাহ কারও উপরে তার সাধ্যের বাইরে কিছু চাপান না”।(বাকারাহ-২৮৬)

বুঝতে পারলাম যে, চলার ব্যাপারে এবং দ্রুত গমনের ক্ষেত্রে আমার মত তার সাধ্যে নেই। তখন আমি তাকে বললাম, ‘আমার বাহনে আরোহণ করে বসেন। আপনাকে গন্তব্যে পৌছে দিব।’

উত্তরে বললেন, “যদি ঐ দুয়ের (আসমান ও জমিন) মধ্যে আল্লাহ ভিন্ন অন্য কোন উপাস্য থাকতো তাহলে উভয়ই ধ্বংস হয়ে যেত”(আম্বিয়া-২২)

আমি বুঝতে পারলাম যে, একটি বাহনে পুরুষ ও নারীর শরীরের স্পর্শ ধ্বংসের কারণ হয়। কাজেই আমি বাহন থেকে নেমে পড়লাম এবং তাকে বললাম, ‘আপনি একাকী বাহনে চড়ে বসেন’।

যখন বাহনে আরোহন করলেন তখন বললেন- “পবিত্র মহান আল্লাহ যিনি একে আমাদের জন্য বশীভূ[ত করে দিয়েছেন, অন্যথায় একে বশীভূত করার ক্ষমতা কারও ছিল না/sb]”(যুখরুখ-১৩)
যখন আমরা একটি কাফেলার সাথে একত্রিত হলাম তখন তাকে জিজ্ঞাসা করলাম ‘এই কাফেলায় কি কেউ আপনার পরিচিত র‌য়েছে?’ উত্তর দিলেন “মুহাম্মাদ একজন প্রেরিত পুরুষ বৈ অন্য কেউ নন”(আল-ইম রান- ১৪৪)
হে ইয়াহিয়া! কিতাবকে শক্তভাবে ধারণ করো”(মারিয়াম-১২)
হে মুসা! নিশ্চয়ই আমিই আল্লাহ”(কাসাস-৩০)
হে দাঊদ! আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি নির্ধারণ করেছি” (সাদ-২৬)

এ আয়াত সমুহ থেকে বুঝতে পারলাম যে, মুহাম্মাদ, ইয়াহিয়া, মুসা ও দাঊদ নামে তার চারজন পরিচিত লোক কাফেলায় রয়েছে।

যখন ঐ চারজন নিকটে এলেন তখন তিনি এ আয়াত পাঠ করলেন- “মাল- সম্পদ এবং সন্তান-সন্ততি হল পার্থিব জগতের সৌন্দর্য্য” (কাহফ-৪৬)

আমি বুঝতে পার লাম যে, এরা তার পুত্র। তিনি তাদেরকে বললেন “হে বাবা! তাকে মজদুর নিযুক্ত করো, কারণ তোমার মজদুর হিসেবে উত্তম হবে সেই ব্যক্তি যে শক্তিশালী এবং বিশ্বস্ত”(কাসাস-২৬)

এ আয়াত থেকে আমি বুঝতে পারলাম যে, তিনি তার পুত্রদেরকে বলছেন এই পরিশ্রমী ও বিশ্বস্ত লোককে পারিশ্রমিক প্রদান করো। যখন তার পুত্ররা আমাকে কিছু অর্থ প্রদান করলো তখন তিনি অনুভব করলেন যে এগুলো কম হয়ে গেছে।

একারনে তিনি বললেন “আল্লাহ যাকে চান তাকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেন” (বাকারাহ-২৬১)

অর্থাৎ তার পারিশ্রমিক আরো বেশি দাও। এবার আমার কৌতুহলকে সন্তুষ্ট করার অভিপ্রায়ে তার পুত্রদেরকে জিজ্ঞেস ক রলাম “এ পূণ্যবতী নারী কে যিনি কুরআন ছাড়া ক থা বলেন না”

তারা বললেন, এ নারীর নাম হযরত ফিজ্জাহ। রাসুলের কন্যা হযরত ফাতিমা(রা) –এর দাসী। বিশ বছর ধরে তিনি কুরআন ছাড়া কথা বলেন না ।
আল্লাহ তার সহায় হোন। আমীন

Reference

"Essence of The Holy Quran"
"The Eternal Light" by Ayatullah Agha Haji Mirza Mahdi Pooya
Edited by Syed Muhammad Murtaza & Husain P Taylor ISBN 0-944880-02-9 ( Hard Back ) 03-7 ( Paper Back )

________________________________________
be Organized by Holy Islam
O.H.I
For More Visit:
http://ohioftruth.blogspot.com/
http://www.youtube.com/user/TrueOHI
http://www.somewhereinblog.net/blog/ohioftruth

২০টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×