somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সুস্মিতারা বার বার হারিয়ে যায়...

১৪ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১২:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সুস্মিতাকে যখন দেখতে গেলাম তখন রাত ৯টা বাজে।দুঃসংবাদটা পেয়েছি রাত্রি ৮টার দিকে।যখন শুনলাম ওর মুখে এসিড মেরেছে আমার ভিতরে একটা হিংস্র জন্তু ভয়ংকর গর্জন করে উঠেছিলো।আমি নিজেকে সামলে নিতে পারিনি, কিচ্ছু ভাবতে পারিনি।শুধু মনে হয়েছে আমাকে দৌড়ে যেতে হবে, ওর পাশে পৌছুতে হবে যে করে হোক যেভাবেই হোক।

আমি যখন রাতের ঢাকার অন্ধকার ছেদ করে সুস্মিতার কাছে পৌছুলাম তখন ও নিথর হয়ে বিছানায় পড়ে আছে।ওর বাবা মা হতভম্ব হয়ে ওর পুড়ে যাওয়া শরীরের দিকে তাকিয়ে।আন্টি কিছুক্ষণ পর পর বোবা কান্নায় আঙ্কেলের পাঞ্জাবী ধরে টান দিচ্ছে আর বলছে, "এটা কি হলো!এটা কি করে হলো।আমার মেয়ে কি দোষ করছিলো।আমার একমাত্র জানের টুকরা মেয়ের সাথে কে এমন করলো।আমার ছোট্ট মেয়েটা,আমার পরানটা শেষ করে দিলোরে"।

আশেপাশে যারা দাঁড়িয়ে ছিলো সবার চোখে পানি।আঙ্কেল কিছুক্ষণ পর কেমন যেন একটা গোঙ্গানীর আওয়াজ তুলছে।

আর আমি! নির্বাক, অসহায়,কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে আছি সুস্মিতার কেবিনের দরজার পাশে।ছোট্ট কাচে ঢাকা জানালা গলে ওর মায়াময় ভালোবাসার মুখটি দেখতে পাচ্ছি।কে যেন বলেছিলো, ওর মুখের এক পাশে নাকি এসিডের ছোয়া লেগে সম্পূর্ণটা জ্বলে গেছে।আমি কেন যেন তবুও ওর ওই মুখটি বারবার দেখতে পাচ্ছি যে মুখটিকে ভালোবেসেছিলাম এক সময়, প্রতিটি ক্লাসের শেষে যার বেঞ্চের পাশে কোন না কোন বাহানায় ঘুরঘুর করতাম।রাতে ঘুমের ঘোরে ফিসফিস করে সুস্মিতার সাথে কত পাচালীগাথা গেথেছি তার কি কেউ হিসাব রেখেছে?
শেষ যেদিন দেখা হলো সেটি ছিলো আমাদের সমাবর্তন।আমি নীল রঙের পাতলা ফিনফিনে একটা পাঞ্জাবী আর ভারী হৃদয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সুস্মিতাকে কিছু বলার জন্য উপস্থিত হয়েছি।সুস্মিতা আমাকে কথা বলার সুযোগ দিয়েছিলো কি, আমার মনে পড়েনা।শুধু মনে পড়ে ওর হলদে ছটায় মাখানো সূর্য রঙ্গা শাড়ির কথা, ওর চোখজোড়া একবারো আমায় বিদ্ধ করেনি।আমি জানিনা এত ভালোবেসেও কেন সুস্মিতা কখনো তা একটুখানি একবারের জন্যও বুঝতে পারেনি।এবার শুনুন আমার বীরত্বগাথার গল্প।

আমি সুস্মিতার জন্য ছোট্ট একটি চিঠি লিখেছিলাম।ভেবেছিলাম চিঠিটা ওর হাতে পৌছিয়ে দেবো ঠিক শেষ দেখার দিনে।আমার ভালোবাসার প্রতিটি বিন্দুকণা দিয়ে ওর ছোট্ট হৃদয়ে আঘাত করবো।যদি সে আমাকে অবজ্ঞা করে, একটুখানিও প্রত্যাখান করে আমি আর কখনো ওর সামনে আসবোনা।হ্যা, আমি চিঠিটা ওর হাতে তুলে দিয়েছিলাম।কিন্তু কি আশ্চর্য ওকে যখন বললাম, "আমার তোমাকে কিছু বলার ছিলো,একবার চিঠিটা পড়বে?" ও কেমন যেন একটা অবজ্ঞার হাসি দিলো।আমাকে বললো, "আমি জানতাম তুমি এমন কিছু করবা"।

এরপরই আমার লজ্জাগাথা, একটা হৃদয়ের শোণিত হওয়ার গল্প, একটি ভালোবাসার মৃত্যুর ঘটনা।আমি ওকে চিঠি দেয়ার সাথে সাথে দেখলাম সে তার বান্ধবীদের ডেকে চিঠিটা আবৃত্তি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।নাহ! আমি কষ্ট পাইনি,আমি একটুও ঘাবড়াইনি।শুধু মনে হয় একটু রেগে গিয়েছিলাম,মনের ভেতরে যেখানে ভালোবাসা জমে ছিলো ঠিক ওখানটায়।আমি চুপ করে পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম আর ভাবছিলাম ও আর কি কি করে।আমি এখনও চিঠিটা মনে রেখেছি।কেননা ওটা সুস্মিতার হাতে দেবার আগে নিজে শত কোটিবার পাঠ করেছি, নিজের মাঝে গেথে নিয়েছি।ওকে লিখেছিলাম,

"মা যখন অনেক ছোট্টকালে মারা যায়, তখন আমি বেশ কিছুদিন সুস্থ ছিলাম না।এরপর বহু অনাদর, অযত্ন আর অবহেলায় আমি ভুলে গিয়েছিলাম নিজের সত্তা।আবার হয়তো খুব তাড়াতাড়ি অনেক বড় হয়ে গিয়েছিলাম।সমস্যা ছিলো প্রতিরাতে আমি মাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতাম।আমার মা মারা যাওয়ার আগে যে প্রচন্ড কষ্ট আর যন্ত্রণার শিকার হয়েছে তা আমি ভুলতে পারিনি।সুস্মিতা তুমি জানো কিনা জানিনা, যেদিন তোমাকে আমি প্রথম দেখি সেদিন থেকে ওই ভয়ংকর দুঃস্বপ্নগুলো আমার থেকে অনেক দূরে হারিয়ে যায়।তুমি মালিবাগের জোয়ার্দার লেনের যে ৭ তলা বাড়িতে থাকো তার থেকে অন্তত দু কিলোমিটার দূর থেকে আমি তোমার গায়ের ঘ্রাণ পাই।মাফ করো, কিন্তু আমি গত চার বছর ধরে প্রতিদিন তোমার বাসার সামনে যাই।তোমাকে আমি কোন প্রেম নিবেদন করতে চাইনা।শুধু বলতে চাই, আমার তোমায় দেখে এত আপন লাগে কেন? অনুগ্রহ পূর্বক ভেবোনা আমার কিছু চাওয়ার আছে।এত ভালোবাসলাম একজনকে এতগুলো বছর ধরে, শুধু চেয়েছি একবার তাকে জানাতে।ভালো থেকো"।

সুস্মিতা আমার চিঠির খানিকটা আবৃত্তি করে হঠাৎ করে কেমন যেন বিমর্ষ হয়ে ওঠে।ওর বান্ধবীদের থেকে দূরে সরে যেয়ে চিঠির বাকি অংশ পড়ে আমার দিকে মনে হলো যেন করুণার দৃষ্টিতে তাকালো।তাই হয়তো এবার আমি প্রথমবারের মত অনেকখানি লজ্জা পেলাম, যেই লজ্জায় আজকের আগ পর্যন্ত আমি ওর আশে পাশে আর কখনো আসিনি।মাঝে জেনেছিলাম ওর বিয়ে হয়েছে এক অতি সুপুরুষ দেশের প্রতিষ্ঠিত পরিবারের সবদিকে অনন্য এক পাত্রের সাথে। আমি কি সেদিন অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম, ঠিক মনে নেই।৮টা – ৫টা চাকরী করা এক ভগ্ন হৃদয় পুরুষের আর কতইবা কষ্ট হয় বলুনতো?বসন্ত সমীরণ যখন জানালার খিল ভেঙ্গে রাতের নীরবতা ছেদ করে আমাকে জাগিয়ে তুললো, আমি শুধু বলেছিলাম "সুস্মিতা ভালো থেকো"।

হাসপাতালে হঠাৎ করে মিলিকে দেখতে পেলাম যে ছিলো সুস্মিতার সবচেয়ে কাছের বান্ধবী।আমি ওর কাছে এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম কি করে হলো?
ও আমার দিকে একটু অবাক হয়ে তাকিয়ে বললো, "তুমি কোথা থেকে?তোমাকে সুস্মিতা কত খুজেছিলো জানো?"
আমি ওর কথা শুনতে পাচ্ছিলামনা।আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, "ওর মুখে কে এসিড মেরেছে?"
মিলি খুব জোরে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো, "ওর জামাইটা না একটু মাথা খারাপ ছিলো মনে হয়।ওকে কেমন যেন কখনো বিশ্বাস করেনি।সুস্মিতা কখনো জানো, ভালো ছিলোনা।আজকে দুপুরে ওদের মধ্যে প্রচন্ড ঝগড়া হয়, তখন ..."

আমার মাথাটা প্রচন্ড গরম হয়ে গেলো।আমি আর কিছু শুনতে বা ভাবতে পারার মত পরিস্থিতিতে ছিলাম না।ভো ভো আওয়াজ আমার কান ঝালাপালা করে দিচ্ছে, তবুও আমি কি করে যেন দাঁড়িয়ে আছি।হঠাৎ করে মিলির একটা কান্নাভেজা কথা খুব কানে বাজলো, "জানো ও চার মাসের প্রেগনেন্ট।"

একথা শোনার পর হঠাৎ করে মনে হলো আশেপাশের সব শান্ত হয়ে গেলো।আমি শুধু কাঁদতে কাঁদতে মিলিকে জিজ্ঞেস করলাম, "মানুষ এত খারাপ কেন।"

দুদিন পর সুস্মিতা যখন ঘুম থেকে জেগে উঠলো, তখন ওর সামনে গিয়ে দাড়ানোর সাহস আমি করতে পারিনি।তবুও কি করে যেন ওর বিছানার কাছে চলে গিয়েছিলাম।ওর বাবা মা আর একমাত্র ছোট বোন তখন পাশে ছিলো।আমি এক কোণে ঘাপটি মেরে বসে আছি।সুস্মিতা খুব দুর্বল কন্ঠে ওর পরিবারের সাথে কি যেন বলছিলো।একটু পর ও নিজেই আমাকে দেখে অনেকক্ষণ তাকিয়ে রইলো।আমার একবারও মনে হয়নি, ও আমাকে চিনতে পারছেনা।একটা গভীর দীর্ঘশ্বাস ফেলে সে আমাকে ডাকলো, অর্ক।

আমি কাছে গেলে ও আমাকে তার আরও কাছে যেতে বলে।আমি তার মুখের কাছে কান এগিয়ে নিয়ে গেলে ও আমাকে বললো, "ওদিনের পর কোথায় ছিলে?অনেক খুজেছি তোমায় জানো।আজকে যখন জ্ঞান হলো তখনো।"

আমি ধরা গলায় বললাম , "আমি আছি,থাকবো।তুমি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠো।"

চারমাস পার হয়ে যায়।এ সময় যা হয় তা সংক্ষেপে জানাই।সুস্মিতার স্বামী ও তার পশু পরিবার নিরুদ্দেশ হয়ে যায়।আমাদের ফুলিশবাহিনী বহু চেষ্টা করেও তাদের হদিশ বার করতে অসমর্থ হয়।মজার ব্যাপার হলো সুস্মিতার এ ব্যাপারে কোন আগ্রহই ছিলোনা।আমি এ চারমাস যতটা সময় পেরেছি তার পাশে থেকেছি।ওদের বাসায় গেলে ওর ছোটবোন, বাবা মা আমাকে বেশ আদর করতেন।একসময় আমি সাহস করে বলি, আমি ওকে বিয়ে করতে চাই ওর জন্য এবং ওর বাচ্চাটির জন্য।এটা বলার এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের বিয়ে হয়ে যায়।কিন্তু আমি কখনোও ওকে স্ত্রী হিসেবে পাইনি।কারণ ও কখনো কোন কথা বলতোনা।কেমন যেন নীরবে জানালা দিয়ে বাহিরে চেয়ে থাকতো।আমিও ওকে ঘাটাতাম না।ওর পাশে শুয়ে শুয়ে ওকে গল্প উপন্যাস পড়ে শোনাতাম।ও চুপ করে শুনতো আর মাঝে মাঝে কেমন করে যেন কাঁদতো।

এর কিছুদিন পর হঠাৎ রাতে ও চিৎকার করে উঠে।আমি বুঝতে পারি, একটি নতুন জীবন খুব দ্রুত পৃথিবীতে আসতে যাচ্ছে।যখন ওকে নিয়ে হসপিটালের পথে, তখন ও অনেক কাঁদতে থাকে।আমাকে চিৎকার করে বলে, "আমার সন্তানকে আমাকে দেখতে দিয়োনা।আমার সামনে ওকে এনোনা।"

আমাদের একটি ছোট্ট ছেলে হয়।যখন ছেলেটিকে আমার কোলে দেয়া হয়, আমি লক্ষ্য করি ও ওর মায়ের মত হয়েছে।কি সুন্দর তার চোখগুলো, কেমন করে তাকিয়ে থাকে।গায়ে বড় বড় লোম আর মুখে লিলিপুট নাক আর এই বড় বড় কান।আমার দিকে তাকিয়ে সে হতভম্ব হয়ে কি যেন ভাবে।তারপর আমি দেখতে ভুল করেছিলাম কিনা জানিনা, সে কেমন যেন একটা দেঁতো হাসি(যদিও তার দাঁত নেই, কিন্তু এই হাসির আর কোন নাম হয়না) দেয়।আমি মহানন্দে তাকে আমার বুকের মধ্যে নিয়ে বসে ছিলাম।
আমি সুস্মিতার কাছে যেয়ে বসলে ও আমার হাত শক্ত করে ধরে ফিসফিস করে জিজ্ঞেস করে, "ওর গালের ডানপাশটা ঠিকমত দেখেছো?কোন পোড়া দাগ আছে?"

আমি সুস্মিতার মাথায় হাত দিয়ে বলি, আমাদের একটা চাঁদের মত শিশু হয়েছে।তুমি সুস্থ হয়ে তাড়াতাড়ি বাসায় চলো।

বাসায় আসার পরদিন সুস্মিতা আত্নহত্যা করে।এর মধ্যে একবারও সে শিশুটিকে তার কাছে আসতে দেয়নি।যখন শিশুটি ক্ষুধায় কাদছিলো তখনো নয়।আমাদের ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে ও একটি ছোট্ট চিঠি রেখে যায় আমাদের সন্তানের জন্য।ও তাতে লিখেছিলো,
"আমার বাচ্চাটা,
তুই তোর মাকে ক্ষমা করে দিস তোকে ছেড়ে যাবার জন্য।কিন্তু কেউ আমার দুঃখ বুঝবেনারে।যে পোড়া যন্ত্রণা আমার শরীরে ছিলো, তার থেকে অনেক অনেক কষ্ট আমার বুকে ছিলো।আমি আর সইতে পারছিলাম না।
তোর কাছে আমার কিছুই চাওয়ার নেই।শুধু এটুকু বলবো, তুই অনেক অনেক ভালো মানুষ হবি।মানুষকে মানুষ হিসেবে বিচার করবি।আর তোর বোকা বাবাকে অনেক আদর দিবি।ওকে বলিস আমাকে যেন ক্ষমা করে দেয়।আরও জানাবি যে ভালোবাসা ও আমাকে দিয়েছে, তার কিছুই হয়তো আমি শোধ করতে পারিনি।কিন্তু ও যেদিন আমাকে প্রথম ভালোবাসার কথা জানায়, সেদিন থেকে আমি ওকে ছাড়া কাউকেই ভালো বাসতে পারিনি।
ভালো থাকিস আমার সোনা।জীবনে অনেক বড় হ।"

এর পর ছয় বছর কেটে যায়। আমি নিজের হাতে আমাদের ছেলেটিকে মানুষ করছি।প্রতিরাতে আমার ছেলেটি কাঁদে এবং আমাকে জিজ্ঞেস করে, "মা কই মা"।আমি ওকে হাত দিয়ে চাঁদ দেখিয়ে বলি ওই যে ওখানে চাঁদের দেশে পরী হয়ে আছে।

সুস্মিতাকে কবর দেয়া হয়েছিলো আমাদের গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে।আমি আমার সন্তানকে নিয়ে প্রতি বছর বিশেষ বিশেষ দিনে ওর কবরের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি।আমরা বাবা ছেলে এক সাথে অনেক কান্না করি।

আজ ৩০শে শ্রাবণ ওর চলে যাওয়ার দিন।আজও আমি আর আমার ছোট্ট ছেলেটা ওর কবরের পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদছি। ওকে বললাম, "প্রিয় সুস্মিতা তোমাকে আমি ক্ষমা করিনি।নিজেকেও করিনি।আমি জানিনা, আমার ভালোবাসায় কোথায় কমতি ছিলো যা তোমার কষ্টকে মুছে দিতে পারেনি।আমাদের ছেলেটিকে দেখো, ও দেখতে তোমার মত হয়েছে।পুরোই তোমার মত।ওর মুখে কোন দাগ নেই।তুমি কি জানো ও ওর ক্লাসের সবচেয়ে শান্ত ছেলে।টীচাররা বলে ও স্কুলের সবচেয়ে ভালো ছেলে, শুধু বিজ্ঞানে একটু কাঁচা আমার মত।সুস্মিতা, আমি তোমার ছেলেকে তোমার মত করেই বড় করছি।আমার আর ওর একটি ছোট্ট পরিবার গড়ে উঠেছে যাতে আদর ভালোবাসা সব ঠিক আছে, নেই শুধু তুমিই।তুমিই মনে রেখো আমি তোমাকে কখনো ক্ষমা করবোনা"।

আমার ছেলে আর আমার চোখে তখন এক সমুদ্র জল যে জল মুছে দেয়ার কেউ নাই।
২০টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×