(২৬)
ক্রুশ্চেভ আমলের ঘটনা:
সরকারের ধামাধরা লেখক ও সাংবাদিক করনেইচুক সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে এলেন সরকারি ডাক্তার। ডাক্তারকে বলা হল, মনে হচ্ছে কমরেড করনেইচুকের মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে। ঘোর প্রতিবাদ করে ডাক্তার বললেন:
-- অসম্ভব! আমি কমরেড করনেইচুককে বহু বছর ধরে চিনি। তাঁর মেরুদণ্ডই নেই।
(২৭)
--হ্যালো এটা কি কেজিবি?
-- না, কেজিবি ধ্বংস হয়ে গেছে।
আবার ফোন :
-- হ্যালো, এটা কি কেজিবি?
-- না, কেজিবি ধ্বংস হয়ে গেছে।
কিছুক্ষন পর আবার একই ফোন
-- হ্যালো, এটা কি কেজিবির সদর দপ্তর?
-- না। আপনি কে ভাই? ক’বার আপনাকে বলতে হবে যে কেজিবি ধ্বংস হয়ে গেছে?
-- আহা, এত চটছেন কেন? ভাল খবরটা বার বার শুনতে কার না ভাল লাগে, বলুন?
(২৮)
মৃত্যুর পরে এক কমিউনিস্ট নেতা যথাবিহিত নিয়মে পরলোকে পৌঁছলেন। বিস্মিত হয়ে তিনি দেখলেন, পরলোকে দুটি দরজা। একটির মাথায় লেখা ‘কমিউনিস্ট নরক’, অন্যটির মাথায় লেখা ‘ক্যাপিটালিস্ট নরক’। সাম্যবাদী নরকের দরজা দিয়ে ঢুকবেন, না, পুঁজিবাদি নরকে ঢুকবেন, এই নিয়ে চিন্তিত নেতা দেখা পেলেন এক কেরানির, যাঁর কাজ পরলোকে আগত ব্যক্তিদের নাম নথিভুক্ত করা। তাঁকে প্রশ্ন করলেন নেতা,
-- মাফ করবেন, কোনও পাপী সাম্যবাদী নরকে কিভাবে কষ্ট ভোগ করে ?
ওই কেরানী আসলে ছদ্মবেশী শয়তান। তিনি বললেন
-- সাম্যবাদী পাপীকে জ্বলন্ত কয়লার উনুনে ফ্রাইং প্যানে চাপিয়ে ভাজা হয়।
-- আর পুঁজিবাদী নরকে?
-- সেখানেও পাপীদের জ্বলন্ত কয়লার উনুনে ফ্রাইং প্যানে চাপিয়ে ভাজা হয়।
-- তাহলে দেখা যাচ্ছে শাস্তির মধ্যে কোন ভেদ নেই। কমিউনিস্ট নেতার প্রশ্ন, তাহলে পুঁজিবাদী নরকের গেটে কোনও ভিড় নেই কেন? আর কেনই বা সকলে ভিড় করছে কমিউনিস্ট নরকের গেটে?
-- ভেদ নেই কে বলল? শয়তানের জবাব, কমিউনিস্ট নরকে গত এক সপ্তাহ ধরে কয়লার যোগান নেই। আর এক সপ্তাহ এরকম চললে ফার্নেস বন্ধ করে দিতে হবে। তাছাড়া, ফার্নেসে কয়লা দেওয়ার লোকটি প্রায়ই মাতাল হয়ে শুয়ে থাকে। বিশ্বাস করুন কমরেড, কমিউনিস্ট নরকই ভালো।
(২৯)
-- আদম এবং ইভ নির্ঘাৎ রাশিয়ান ছিলেন, এক রুশ নাগরিকের মন্তব্য, ‘তাঁদের পরবার কিছু ছিল না, আপেল ছাড়া খাওয়ার কিছু ছিল না, তবু তাঁরা বাস করতেন এক স্বর্গে!
(৩০)
এক ভুক্তভোগী কমিউনিজমের ব্যর্থতার কারণ ব্যাখ্যা করছেন:
যদি তিরিশ বছর বয়সের আগে তুমি কমিউনিস্ট না হও, তাহলে বুঝতে হবে, তোমার হৃদয় বলে কোন পদার্থ নেই। যদি তুমি তিরিশের পরেও কমিউনিস্ট থেকে যাও তাহলে বুঝতে হবে, তোমার মস্তিষ্ক বলে কোনও পদার্থ নেই!
চলবে...