somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পালং এ মনপুরা 69'র গল্প

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৬ রাত ১:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পালং বলে একটা জায়গা
পালং হলো- শরিয়তপুরের সদর ওর কাছে- ও খানে - দরিদ্র এক লোক ভাগ্যান্বশেনে মনপুরা - আসে 69 সালে
সাথে একটা বাচ্চা আর বউ ছিল - বাচ্চা আর বউকে ও নিয়ে যায় ঠিক ঘূর্ণিঝড়ের আগে আগে

মনপুরায় একটা বাজার - তখন একটাই বাজার ছিল এখনতো অনেক বাজার তো ঐ বাজারে সে একটা কাপড়ের দোকান দেয়, খুবই হতদরিদ্র দোকান -- সবে দোকানটা চালু হইতেছিল - খেেদ্দর বাড়তেছিল

তখনতো তোমার ঝড় হইলে লোকজন বিপদ সংকেত মানতো না- প্রায়ইতো হইতো নভেম্বরেও তোমার ঐ সময় তেসমার টানা বৃষ্টি হইতেছিল - দুই দিন বা তিনদিন হবে আর কি
তারপরে সে কাল রাত্রি - পানি বাড়তে বাড়তে বিশাল ঢেউ - ঝড়ে ঝাপটায় - সে বউকে যখন বলতেছিল - যে কোন সময় চালা উইড়া যাবে

ঐ ঘূর্ণিঝড়ে কতফিট উচা জানি একটা ঢেউ আসছিল - যে টা সবকিছু তছনচ করে দেয় - সম্ভবত 30 বা40 ফিট হবে বলছিল লোকটা ু
ঠিক মনে করতে পারতেছি না পালং বাজারে যেমন একটা পুকুর আছে - পুকুরের একপাশে মসজিদ আছে- আরেকপাশে লাইন ধরে দোকানগুলি সামনে রাস্তাটা ,ঐ মনপুরা বাজারেও ঠিক একই ধরনের মসজিদ ছিল, পকুর ছিল

আর পুকুরের পাশে বিশাল একটা নারকেল গাছ ছিল ঐ দিন আর ওর দোকানে যাওয়ার প্রশ্নই উঠে না -ঝড়ো বাতাস , অন্ধকর, শো শো শব্দ.

ঐ লোকের দোকানটিা ছিল বাড়ি থেকে হাইটা তিন চার মিনিট লাগত - ঐ তোমার জলের ঐ বিশাল ঢেউ টা আসলো ঘুর্ণিঝড়টা আসলো -মানে ঘরটাাকে এটাক করলো

আমার কোন হুশ ছিল না

যখন জ্ঞান ফিরল তখন ওকে কই পাইলো জানো-
ঐ নারকেল গাছের আগায় নিজেরে পাইছে আর পুরা বাজারটা এক্কেরে প্লেন

সব ফিনিশ হয়ে গেছে তারপর ত্রাণকর্মী আইলোও যা করার সব করে আর ও ওর বউ বাচ্চারে খুজে কিন্তু বউ আর বাচ্ছারে কখনোই ফিরে পাই নাই ইভেন লাশও -
ঐ ত্রান কমর্ী যাওয়ার পর কোনরকমে পালঙে ফিওে আসে

ঐ দিন দশ লক্ষ লোক মারা গেছিল

ওর বউ বাচ্চার মতো

ভোলা মনপুরা এরপর যারা বাইচা যায় তাগো বড় একটা অংশ মারা যায় ডায়রিয়া টায়রিয়া আপঝাপে- মোটের উপর মড়ক লাগছিল

ঠিক ঐ সময় না- আরো মাসখানেক ওর বউ বাচ্চারে খুজছে

তারপর পালঙে আইস কিন্তু আবার বিয়া শাদি করে

আবার পালংে দোকান দেয় - কাপড়ের দোকান -এই লোক 71 সাল মুক্তিযুদ্ধও করছিল
নূর আলীর লগে আধা ঘন্টা ধরে একটা মিস্টির দোকানে গল্প করতেছিলাম পালঙ বাজারে।

চুলার সবচাইতে কাছাকাছি বইস্যা আমরা কথা বলছিলাম ,
গণগণে আগুন জ্বলছে
বাইরে কুয়াশা
এই রকম একটা সময়ে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে 2000 সালে চা খাইতে খাইতে
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

প্রকৌশলী এবং অসততা

লিখেছেন ফাহমিদা বারী, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৭


যখন নব্বইয়ের দশকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং পছন্দ করলাম পুরকৌশল, তখন পরিচিত অপরিচিত অনেকেই অনেকরকম জ্ঞান দিলেন। জানেন তো, বাঙালির ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডাক্তারিতে পিএইচডি করা আছে। জেনারেল পিএইচডি। সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুসের উচিৎ ভারতকে আক্রমন করা , বিডিআর হত্যাকান্ডের জন্য

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৭


ইউনুসের উচিৎ ভারতকে আক্রমন করা , বিডিআর হত্যাকান্ডের জন্য

পহেল গাঁয়ে পাকিস্থানি মদদে হত্যাকান্ডের জন্য ভারত পাকিস্থানে আক্রমন করে গুড়িয়ে দেয় , আফগানিস্থান তেহেরিক তালেবানদের মদদ দেওয়ার জন্য, পাকিস্থান... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১৫

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

ছবি, এআই জেনারেটেড।

ইহা আর মানিয়া নেওয়া যাইতেছে না। একের পর এক মামলায় তাহাকে সাজা দেওয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

এমন রাজনীতি কে কবে দেখেছে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২০


জেনজিরা আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামল দেখেছে। মোটামুটি বীতশ্রদ্ধ তারা। হওয়াটাও স্বাভাবিক। এক দল আর কত? টানা ১৬ বছর এক জিনিস দেখতে কার ভালো লাগে? ভালো জিনিসও একসময় বিরক্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযুদ্ধের কবিতাঃ আমি বীরাঙ্গনা বলছি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৫


এখনো রক্তের দাগ লেগে আছে আমার অত্যাচারিত সারা শরীরে।
এখনো চামড়া পোড়া কটু গন্ধের ক্ষতে মাছিরা বসে মাঝে মাঝে।

এখনো চামড়ার বেল্টের বিভৎস কারুকাজ খচিত দাগ
আমার তীব্র কষ্টের দিনগুলোর কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×