91 'র নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বাড়া ভাতে নাকি ছাই দিয়েছিল শেখ হাসিনার দম্ভচারী ভাষন। 2001 এ নির্বাচনে অর্থনৈতিকক্ষেত্রে মোটামুটি সাফল্য স্বত্বেও হারলো মন্ত্রীপুত্র আর গুটি কয়েক কাছের মানুষের অমিতচারী শক্তি প্রদর্শনের খায়েশে চোখ বন্ধ করার ভেতরে। সবাই বলেন বি এন পি এবং ডানপন্থী দলগুলোতে সাংস্কৃতিক লোকের বড়ই অভাব। আওয়ামী লীগের মতো মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া একটি দলের সাংস্কৃতিক অবস্থা কি? বামপন্থীদের কথা আলাদা- আলাদা শিবিরের কথাও। ক্যাডারভিত্তিক এই দুই সংগঠনের জন্য আলোচনায় প্রয়োজন ভিন্ন মানদন্ডের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতায় বলতে পার বি এন পি যেখানে বিরোধীদের শায়েস্তা করার জন্য হুমকি ধামকি ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ সেখানে চড় থাপপড় মারবেই আর বিএন পি যদি চড় থাপপড় মারার প্রয়োজন পড়ে আওয়ামী লীগের দরকার হবে ছুরি কাচির।শুধু কি তাই আওয়ামীদের শরীরি ভাষা অত্যন্ত জ্বালাকর। ছোট ছোট পোলাপাইন দিয়ে এমন আচরন করে যে ন গায়ে বিছুটিপাতা ঢলে দিয়েছে।
একদিন এক বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া বড় ভাইকে পাড়ার অশিক্ষিত এক পুচকে আওয়ামী ছোড়া তার ছোট ভাই এর সামনে বলতে শুনেছি - কি পকেটে হাত দিয়ে আছো যে -
এমনই হলো আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক আবহের চিত্র।
কেন শেখ হাসিনা এগুলো চোখে দেখেন না? এটা কি কেবলই নিবর্ুদ্ধিতা।
যারা শেখ হাসিনার কাছে গেছেন তাদের অনেকেই তার আত্মীয়তায় বাড়ির নৈকট্য আপনজনের স্নেহের কথা বলেছেন। তার স্নেহের কারনেই কি বেড়ে ওঠেছে ঔধ্যত্বের সমা। এ মোবাইলের জন্য খুন করে, ও বন্ধুকে টুকরো টুকরো করে বস্তাবন্দী করে, মিছিলে গুলি করে মানুষ মারে, মার্কেট দখল নিয়ে বাড়ি পুড়িয়ে দেয়? একি স্নেহের চশমায় এক ধরনের অন্ধত্ব?
আসলে এটি আওয়ামী লীগের মধ্যেই লালনকরা সংস্কৃতি। শেখ মুজিব তার গুরু মওলানা ভাসানীর উপর ভাড়াটে গুন্ডা দিয়ে হামলা করিয়েছিলেন, ভিন্নমতের অনুসারী হলেও নানাভাবে অপদস্ত করেছিলেন। শ্রেফ ঈর্ষাবশত তাজউদ্দিনকে মন্ত্রীসভা থেকে অপদস্থ করে বের করে দিলেন । ছেলে শেখ কামাল, ভাগ্নে মণির বৃত্তান্ত বাজো ঘৃণার প্রতিশব্দ। আর অন্য গ্রহ উপগ্রহদের কথা আর নাই বলা হলো।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


