চারু মজুমদার এবং সিরাজ শিকদার দুজনকেই মারা হয়েছিল রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে।
কলকাতা পুলিশকে দিয়ে চারু মজুমদারকে হত্যা করার পর ইন্দিরা গান্ধী চারু মজুমদারের নিহত হবার সংবাদ দিতে গিয়ে বলেছিলেন -
একজন দেশপ্রেমিক স্বপ্নদ্রষ্টা ভুল পথের শিকার হলেন।
আর সিরাজ শিকদারকে হত্যা করার পর সংসদে সেই সংবাদ দিতে গিয়ে শেখ মুজিব বলেছিলেন
আজ কোথায় সেই সিরাজ শিকদার - লাল ঘোড়া দাবড়ায়ে দিছি
মেরে ফেলার আগের দিন শেখ মুজিব নিজে তাকে তার সামনে আনিয়ে অপমান করেছিলেন- অনুমান করি বাংলা সিনেমায় ভিলেনরা মানুষ হত্যা করার আগে যেভাবে অপমান করে- অনেকটা কাতুকুতু দিয়ে সেভাবে।
সিরাজ চোখ বাধা হাত পিঠের দিকে উলেটা করে- হাতকড়া পরে আছেন/ তাকে েেশখ মুজিবের সামনে নিয়ে আসা হলো - শেখ মুজিব তার জন্য অপেক্ষা করছেন -
সিরাজ সামনে আসতেই শেখ মুজিব নিজেই তাকে বলা শুরু করলেন..
কিরে খুব বাড় বাড়ছিলি .. দেহি অ্য.. তাকে খুব অ্য..
আমি সত্যি জানি না শেখ মুজিব সিরাজকে কি বলেছিলেন- কিন্তু হত্যার পরদিন যে লোককে হত্যা করা হবে তাকে নিজের সামনে এনে এরকম অপমান করাটা যে মানসিকতাকে ইঙ্গিত করে তা গ্রাম্য মোড়লের মতো মনে হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শামীম শিকদার শেখ মুজিবের উপর একটি বিরাট ভাস্কর্য বানিয়েছেন। আপনি যদি শেখ মুজিবের হাতের দিকে খেয়াল করেন (সাতই মার্চের অনুসরনে) তাহলে দেখবেন তিনি তর্জনীটি ঠিক সোজা নয়, একটু যেন বাকা, আর শেখ মুজিবের মধ্যেও একটা কোকড়ানো ব্যাপার আছে।
শেখ মুজিব তার রাজনৈতিক বিরোধীদের প্রতি যে আচরন করেছেন তার কিয়দংশক যদি যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি দেখাতেন তাহলে দেশের ইতিহাস অন্যরকম হতো।
কিন্তু সেটা হওয়া সম্ভব ছিল না কারন লোকটি সত্যিই ঐ ভাস্কর্যের মতো বাকা এবং কোকড়ানো।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


