নিজের তোলা ছবি
গায়ে-গতরে যুবতী হয়েছে আমার বান্ধবী
বিষণ পড়ালেখা করে মস্তিষ্ক তাঁহার বড্ড
বিকশিত হয়েছে, বিদ্যা জগতে শিখিবার
আর কিছুই নাই; সব বুঝে ফেলিয়াছে, সব
শিখিয়া ফেলিয়াছে।
গোলাপ কলি গাছে ফুটিয়া গাছে মরিলে
যে সর্বস্ব বৃথা যাইবে ইহার বোধোদয় হতেই
মনের মানুষের খোঁজ করিতে মরিয়া উঠিল।
স্বভাবের সাথে মিলেনা বলিয়া প্রত্যাখানের
পত্র অনেকের বুকে বিষ তিরের মত বিধিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহপাঠীকে তাঁহার
খুব মনে ধরিল, ভদ্র লোক ইতিপূর্বে নিজের
সকল প্রাক্তনের প্রতি প্রণয়ের মহিমা তাঁহার
সামনে উপস্থাপন করিয়াছে। দিন যতই যায়
তাঁহার প্রতি বান্ধবী আমার দূর্বল হতে থাকে।
মানুষ কি করে এত পাষাণ হতে পারে?
এমন একজন খোলা মনের মানুষ কে
কি করে আঘাত দিতে পারে?.............।
নিজের মাঝে ভদ্রলোকের ব্যাথাগুলোকে
ধারণ করিয়া সে মনে করিল মনুষ্য-হৃদয়ে
যত প্রেম, যত সৌন্দর্য, যত তিয়াস আছে,
সব খুঁটিয়া বাছিয়া একত্রিত করিয়া নিজের
মস্তিষ্কের ভিতর জমা করিয়া ফেলিয়াছে।
করোনার মধ্যে তাঁহাদের সম্পর্কের অনেক
উন্নতি সাধন হয়েছে। এই বয়সে যার সহিত
প্রেম করিব তারেই বিয়ে করিব, জীবন সাথী
বানাবো এমনই প্রতিজ্ঞা বদ্ধ হয়ে মন-প্রাণ
জীবন-যৌবন সব দিয়া ফেলিল। কেন এমন
করিল জিজ্ঞাসা করার সাথে সাথে বলিয়া দিল
নাগরের স্বভাব-চরিত্র তার নখদর্পণ হইয়াছে।
সর্বশেষ ভদ্রলোকের সাথে যখন দেখা হয়েছিল
একটি দূর্ঘটনা করিয়া বসিয়াছিল। বাহাত্তর ঘন্টা
অতিবাহিত হয়েছে, ভদ্রলোকের নিখুঁত দায়িত্বের
ইতি ঘটিয়াছে বুঝতে বাকি নেই। চোখের জল
আর নিজের আত্মসম্মানের বিসর্জন দিয়া একটি
ঔষধ কিনিয়া আনিয়াছিল। ভিতরের পাতা খুলিয়া
পড়িয়া বুঝিতে বাকি নেই ইহা আর সেবন যোগ্য
নয়, চার দিনের মাথায় এসে ইহা সেবন করিয়া
আর দুঃখ বাড়াতে চাইনা।