somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চাঁদ কেলেঙ্কারিঃ ঠিক এই মুহূর্তে বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধ করে দিন, আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি জামাত-শিবির ৫০% পঙ্গু হয়ে যাবে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যারা আমার লেখার শিরোনাম পড়ে অলরেডি ফেসবুকের জন্য মায়াকান্না করছেন তাদেরকে বলছি, ফেসবুক কেন প্রয়োজনে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিক। কারন আমরা সবাই জানি এই দুইটি জিনিস হচ্ছে প্রোপাগান্ডা চালানোর সবচেয়ে বড় মাধ্যম। আপনারা ইতিমদ্ধে দেখেছেন কি পরিমান প্রোপাগান্ডা চালানো হয় এই ফেসবুকের মধ্যমে। এই মুহূর্তে জামায়াত- শিবিরের শুয়রেরা মরন কামড় দেওয়ার চেষ্টা করছে, তারা তাদের কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য ফেসবুক আর মোবাইলের সাহায্য নেয়, যা ইতিমধ্যে প্রমাণিত।

অনেকে এখন বলবেন, মাথা ব্যাথার জন্য মাথা কেন কাটতে হবে? তাদেরকে বলি, স্বীকার করি বা না করি, সত্যিটা হচ্ছে জামায়াতের সাইবার জগতে বিচরন আমাদের থেকে অনেক বেশি। স্কাইপ কেলেঙ্কারি তারই উধাহরন।

অনেকে এখন বলেবেন, জামাত-শিবির ফেসবুকের মাধ্যমে যেসব মিথ্যা প্রচরনা চালায় সেগুলোতো আমরা সাথে সাথে ধরতে পারি, তাহলে আর সমস্যা কি? এর উত্তরে আমি বলবো, আপনি বোকার স্বর্গ নয় বরং বলদের স্বর্গে আছেন। যার উধাহরন চাঁদের ঘটনাটি, যা সম্পূর্ণ একটি ফেসবুক কেন্দ্রিক প্রোপাগান্ডা। আরে ভাই, সাধারন একটি বিষয় বুঝার চেষ্টা করুন, জামাতি প্রোপাগান্ডার লক্ষ্য আপনি বা আমি না, তাদের লক্ষ্য আপামর জনসাধারণ। হ্যাঁ আপনার কথা মানলাম যে কিছু মানুষ তাদের প্রোপাগান্ডা ধরে ফেলে কিন্তু বেশির ভাগ লোক তাদের ফাঁদে ধরা দেয়, যার জলজ্যান্ত উদাহরন চাঁদের কেলেঙ্কারি।

অনেকে এখন বলবেন, যে ফেসবুকের মাধ্যমে অনেকে আউটসোসিং এর কাজ করে। তাদের কে বলবো, ভাই আপনি বেকার, তাই বলে কি আপনি রাজাকারদের ফাঁসি চান না? তারপরেও কেউ যদি ফেসবুকের জন্য মায়া কান্না করেন, তাহলে বলবো, বাঙ্গালীর পেটে নাই ভাত, সে আবার সালুন সালুন (পড়ুন ফেসবুক) করে।

যারা প্রমান ছাড়া কিছু বিশ্বাস করে না তাদের জন্য ছোট্ট একটি প্রমান হাজির করলাম,
(নিম্মক্ত প্রমানখানা আমারব্লগ.কম থেকে ডাইসের পোস্ট থেকে নেওয়া)

জামাতিদের ফেসবুক পেজ বাশেরকেল্লা নিয়ে নতুন করে বলার কিছুই নেই। এবার দেখুন এই পেজের পিছে তারা কি পরিমান অর্থ খরছ করেছে।

১১ ফেব্রুয়ারী থেকে বাঁশেরকেল্লা দেখা যাচ্ছেনা। বাঁশেরকেল্লা এমন একটি পেজ যা বন্ধ হওয়াতে নয়া দিগন্ত আর সংগ্রামের প্রথম পাতায় রিপোর্ট আসে। শিকড়ের গভীরতা বুঝতে হবে। ১২ তারিখে নতুন বাঁশেরকেল্লা পেজের আগমন ঘটে। এই নতুন পেজটি ১৯ দিনে এক লক্ষ লাইক(ফ্যান) আদায় করে এবং পেজে নিয়মিত বা একাধিক বার আসছেন এমন পাবলিকের সংখ্যা দুই লক্ষ চার হাজার! ক্যামনে সম্ভব?

মাঝখানে একবার খবর বেরিয়েছিল ফেসবুক নাকি টাকা দিয়ে ব্যাবহার করতে হবে। নাহ! জুকার এত টুকু নির্দয় হয়নি। আবার চাইনিজ মেয়ের পাল্লায় পড়ে তুলসি পাতাও থাকেনি। সে নিউজফিড আর সাইডবারে নিয়ে এসেছে বিজ্ঞাপনের ঝুড়ি। এত এত বিজ্ঞাপন দেখে কেউ টাকা দিয়ে বিজ্ঞাপনহীন ফেসবুক চাইলেও আশ্চর্যের থাকবেনা। বিজ্ঞাপনের একটা ফর্মুলা পেজ প্রমোশান। এখন আলাদা আলাদা ভাবে ফেসবুক পোস্ট প্রমোট করতে দিচ্ছে। প্রত্যেক পোস্ট ৫ কিংবা ১০ ডলারে প্রমোট হবে যা অন্যদের সাইডবারে প্রদর্শিত হবে। ৫ ডলারে লাইকার বাড়বে ২৮০০ থেকে ৫২০০ জন। ১০ ডলারে লাইকার বাড়বে ৪৭০০ থেকে ৮৪০০ জন। একবার ১০ ডলারে প্রমোট করলে পোস্টটি নূন্যতম ৪৭০০ লাইক পাবেই,পোস্ট হিট হলে ৮৪০০ তে পৌঁছুবে।



ফেসবুক সাইডবারে সম্প্রতি বেশ নজর কাড়ল। বাঁশযুক্ত দুর্গ কিছু বলতে চাচ্ছে।



কি দেখা যাচ্ছে! বাঁশেরকেল্লার লাইকের উৎস পোস্ট প্রমোশান। যে কোন স্ট্যাটাস বা ফটো পোস্ট করার সাথে সাথে ১০ ডলার দিয়ে প্রমোট করে দেয়া হচ্ছে তা অন্য দের হোমপেজে,সাইডবারে শো করছে।

বাঁশেরকেল্লা পোস্ট করার সাথে সাথে সেটা প্রমোট করে দেয়। কেউ একজন লাইক দিলে ফেসবুক তা প্রদর্শন করে তার অন্যদের নিউজফিড,সাইডবারে। যত লাইকার বাড়বে ক্রমে তা অন্যদের হোমপেজে ছড়িয়ে পড়তে থাকবে।
বাঁশেরকেল্লা পেজে ঘন্টায় পোস্ট দেয়া হয় গড়ে ৪২ টি। গত চব্বিশ ঘন্টায় পোস্ট দেয়া হয়েছিল ১০০০ টি। প্রত্যেক পোস্ট ১০ ডলার করে প্রমোট করলে ফেসবুককে দিতে হয় ১০,০০০ ডলার। বর্তমান বাজারে ১ ডলার সমান ৮৫ টাকা। ১০০০০ ডলার = ৮৫০০০০ টাকা। ১০ ডলার করে ঘন্টায় ৪২ টি পোস্ট দিলে ১৯ দিনে মোট ব্যয় হয় ১৬১৫০০০০ টাকা। যদি ৫ ডলার করে পোস্ট প্রমোট করা হয় তাহলে ১৯ দিনে ব্যয় হয়েছে ৮০৭৫০০০ টাকা। আবার যদি বাঁশেরকেল্লা সবগুলো পোস্ট প্রমোট না করে এর অর্ধেক পরিমাণ পোস্টও প্রমোট করে তাহলে ১০ ডলারের জন্য খরচের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮০৭৫০০০ টাকা ও ৫ ডলারের জন্য খরচ হবে ৪০৩৭৫০০ টাকা।

শুধুমাত্র একটি ইস্যুতে পোস্ট করার জন্য কে বা কারা এত টাকা ব্যয় করল? অনবরত কেন ব্যয় করছে? বাঁশেরকেল্লা কি কোন সংস্থা? তাদের এই অর্থের উৎস কি?
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×