সংযত হওয়ার দায়িত্বটি আসলে দ্বিপাক্ষিক। শান্তি এবং শৃঙ্খলার দাবি হলো, দু’টি পক্ষই যার যার অংশের দায়িত্বটুকু আন্তরিকভাবে মেনে নেবে, দায়িত্বশীলতার সাথে পালন করবে। এক পক্ষ আন্তরিক চেষ্টা দিয়ে নিজের সম্ভ্রম শালীনতার সংরক্ষণ করবে, আরেক পক্ষ নিজের চোখ দু’টোকে সংযত রাখবে।
কথা হলো, কার দায়িত্ব কোনটি? লজ্জা শরম ঢেকে রাখার দায়িত্বটা কার? উত্তরঃ যারই লজ্জা আছে, শরম আছে, সম্ভ্রম শ্লীলতা নামে কিছু আছে, সে তার সম্ভ্রম শ্লীলতাকে অকাতরে বিতরণ করবেনা, সযত্নে সংরক্ষণ করবে। সে ছেলে, নাকি মেয়ে তা জানি না।
তাহলে চোখ সংযত রাখার দায়িত্বটা কে নেবে? উত্তরঃ যারই চোখ আছে, সেই। সে নারী, নাকি নর তা জানি না।
কেউ যদি নিজের ভেতরে লজ্জা শরম নামের কিছুর অস্তিত্ব অনুভব না করে, সে যেখানে খুশি সেখানে, যেমন খুশি তেমন সাজে ঘুরে বেড়াতে পারে। তার লৈঙ্গিক পরিচয় যাই হোক।
কেউ যদি চোখ সংরক্ষণের কোন তাগিদ মনের গভীরে লালন না করে, সে যা খুশি তাই দেখতে পারে, ধরতে পারে। যাকে খুশি তার ঘাড় মটকাতে হামলে পড়তে পারে। স্থানটি পুরান ঢাকার কোন কানা গলিই হোক, আর টিএসসির উন্মুক্ত লোকারণ্যই হোক। মাদ্রাসা বা ভর্সিটির শিক্ষকের কক্ষই হোক, আর থানার ওসি বা এসআইয়ের কার্যালয়ই হোক।
প্রিয় ভাইবোন, আমাদের সবাইকে একই সাথে দু’টি করে কাজ করতে হবে।
1. আমরা আমাদের সম্ভ্রম শ্লীলতাকে মূল্যহীন মনে করবো না, তুচ্ছ দামে বেচবো না, রক্ষণশীলতার সাথে সংরক্ষণ করবো।
2. আমাদের চোখগুলোকে অশুভ দৃষ্টির অপবিত্রতা থেকে বাঁচিয়ে রাখার ব্যাপারে অত্যন্ত রক্ষণশীল হবো।
সবাই যার যার অংশের দায়িত্বটুকু পালন করলে আমাদের সমাজটি স্বর্গ হবে। আর আমরা দুই পক্ষই অথবা কোন এক পক্ষ দায়িত্বকে অগ্রাহ্য করলে, যা হওয়ার তাতো হয়েই চলেছে।
আমাদের দলে যোগ দিন
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:৪৩