পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ভোটে নির্বাচিত নেতা
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সমাপ্তি
পূর্ব বাংলাকে পালাক্রমে পাশবিক নির্যাতন
নির্যাতনের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া
পাকিস্তান
বাংলাদেশ
বাংলাদেশের প্রতি ভারতের মনোভাব
“ভারত আমাদের বন্ধু নয়।” এই প্রমাণিত সত্য কথাটি বলতে বাংলাদেশীদের কোন দ্বিধা হয়না। বাঙ্গালীদের অনেকের দ্বিধা হয়।
ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট খেলায় বাংলাদেশীরা পাকিস্তানের পতাকা উড়ায়। উচ্ছ্বাস দেখায়। এই উচ্ছ্বাস ‘পাকিস্তান প্রীতি’র নিদর্শন নয় কিছুতেই। এই উচ্ছ্বাস ভারতের প্রতি বাংলাদেশের তীব্র বিরাগের প্রকাশ।
ডান, বাম, ইসলামী কোন পক্ষই ভারতকে বাংলাদেশের বন্ধু মনে করেনা। দেশপ্রেমের স্বাভাবিক তাগিদেই। বন্ধুত্বের কোন পরীক্ষাতেই উত্তীর্ণ নয় ভারত।
’৭১ এ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে ভারত। ভারতের সে ভূমিকা কাজে এসেছিল আমাদের। ভারত যুদ্ধ করেছে শত্রুরাষ্ট্রকে জবাই করতে-- অখণ্ড পাকিস্তানের ঈর্ষণীয় শক্তিকে দ্বিখণ্ডিত করতে-- ৪৭ সালে হাতছাড়া হ্ওয়া পূর্ববাংলাকে পুনরুদ্ধার করতে। আপনাকে স্বাধীন করার জন্য যুদ্ধ করেনি ভারত। ৭১ এর পর একথা বার বার প্রমাণিত হয়েছে।
পশ্চিম পাকিস্তানকে ডিভোর্স দেয়ার চেষ্টায় ভারতকে পাশে পেয়ে আপনি খুশি হয়েছিলেন, আর আপনাকে নির্জনে নিঃসঙ্গ পাওয়ার ইচ্ছাটি তাদের পূর্ণ হয়েছিল।
’৭০ এর ঐতিহাসিক নির্বাচনে পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ শেখ মুজিবকে ভোট দিয়েছিলো। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রি বানানোর জন্য। জনগণের ভোটে নির্বাচিত নেতা শেখ মুজিবের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে চরম স্বেচ্ছাচারিতার পথ বেছে নেয় আমাদের তৎকালীন জালিম রাষ্ট্রযন্ত্র। ভারতের হাতে একটি ধারালো অস্ত্র তুলে দেয় আমাদের তৎকালীন অবৈধ সরকার ।
চির শত্রু পাকিস্তানকে ভেঙে দু’টুকরো ও দুর্বল করা গেছে। ভারতের প্রতিহিংসার উপশম হয়েছে। শাসন শোষণ করার জন্য আপনাকে ভৌগলিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার প্রয়োজনটি তার পূর্ণ হয়েছে।
আমাদের দলে যোগ দিন
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:০৬