"বিয়ের জন্য বয়সসীমা বেঁধে দেয়ার মত হৃদয়হীন কাজ আমি করবনা৷ কখন বিয়ে করবে, এটা তোমার স্বাধীনতা৷ নিজেকে বিয়ের যোগ্য মনে করলে বিয়ে করে ফেলতে পারো৷ তোমার বয়স কত বছর হলো, সেটা কোন ব্যাপার নয়৷
তবে সাবধান! জীবনেও কোনদিন ব্যভিচারের কাছেও যেওনা৷ যদি যাও, চূড়ান্ত যন্ত্রণার স্বাদ উপভোগ(!) করার জন্য তৈরি থেকো৷"
ব্যভিচার বিদ্বেষী মৌলবাদের খোলাখুলি হুশিয়ারী এটি। ব্যভিচার বান্ধব প্রগতিশীল ঘোষণাটি হলো-
"যৌনতার জন্য বিবাহের আবশ্যকতা আরোপ করার মত হৃদয়হীন কাজ আমি করবোনা৷ কখন কোথায় বসে কার সাথে কী করবে, সেটা তোমার স্বাধীনতা৷ নিজের দেহমনের প্রশান্তির জন্য যা করা দরকার, করে ফেলতে পারো৷ বয়স কোন বিষয় নয়৷
তবে সাবধান! ২১ (মেয়েদের ১৮) বছরের আগে বিয়ের কাছেও যেওনা৷ যদি যাও, বাল্যবিয়ের অমার্যনীয় পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য প্রস্তুত থেকো৷"
পুরুষ মাত্রেরই নারী প্রয়োজন, আর নারীর প্রয়োজন হয় পুরুষ। যে বলে, “আমার প্রয়োজন হয় না”, যুগ যুগ ধরে অবিবাহিত থাকার পক্ষে যে লোক, সে হয় ফেরেশতার চাইতেও পবিত্র মানুষ, নাহয় মিত্থুক ইবলিস শয়তান।
এই শাশ্বত প্রয়োজনটি পূরণের জন্য কেউ মৌলবাদী পন্থাটিকে(বিয়ে) বেছে নেয়, আর কেউ প্রগতিশীল উপায় অবলম্বন করে প্রয়োজন মিটিয়ে নেয়। আর কেউ কেউ পাশবিক পদ্ধতির আশ্রয় গ্রহণ করে।
১৮ বছরের কম বয়সের নারীদের জন্য বিয়ে হারাম(অবৈধ)। ২১ বছরের কম বয়সী নরদের জন্যও বিয়ে হারাম(নিষিদ্ধ)। আইন কি তাহলে নরনারীর শাশ্বত মানবিক অধিকারটি খর্ব করছে? মানবীয় মৌলিক প্রয়োজন পূরণের পথে অমানবিকভাবে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে? উত্তর, “না”। নরনারীর যা খুশি তাইই করার অনুমতি আছে, তবে তা প্রগতিশীল পদ্ধতিতে । মৌলবাদী পদ্ধতি(বিয়ে) গ্রহন করতে হলে নর ও নারীকে ২১ ও ১৮ বছর অপেক্ষা করতেই হবে।
ছাত্রসংগঠনের নেতানেত্রীদের জন্য বিয়ে করার অনুমতি নেই। অনুমতি দেয়নি দলীয় ব্যবস্থা। দলীয় ব্যবস্থা কি তাহলে ছাত্রনেতা ছাত্রনেত্রীদের শাশ্বত মৌলিক চাহিদাকে পদদলিত করেছে? দলীয় ব্যবস্থা কি এতটাই অমানবিক ও নিষ্ঠুর? উত্তর, “না”। ছাত্রনেতা ছাতনেত্রীদের সব ধরনের চাহিদা পূরণের সুব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অর্থনৈতিক জীবনের মত তাঁদের জৈবিক জীবনটিও রঙে রঙিন, মনোলোভা বৈচিত্রে ভরপুর।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:১১