রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) গতকাল বুধবার রাতে ছাত্রলীগের এক পক্ষ অপর পক্ষের ওপর হামলা চালিয়েছে। হামলায় সংগঠনটির চারজন কর্মী আহত হয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রশিবিরের কর্মী ও সমর্থকদের কৌশলে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে, আর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষ বাধে।
আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সম্ভাব্য অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
রুয়েট ক্যাম্পাস, মতিহার থানা ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতা রেজাউল করিমের নেতৃত্বে তাঁর পক্ষের সমর্থকেরা অনেক দিন ধরে ছাত্রশিবিরের কর্মী ও সমর্থকদের ছাত্রলীগের রাজনীতিতে প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়াসহ ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলার চেষ্টা করে আসছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে ছাত্রলীগের অপর পক্ষের নেতা আল আমিন, ফয়সাল আহমেদ ও হারুন অর রশিদ তাঁদের পক্ষের সমর্থকদের নিয়ে গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে রেজাউল করিমসহ তাঁর পক্ষের সমর্থকদের কাছে এসব বিষয়ে জানতে চান। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে রাত সোয়া ১২টার দিকে আল আমিন, হারুন ও ফয়সাল গ্রুপের সমর্থক মুন্না, শামীম, রাসেলসহ ৩০-৩৫ জন ছাত্রলীগের কর্মী রেজাউল করিমের সমর্থকদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। হামলায় রেজাউল করিম পক্ষের সমর্থক ও রুয়েটের সিভিল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র নিক্সন, একই বিভাগের এবং একই বর্ষের ছাত্র বসাক, তড়িত্ কৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের নিলয় ও কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শামীম আহত হন। আহতদের ওই রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁদের মধ্যে শামীমের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতা আল আমিন অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে রেজাউল করিম ও তাঁর সমর্থকেরা ছাত্রলীগের রাজনীতিতে কৌশলে ছাত্রশিবিরের কর্মী ও সমর্থকদের প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়াসহ তাঁরা নানাভাবে ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলার চেষ্টায় করে আসছিল। রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের মূলধারার নেতা-কর্মীরা এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে রেজাউল করিমের সমর্থকদের প্রতিহত করেছে মাত্র।
এদিকে রেজাউল করিম এ অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, যুক্তিসংগত কোনো কারণ ছাড়াই পেশিশক্তির বলে ও প্রাধান্য বিস্তার করতেই আল আমিন, হারুন ও ফয়সাল গ্রুপের সমর্থকেরা সশস্ত্র হামলা চালিয়ে তাঁর পক্ষের চারজন সমর্থককে আহত করেছে।
এ ব্যাপারে রুয়েটের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফুল আলম বলেন, ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। সম্ভাব্য অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি।
-----সর্বশেষ সংবাদ, প্রথম আলো।
তয় মারামারির আসল কাহিনি অন্য, সেটা না হয় নাই বলি।
আমার কাহিনী হইল রাস্তা আটকানো নিয়া....................
এই মারামারির ফলোআপ এ আজ পুলিশ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। রাত ১০.৩০ এ নেতারা এসে ঘর থেকে টেনে নিয়ে গেল,”সবাই বের হয়ে পানির ট্যাংকির নিচে যাও।” যা হোক, নেতারা বলেছেন, অমান্য তো আর করা যায় না।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:২০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





