এই ইস্যুতে যদি রাস্তার ফকিরও আন্দোলন করে, আমি তাদের সাথেই আছি! আমার কোনো দল করার দরকার নাই, আমি করিওনা! আমার দল হলো বাংলাদেশ, আর আমার দলের প্রত্যক্ষ শত্রু হলো জামায়াত-শিবির~ আমি কোনদিন ভুলবনা, ভুলতে চাইও না, ওরা যে অন্যায় করেছে, শুধু তার শাস্তি দেখতে চাই, মন থেকে চাই!
এগিয়ে যাও ১৪ দল OR WAHTEVER !! I DONT CARE , NO JAMAYET NO SHIBIR ! Thasts ALL NOW !!!
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করা এবং জনগণকে এ বিষয়ে সচেতন করতে ৭ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে মানববন্ধন করবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল।
শনিবার বিকালে একই দাবিতে রাজধানীতে গণমিছিল শুরুর আগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ ফটকের সামনে এক সমাবেশ থেকে মানববন্ধনের এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু।
সমাবেশ উপলক্ষে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে দুটি ট্রাকে একটি অস্থায়ী মঞ্চ করা হয়। আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে এই সমাবেশে ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও বক্তব্য দেন।
যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী নৈরাজ্য চালাচ্ছে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, “চক্রান্ত হচ্ছে। যে কোনো উপায়ে শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য।”
এ জন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানিয়ে নাসিম বলেন, “তারা আরেকটা ১৫ অগাস্টের পুনরাবৃত্তি করতে চায়।”
আমু বলেন, বর্তমান সরকার আইনের শাসনে বিশ্বাসী। তা না হলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হতো ‘বিশেষ আইনে’।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমদ বলেন, ২০১৩ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে ১৪ দল রাজপথে থাকবে।
“ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলে আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবোই”, বলেন তিনি।
অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও মতিয়া চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের শরীফ নুরুল আম্বিয়া, সাম্যবাদী দলের আবু আহমেদ সাহবুদ্দীন, গণ আজাদী লীগের হাজী আব্দুস সামাদ, ন্যাপের এনামুল হক, গণতন্ত্রী পার্টির নুরুর রহমান সেলিমসহ ঢাকা মহানগর ১৪ দলের নেতারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন।
সমাবেশ শেষে বায়তুল মোকাররম এলাকা থেকে শুরু হয়ে জিপিও, তোপখানা, প্রেসক্লাব, রমনা হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনের সামনে গিয়ে শেষ হয় গণমিছিল। বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগসহ শরিক দলগুলোর বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী এই মিছিলে অংশ নেন।
ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের উপস্থিতিতে বায়তুল মোকাররমের আশপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। ১৪ দলের নেতা-কর্মীরা যুদ্ধাপরাধের বিচার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় তাদের হাতে যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড ও জাতীয় পতাকা দেখা যায়।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ও বর্তমান আমিরসহ শীর্ষ আট নেতা ও বিএনপির দুই নেতার বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। তাদের মুক্তির দাবিতে সারা দেশে হরতালও করেছে জামায়াত।
এই দুটি দল ট্রাইব্যুনালের বিচার বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করে আসছে আওয়ামী লীগসহ শরিক দলগুলো।
Click This Link