সারা দুনিয়ায় যখন ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগীতা গুলা শুরু হইছিলো, তকন আমাগো দেশের চ্যানেলের প্রডিউসারগুলা চোকে টুলি পইরা বইসাছিলো। তাই জখন ভারতে ইন্ডিয়ান আইডল হিট করলো, তকন বাংলাদেশীরা গা ঝাড়া দিয়া নকল করা শুরু কর্লো। নকলটা আমাগো দেশেও হিট কর্লো। তারপর শুরু হইলো স্টার সার্চের নামে টাকা ভিক্ষা করনের প্রতিযোগীতা।
স্মৃতি বেইমানী না কর্লে, এনটিভি একটেলের মেসেজ দিলেই পুরুষ্কার পাইবো এইরম একটা অনুষ্ঠান শুরু কর্ছিলো। সবাই মিলা মেসেজ করে। যে যত পারে। পুরুষ্কার পায় একজন। আর সুন্দরী এক ছেড়ী আর টাকলা এক ছেড়া একটু পর পর কয়, "যত খুশী এসএমএস পাটান"।
আর এই আইডল গুলাও সেই। পাবলিক জাজমেন্টের জন্য জতকুশী তত এসএমএস। কাইল না পরশু দেখতেছি চ্যানেল আই। এক বাচ্চা মেয়ে গান শুনাইলো। বড়ই মধুর লাগিলো। কিন্তু তারপরই এক ব্যাটা কইতাছে, "এই মেয়ে খুব গরীব পরিবারের মেয়ে, তার বাবা .....।"
আবার কয়েকদিন আগে দেখলাম এগো ফরমেট হইলো, এসএমএস দিয়া কয়েকজন সিলেক্ট কইরা কয়েকজন রে বাদ দেয়। আবার বাদ পড়া গো শহ সবাইরে নিয়া আবার এসএমএস চায়। তারপরও বাদ পড়া গুলারে ডেন্যার জোনে ফালায়, আবার এই জোন থিকা সেফ-জোনে নেয়ার লিগা এসএমএস চায়।
আর বাচ্চা বাচ্চা এই প্রতিভাগো দিয়া ভিক্কা করায়, "আমাদের যত খুশী এসএমএস করুন"। এই সব সাটেলাইট ডিজিটাল ফকিন্নিরা শুধু দেশে ভিক্কা করে না। এডি এখন আন্তর্যাতিক ভিক্কাও শুরু কর্ছে। একটু পর পর কয়, "আরব-আমিরাত থেকে ভোট কর্তে চাইলে অমুক নাম্বারে তমুক লিকে সেন্ড করুন, সৌদি প্রবাসীরাও ......।" মানুষের সেন্টিমেন্ট নিয়া ব্যাবসা।
শালার ডিজিটাল ফকির। তবে আমি পন কর্ছি। এগো ভিক্কা দিমু না। কোনো মতেই না।