জাতীয় ক্যান্সার হাসপাতাল ২০০৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত আসা রোগীদের উপর জরিপ চালিয়ে বের করে, এই সময়ে আগত পুরুষদের ২৮ ভাগ ফুসফুস ক্যান্সার এবং ৬ ভাগ মুখমন্ডলের ক্যান্সারের রোগী। এর মধ্যে শতকার ৩০ ভাগ ক্যান্সারের জন্যই দায়ী তামাকজাত দ্রব্য।
ভাইরে তোরা সিগারেট খা কোন সমস্যা নাই, নিজেদের একটা কাচের বয়ামে ভরে তারপর খা। আয়েশে সিগারেট খেয়ে যে বাতাসে ধোয়াটা ছাড়ছিস সেই বাতাসটাই টেনে নিচ্ছে সদ্য জন্ম নেয়া কোন নবজাত শিশু তার ছোট্ট বুকে, কিংবা হয়ত তোর অসুস্থ বৃদ্ধা মা এই বাতাসে শ্বাস টেনে শ্বাস কস্টে ভুগছে। তুই আয়েশে সিগারেট টেনে তোর বাচ্চাকে চুমু খাচ্ছিস আর বাচ্চাটা হয়ত তোকে দেখেই পণ করেছে বড় হয়ে বাবার মত সিগারেট খাবে।
বাংলাদেশের একজন মন্ত্রী কিছুদিন আগে প্রকাশ্যে ধুমপানের অপরাধে সাংবাদিক সম্মেলন করে ক্ষমা চেয়েছেন এবং প্রকাশ্যে ধুমপান না করার অঙ্গীকার করেছেন, ভালো লাগত তিনি যদি ছেড়ে দেবার অঙ্গীকার করতেন। তাও একজন মন্ত্রী হয়ে তিনি যেটুকু করেছেন সেইটুকু ভদ্রতা কি তোরা করতে পারিস না? নিকোটিনের ধোয়াটা বুকে পুরে নিয়ে যতটা সুখ পাস প্রতিবার টানার সময় ক্যান্সের বুকে টেনে নিচ্ছিস আর ছাড়ার সময় ক্যান্সার ছড়িয়ে দিচ্ছিস এই ভাবনাটুকু যোগ করলে কি একই সুখ পাবি?
আমার সকল ধুমপায়ী বন্ধুদের প্রতি প্রশ্ন রইল।