somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অবশিষ্ট এয়ারটেল সিম ধ্বংস করা হল। আমি এয়ারটেল মুক্ত আপনিও কি??

২০ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এক সময়ের ওয়ারিদ এবং বর্তমান এয়ারটেলের ব্যাপক ভক্ত ছিলাম। সেজন্য কিনা এয়ারটেলের পোস্টপেইড কানেকশন ইউজ করতাম অনেকদিন থেকেই। আমাকে যারা ব্যক্তিগত ভাবে ছিনেন তাদের অনেকে নিশ্চয় জানেন আমি ভারতের আগ্রাসন বিরোধী একজন মানুষ। তো কিছুদিন আগে পাহাড়ি এক ছোট ভাইকে এয়ারটেল নাম্বার থেকে কল দিলে সে আমাকে বলে, "ভাইয়া আপনি সবাইকে ইন্ডিয়ান আগ্রাসন নিয়ে সচেতন করছেন, অথচ সেই ইন্ডিয়ান কোম্পানির মোবাইল কোম্পানির কানেকশন ইউজ করেন!!" সেদিন তার সাথে কোনমতে কথা শেষ করে তার কথা নিয়ে ভাবতে থাকলাম। সারাদিন তার কথাটা কেমন জানি বিবেককে দংশন করছিল। আসলেইতো সে ঠিক কথায় বলেছে। কেন আমি মাসে শুধু শুধু ইন্ডিয়ান একটি কোম্পানির হাতে ৩ হাজার টাকা বিল তুলে দিব, যে বিলের টাকা দিয়ে লাভবান হচ্ছে ভারত এবং বিএসএফ। সেদিন থেকেই এয়ারটেল সিম ফেলে দেয়ার সিন্ধান্ত নেই। কিন্তু অনেকদিনের নাম্বার বিদায় সেটি শুধু ইনকামিং কল এর জন্য চালু রাখি। ওদিকে মাস শেষ হতেই সুকন্ঠিরা কাস্টমার কেয়ার থেকে কল দিয়ে বলতে লাগলো, "আমি নুসরাত বলছি, এয়ারটেল কাস্টমার কেয়ার থেকে। স্যার আপনার কি একটু সময় হবে, হবে। জি স্যার আপনার সর্বমোট বিল হয়েছে....টাকা। আপনার বিল জমা দেবার সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। আমি কি স্যার আশা করতে পারি আজকের মধ্য আপনি বিল পরিশোধ করবেন।" উত্তরে তাঁকে বললাম আপনাকে আর কষ্ট করতে হবেনা আপু, আজকের পর আমি এয়ারটেল কানেকশন বন্ধ করে দিচ্ছি। তারপর আসতে আসতে সবাইকে নতুন নাম্বার দেয়ার পর চিরতরে বন্ধ করে দিলাম "এয়ারটেল__ভালোবাসার টানে ইন্ডিয়াকে পাশে আনে" কোম্পানির মোবাইল কানেকশনটি।



বাসায় আরো দু সদস্য বাকি ছিল যারা এয়ারটেল কানেকশন ইউজ করতো। আজ নিজ খরচে অন্য কোম্পানির মোবাইল কানেকশন কিন দিয়ে তাদেরও বন্ধ করে দেয়ালাম।

অন্যদিকে ফেসবুকে সন্ধ্যায় স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম, "ইন্ডিয়ান পণ্য বর্জনের অংশ হিসেবে ঘোষণা দিচ্ছি, আমাকে কেউ কোন এয়ারটেল নাম্বার থেকে কল দিবেন না, এবং আমিও কোন এয়ারটেল নাম্বারে কল দিবনা। আমার বোন ফেলানিকে হত্যা এবং ভাই হাবিবুর তথা বাংলাদেশকে দিগম্বর করার প্রতিবাদে আমি এই সিন্ধান্ত নিলাম।"
স্ট্যাটাসটিতে এখন পর্যন্ত পাচ্ছি অবিশ্বাস্য সাড়া।

আসুন ইন্ডিয়ার আগ্রাসন মোকাবেলায় নিজে ইন্ডিয়ান পণ্য করি বর্জন, অন্যকেও করি উৎসাহিত। আমাদের এমন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ত্যাগ একদিন বৃহৎ আন্দোলনে রূপ পাবে। ইনশাল্লাহ


হয়ত আমাদের বোন ফেলানী ইন্ডিয়ার যে কাটাতারে ঝুলে আছে সে কাটাতারের বেড়া নির্মানে এয়ারটেলের টাকা রয়েছে, কিংবা বিএসএফ যে অস্ত্র দিয়ে আমাদের প্রতিনিয়ত মারছে সেখানেও রয়েছে এই কোম্পানীগুলোর অর্থায়ন। তাই জেনেশুনে আর ভুল করা নয়। আসুন ইন্ডিয়ান পণ্য নিজে বর্জনের সাথে সাথে অন্যকেও বর্জনেও উৎসাহিত করি।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:১৩
৭১টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×