জামায়াতের রক্তাক্ত বাংলাদেশ সিডিটি 4/5 দিন আগে দলটির ডাকা প্রেস ব্রিফিংএ সাংবাদিকদের দেয়া হয়েছে।নির্বাচনকে সামনে রেখে সিডিটি ব্যাপক প্রদর্শন এবং বিতরনের ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে।
ব্লগে এই বিষয়ে আগেই লেখা পড়েছি।সিডিটি দেখার বিষয়ে আগ্রহ জমেছিলো। ডকুমেন্টারিটি দেখে মোটের ওপর দর্শক হিসেবে মনে হয়েছে এটি জামায়াতের নোংড়া রাজনীতির আরো একটি প্রমান।এবং পুরো আয়োজনটি যে,আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে আবেগ উথলে দিয়ে নিজেদের দিকে ভোট টানার চেষ্টা তা স্পস্ট হয়ে উঠেছে।
যারা 28 অক্টোবর বা তার আগে -পরে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ;জামায়াত হলে কিংবা আওয়ামীলীগ হলে তাদের পরিবারের সদস্যদের দুঃখ কম বা বেশি এমন নিশ্চয়ই নয়। স্বজন হারানোর বেদনা সবার জন্যই সমান তীব্র।কিন্তু জামায়াত শুধু নিজেদের কমর্ীদের নিয়ে কথা বলে আবেদন রেখেছে যে,তাদের যেন ভোট দেয়া হয়।মানে কি এরকম যে,এধরনের ঘটনা অন্যদলের ঊপর হলে আপত্তি নেই জামায়াতের ঊপর যেন না হয়!?
নয়তো, চার দলীয় জোট সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রাক্কালে ও পরে ,তত্ত্বাবধায়ক সরকারেরপ্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ,প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ,নতুন কমিশনার নিয়োগের দাবিতে গত 24 অক্টোবর থেকে5 নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় এই 50 জনের মৃত্যু হয় ।এই 10 দিনে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহতদের মধ্যে 20 জন বিএনপি,13 জন আওয়ামীলীগ, 9 জন জামায়াত ই ইসলামীর নেতা-কমর্ী। অন্যান্যদের মধ্যে,2 জন ইসলামী ঐক্য জোট কমর্ী 2জন ,এবং ওয়ার্কার্স পার্টির 1 জন,পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির 2 জন,অজ্ঞাতনামা 2 জন,সাধারণ নাগরিক 1 জন।
যাই হোক,জামায়াত যা করেছে নিহতদের পরিবারে গিয়ে তাদের নতুন করে কাঁদানোর জন্য দেখলাম নিহত একজনের ছো ট ভাইকে জিজ্ঞেস করছে, তোমার ভাই তোমাকে গত ইদে কী দিয়েছে? সে যে আর আসবে না তোমার কেমন লাগছে টাইপের প্রশ্ন করছে !
জামায়াতের এই প্রামান্য চিত্রেমিথ্যাচার ঃ
ক. ট্যাক্সি চালককে প্রেট্রল বোম মেরে খুন।
4দলীয় জোট সরকারের শাসনামলে আওয়ামীলীগের ডাকা হরতালে এই ঘটনা ঘটেছিলো।এটা প্রমানিত না যে কাজটা আওয়ামীলীগ কমর্ীদের ছিলো। ডকুতে ঘটনাটির তারিখ নিয়ে অস্পস্টতা তৈরি করা হয়েছে।
খ.ট্রেনে আগুন।
এই ছবিটিও 28 অক্টোবরের হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তা হলো,টঙ্গিতে আওয়ামীলীগ নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টারকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে খুনের পরের ঘটনা। যে ভাবে ঘটনাটি উপস্থাপনা করা হয়েছে তার সঙ্গে বাস্তবতার মিল কই?
গ.লুট-পাটের দৃশ্য এবং সিএনজি স্টেশনে ভাংচুর।
সিএনজি স্টেশনে ভাংচুরের দৃশ্য 26 অক্টোবরের।যাত্রাবাড়িতে বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি সালাউদ্দিনের মালিকানাধীন।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তিনি সরকারি জমি দখল করে এলাকায় মার্কেট,সিএনজি স্টেশনসহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলেছেন।এই ভাংচুরগুলো সেদিন করেছিলো সালাউদ্দিনের প্রতিদ্্বন্দি বিএনপি দলীয় নেতা নবি উল্লা নবীর সমর্থকরা। জামায়াতের সিডিতে এজন্য আওয়ামীলীগকে দোষি করা হয়েছে।
সিএনজি স্টেশনে লুট-পাটের দৃশ্যটিও শনির আখড়ার।এই ঘটনাটি হলো শনির আখড়ায় পুলিশের সঙ্গে পানি -বিদ্যুৎ সংগ্রাম কমিটির সংঘর্ষের দিনের। এটিও স্থানীয় বিএনপি নেতা সাবেক এমপি সালাউদ্দিনের এক আত্মীয়ের।মনে নেই? ঐযে,এমপি সালাউদ্দিন পালিকের দৌড় খেয়ে পালালেন এক বার!!
ঘ.গাড়িতে আগুনের দৃশ্য ।
এই দৃশ্যটি কাচপুর ব্রীজের পুব পাড়ে। 14 দলের প্রথম ঢাকা অবরোধের দিনের। এই দিন পুলিশ প্রায় 50 রাউন্ড গুলি ছুড়েছিলো ।বেধরক লাঠি চার্জ করেছিলো ।এক পযর্ায়ে পুলিশ দৌড়ে পিছু হটে গেলে পুলিশের 2টি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়।
এই সিডিটিতে দেয়া হয়নি এমন কিছু ছবি (28 অক্টোবরের)আমার কাছে আছে।পরে এবিষয়ে লিখবো মনে হয়। বায়তুল মোকাররম মসজিদে 2000(?) সালে পুলিশ -জামায়াত যুদ্ধবিষয়েও!!
সিডিতে জামায়াত যেটাকে ইসলামের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের ভূমিকা হিসেবে দেখিয়েছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


