ইন্টারমিডিয়েট পরিক্ষার সময় তখন মাত্র কয়েকদিন বাকি। রেজিষ্টেশন করতে আমার কাছে টাকা নেই। সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে রক্ত চাপ বাড়ছে বৈ কমছে না। মাত্র দুদিন বাকি আছে। টাকা ৫০০ তখন কম আমার হাতে। সুমনকে বাধ্য হয়ে বিষয়টা জানালাম। কোন কিছু চিন্তা না করে সে টাকাটা দিয়ে দিলো আর আমি হাফ ছেড়ে বাচলাম। পাস করতে করতে আমি মাস্টাস শেষ করে দিলাম। বাস্তবের জমিনে মাঝে মধ্যে কথা হয় ফোনে,দেখাও হয়েছে কাজে অকাজে। কিন্তু কলেজ লাইফের সহপাটি অন্য বন্ধুদের ডাকা " সুমন" ভাইকে আজো ধন্যনাদ বলা হয়নি। তারপর কুশিয়ারার জল ঢের গড়িয়েছে।
কে যে কোথায় ছিলাম, সে খবর আমি রাখিনি! তবু অসময়ে তারে পাশে পেয়েছিলাম ! যার কথা বলছি, তার পুরো নাম আব্দুল কাদির সুমন। বাড়ি বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা আরেঙ্গাবাদ গ্রামে। সম্প্রতি প্রবাসি এক রমনির সাথে ঘরবেধেছে। একটি ইন্সুরেন্স কোম্পানির জোনাল ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি Hexas নামের একটি ইংরেজি শিক্ষা প্রতিষ্টান গড়েছে বন্ধু সুলতান, সাইবুল, মিজানসহ আরো কয়েকজনকে সাথে নিয়ে। মোটামুটি স্বচ্ছল জীবনে অসম্ভব মানবিক গুনের মানুষটি।
বন্ধুর সাথে তেমন করে হয়নি বসা আর। কিছুটা মান অভিমান নিয়ে আমিও মন্দ নয়, এই বেশ ভাল আছি! আজ আবার বসতে যাচ্ছি সেই আড্ডায়। সাথে কলেজ জীবনের প্রিয় বন্ধু কামাল হোসেন রিপন আর সুলতান মাহমুদ খালেদ।
গানটা খুব গাইতে ইচ্ছা করছে, " পূরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কে রে আয়, আয় আরেকটিবার আয়রে সখা প্রাণের মাঝে আয়...."
"আজ এই দিনটাকে মনের খাতায় লিখে রাখবো....!!
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৮