গাঁও'র বাজার থেকে পশ্চিম দিকে যেতে হলে বিলপার পাবে। বিকেলের স্নিগ্ধতা কুড়াঁতে যুবকদের আনাগোনা বড্ড বেশি সেখানে।
দু'পাশে মরে যাওয়া খাল, দূরে একটি ঝিলও আছে। সন্ধ্যা নামার আগে বকুনি-পিটুনি দিয়ে মহিশের পাল নিয়ে আতিক চাচার বাড়ি ফেরাও মজাদার বটে। কাক, শালিক, বক সবই মাথার উপর দিয়ে ফিরে যায় আপন ঘরে।
চৌদ্দটি সংশপ্তক পরিবার ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কিলোমিটার জুড়ে, আছে আমার শৈশব-কৈশর জুড়া স্মৃতি আর আমার স্মৃতির বেহালার তার হয়ে পড়ে থাকা আমিনুল কাকা! আধুল গায়ে নগ্ন প্রিয়ার মত নিভৃর্তে কবিতাও প্রসব করে সে। জোৎস্না বিলাসীতার শিল্পটা সে হয়তো হুমায়ূন আহমদের পাঠে শিখেছে, মাতাল জোৎস্নায় প্রথম নিশিচারি হয়েছিলাম ওর সাথে। উত্তর আধুনিককালেও বিদ্যুৎবিহীন এই তল্লাটে শিশির ভেজা চাঁদের রুশনি ঠিকই উজাড় হয়ে থাকে। রাত হলে খেটে খাওয়া মুখগুলো প্রজন্ম উৎপাদনে আগে-বাগে ঘুমিয়ে যায়! জায়গাটা বিয়ানীবাজারের সাথে বেশ মিলে না, তবু নামের ভরে চলে দিব্যি!
আজকাল বিলপারে চাদঁনী রাত পোহায় একজন- আমিনুল! মাঝে মাঝে কবিতা শুনি, খামখেয়ালি মানুষটাই আমার কাছে কবিতা মনে হয়। আর্ট যেনো হেয়ালীপনায় মরিচিকায় ঢাকা পড়ে। শীতের রাতের মত আড়ষ্ট হয়ে ঘরকুনো মানুষটির সংসার পরিধি বলতে মোবাইল-সম্বল!
'গৃহ ত্যাগি হওয়ার মত জোৎস্না' উঠেছে আজ। আমিনুল এখন আর কবিতা লেখেনা, জোৎস্না দেখে না, পাগলিটাকে ভালবেসে নিঃস্ব উদাস আজ!
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৬