কবি নিজাম উদ্দিন সালেহ। সিলেটের সাহিত্য অঙ্গনের খবর যারা রাখেন তাদের কাছে উনাকে নতুন করে পরিচয় করে দেয়ার মত যোগ্যতা আমার নেই। একনামে সবাই উনাকে চিনেন। তবু কিছু না লিখে পারছি না। যোগ্যতার সীমাবদ্ধতার মাঝেও 'শ্বাশত প্রত্যয়' কাব্যের প্রণেতা এই রুচিশীল মানুষটি একাধারে শিক্ষকতাও করেছেন দীর্ঘদিন। বতর্মানে সিলেটের অন্যতম জনপ্রিয় সংবাদ পত্র দৈনিক জালালাবাদের সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন সেও যুগ পেরিয়ে যেতে চললো। এখন পযর্ন্ত তাঁর চারটি কবিতার বই প্রকাশ হয়েছে। মাঝে মাঝে আমার মনে হয় সালেহ ভাই ; কেনো যে ঢাকায় গিয়ে সাংবাদিকতা করলেন না। তাহলে হয়তো আজ তিনি সুশীল সমাজের শীর্ষ স্থানে থেকে জাতিকে আরো বেশি কিছু দিতে পারতেন। পরিশ্রম কিভাবে করতে হয় তা বুঝতে হলে সালেহ ভাই আদর্শ উদাহরণ।
যাহোক, আমার আলোচ্য বিষয় সেটা নয়। বিষয় হলো, সালেহ ভাইকে যারা চেনেন। তারা ভাল করেই জানেন যে তিনি ইংরেজী ও ইংরেজী সাহিত্যের উপর পন্ডীত মানুষ। ৫৭ বছর বয়সে এসেও তিনি অসম্ভব পরিশ্রম করেন। অনুবাদ করতে করতে প্রায় দিন তিনি ক্লান্তিতে জড়িয়ে যান কিন্তু হারমানেন না। এই বয়সে এসে ইংরেজী আর সাংবাদিকতা নিয়ে যে পরিমান সাধনা করেন( আমি সাধনা শব্দটাই ব্যবহার করছি। কারণ মানুষ সাধনা ছাড়া কোন বিষয় এত বেশি পান্ডিত্য লাভ করতে পারে না।) তাতে যে কেউ অবাক হবেন। আমারতো মনে হয় ২৪ ঘন্টার মাঝে ঘুম আর খাওয়া দাওয়া ছাড়া বাকিটা সময় তিনি সাধনায় কাটান।
সালেহ ভাই এখন অনলাইন মাধ্যমগুলোকে নিয়ে একটা বই বের করতে যাচ্ছেন। নাম 'পারসনাল জানার্লিজম'! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক খ্যাতিমান শিক্ষক বইটির খসড়া কপি মূল্যায়ন করে তবেই প্রকাশের জন্য মত দিয়েছেন। আপনি আমি ফেইসবুক, টুইটার, ব্লগসহ অন্যান্য মাধ্যমে কিভাবে সংবাদ পত্রের সাহায্য ছাড়া কাজ করতে পারি বা নাগরিক সাংবাদিকতার গুরুত্ব বিষয় বইটির প্রকাশের অপেক্ষায়। খুব শিগগির তা বের হচ্ছে। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে এক্সসেলসিয়র রিসোর্ট এ একটি সেমিনারও করা হয়েছে সালেহ ভাইয়ের উদ্যোগে। সেই বইটি নিয়ে আলোচনা থাকবে পরের কিস্তিতে....
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯