‘মাহমুদ’ নামের লোকজন কি সহজাত প্রতিভা নিয়া জন্মায়? যেমন- ফিলিস্তিনের জাতীয় কবি মাহমুদ দারবিশ, বাংলা ভাষার প্রধাণ কবি আল-মাহমুদ, সুলতান মাহমুদ (১০২৫ সালে গজনী থেকে সুলতান মাহমুদ খাইবার গিরিপথ অতিক্রম করে মোট ১৭ বার ভারত আক্রমন করেছিলেন। ভারতে রাজত্ব করেন।) সাংবাদিক শওকত মাহমুদ বা সিলেটের সকলের পরিচিত সাংবাদিক ইকবাল মাহমুদ। তাই বলে আমি এঁদের সাথে আমার বন্ধু সোলাইমান আল-মাহমুদকে এক করে ফেলছি না! এঁদের অনেকেই বিয়ে করে বউয়ের প্রেরণায় বিখ্যাত হয়েছেন। আবার কেউ কেউ বিয়ের আগেই দুনিয়া জোড়া খ্যাতি পেয়েছেন নিজেদের প্রতিভা আর শ্রমে।
তবে বন্ধু সোলাইমান বিয়ের আগেই নিজস্ব কৃষ্টি-কালচারের ঐতিহ্যকে লালন করে সিলেটে ‘শিল্পী সোলেমান’ নামে বেশ পরিচিত। খোদার দেয়া সেরা দান বুঝি তার কন্ঠ।
যদি বলি সোনালী কাবিনের কবি আল-মাহমুদ সৈয়দা নাদিরা বেগম সাথে ঘরবাধার আগে‘বিয়েকে” পুজিঁ করে - ‘সোনার দিনার নেই, দেনমোহর চেয়না হরিণী/ যদি নাও দিতে পারি কাবিনবিহীন হাত দুটি,’ লিখে হৈচৈ ফেলে ছিলেন। কি জানি মারজিয়া আক্তার মনি‘র জন্য ‘বীরদল’ গ্রামের প্রতিভাবান মানুষটি কোন বিখ্যাত লোকে রুপ নেয় কি না! সে সম্ভবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
এই মানুষটার সাথে যতদিন ধরে পরিচয়, ততোদিন ধরে মনে হচ্ছে মানুষ পটাতে এর চেয়ে সিদ্বহস্ত লোক অনেক কম আছে। কথায় মার্ধুয আর শৈল্পিক ভঙ্গি নিজের একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তবে, মারজিয়া ম্যাডাম শালায় প্রেম করছে কিনা আমি জানি না। এই প্রেমটা আপনার সাথে হলে ও কোনদিন কিছুই বলেনি । সোলেমান কিন্তু কবি আল-মাহমুদের সাথে একবার সিলেটে দেখা করেছে। এমন দাবিতেই শিল্পী সাহেব আপনাকে কবির ভাষায় বলেতেই পারেন দগাঙ্গের ঢেউয়ের মত বল কন্যা কবুল'!’ আপনিও জীবনের যাত্রার শুরুতে কবি আল-মাহমুদকে কাজে লাগান। বলে দিন,‘"ক্ষুধার্ত নদীর মতো তীব্র দুটি জলের আওয়াজ /তুলে মিশে যাই চলো অকর্ষিত উপত্যকায়।’ সোলেমান চাইলে সোনালী কাবিনে উত্তর দিতে পারিস। আল-মাহমুদ এর ভাষায় ‘আত্মবিক্রয়ের স্বর্ন কোনোকালে সঞ্চয় করিনি/আহত বিক্ষত করে চারদিকে চতুর ভ্রুকুটি;/ভালবাসা দাও যদি আমি দেব আমার চুম্বন।’
বন্ধু, আজ থেকে তুমি আমাদের নও, তুমি ‘মনি’ ভাবির হও!!
তাং ১৫/০৮/১৫
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৫