প্রথম এভারেস্ট বিজয়ী এডমূণ্ড হিলারি ও তেনযিং
১৯৫৩ সালের ২৯ শে মে হল মানব ইতিহাসের অন্যতম স্মরণীয় দিন। কারণ এই দিনে স্যার এডমুন্ড হিলারি ও তেনযিং শেরপা প্রথম পা রাখেন সমুদ্র থেকে ২৯০২৯ ফিট উঁচুতে মাউন্ট এভারেস্টে। আজ থেকে প্রায় ৬০ বছর আগে যখন এই দুইজন মাউন্ট এভারেস্ট জয় করতে গিয়েছিলেন পরিস্থিতি তখন আজকের মত এত সহজ ছিলনা। পথ ছিল অজানা সেই সাথে অতি দুর্গম, অক্সিজেন বহন করার ভাল ব্যাবস্থা ছিল না, আজকের দিনের মত মই বহনকারী সংগী হিসাবে ৭/৮ জন সহকারী ও ছিল না। সত্যিকারের এভারেস্ট বিজয়ের জন্য যাবতীয় ক্রেডিট এই দুইজনের। এর পরে আরও হাজার হাজার মানুষ শখের বশে আরোহন করেছেন। সপ্তাহে অন্তত ২০০ জন পর্বত আরোহী এভারেস্ট জয় করার জন্য বেইজ ক্যাম্পিং এ অন্তর্ভুক্ত হন। ১৬ দিনের এ ক্যাম্পিং শেষে এভারেস্ট আরহণের অনুমতি পাওয়া পর্যন্ত আপনাকে গুনতে হবে ৫০ লাখের ও বেশি টাকা। কারোর যদি এই পরিমাণ টাকা শখ মিটানোর জন্য থাকে সেই খুব সহজেই এভারেস্ট জয় করে আসতে পারেন।
Click This Link
বিশাল বহর এগিয়ে যাচ্ছে মাউণ্ট এভারেস্টের চুড়ার দিকে দেখুন লিণ্ক এ।
কিছুদিন আগে আমাদের দেশীয় কয়েকজন ভাই বোন কেউ প্রথম বাঙ্গালী হিসাবে, কেউ প্রথম বাঙ্গালী নারী হয়ে, আবার কেউ কম বয়সী বাঙালী নারী আরোহী হিসাবে, একজন তো দুই বারেই জয় করে এসেছেন। উনারা ব্যাপক মিডিয়া কাভারেজ ও পেয়ে যাচ্ছেন। এই আরোহীদের লম্প জম্প নিয়ে এত বেশী মাতামাতি হয়েছে যা মাউণ্ট এভারেস্ট প্রথম জয় করে আসা এডমূণ্ড হিলারি দের নিয়েও হয়নি। মানুষের শখ পূরণের খবর নিয়ে এমন নজিরবিহীন আলোড়ন এক কথায় অবিশ্বাস্য। মার্কিন এক ধনকুবের কিছুদিন আগে টাকা দিয়ে মহাশূন্য জয় করে এসেছেন। উনাকে নিয়েও দেখলাম মিডিয়ার ব্যাপক আগ্রহ। এই মিডিয়া গুলোতে যারা কাজ করে এরা প্রায় সবাই আমাদের মত হত দরিদ্র পরিবারে বেড়ে উঠা অথচ এই জগতে এসে এরা ভুলে যায় এদের সামাজিক পরিস্থিতির কথা, এরা মাতামাতি করে না কোন গরীব মানুষের সাফল্য নিয়ে অথবা সম্ভবনাময় কোন দেশীয় শিল্প নিয়ে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:২৫