লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাতি ইউনিয়নের কিশামত হারাতি গ্রামে ৬৫ জন অ্যানথ্রাক্স রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। ওই গ্রামে আরও দুই শতাধিক লোক আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁদের শনাক্ত করা হয়। লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের চিকিৎসক আলী আহসান বাবু এ কথা জানান।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মুহতাসিন মেহেদী বলেন, সকালে কিশামত হারাতি গ্রামের সিরাজুল হক (২৮) নামের এক ব্যক্তি হাতের আঙুলে ঘা নিয়ে হাসপাতালে আসেন। পরীক্ষার পর তাঁর অ্যানথ্রাক্স হয়েছে বলে শনাক্ত করা হয়। পরে তিনি বিষয়টি লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম ও জেলা প্রশাসক মো. মোখলেশার রহমান সরকারকে জানান। তাঁরা ওই গ্রামটি পরিদর্শন করেন এবং এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গ্রামটিতে পরিদর্শনের কাজ চলছিল।
গ্রামটিতে শনাক্ত হওয়া ৬৫ জন অ্যানথ্রাক্স রোগীকেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গ্রামটির সবাইকে অসুস্থ গরু জবাই না করা এবং মাংস না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক দিনে একের পর এক বিভিন্ন জেলায় অ্যানথ্রাক্স রোগের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কুষ্টিয়া, পঞ্চগড় ও চুয়াডাঙ্গায় অ্যানথ্রাক্সের রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তবে লালমনিরহাটে এই প্রথমবারের মতো একসঙ্গে ৬৫ জন অ্যানথ্রাক্স রোগীর সন্ধান পাওয়া গেল।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



