একজন ইতিবাদী ও একজন নেতিবাদী ব্যক্তির মধ্যে মৌলিক তফাৎ হলো- রাত হলে ইতিবাদী ব্যক্তি মনে করেন ঈশ্বরকে ধন্যবাদ , আরেকটা রাত এলো । এরপরেই তো আরেকটা দিন আসছে। আর নেতিবাদী ব্যক্তি মনে করেন- হায় ঈশ্বর , দিনের আলো কত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল ! এখন রাতের অন্ধকার ভোগ করতে হবে। আশাবাদই ইতিবাদ । ইতিবাদী ব্যক্তি মানেই আশাবাদী ব্যক্তি । ইতিবাদীরা লেখাপড়া শিখতে চান জ্ঞান অর্জন করে ক্ষমতাশীল হওয়ার জন্য । কারণ তাঁরা জানেন জ্ঞানই ক্ষমতার উৎস । নেতিবাদী মানুষেরা কখনো জীবনবাদী বই পড়বে না । নাক সিটকে বলবে , এসব যারা হতাশ , লেখাপড়ায় ভালো নয় অথবা যাদের বেশি পড়াশোনা নেই , কেবল তারাই পড়বে । আমি পড়াশোনায় ভালো , ভালো চাকরি করি , আমি সফল ব্যক্তি , আমি কেন এসব বই পড়ব ? কিন্তু সফল ইতিবাদী ব্যক্তিরা আরো বেশি করে জীবনবাদী বই পড়বেন— কেমন করে সাফল্যকে ধরে রাখতে হয় , তা জানার জন্য । প্রতিটি মানুষের মধ্যেই ইতিবাদ ও নেতিবাদ পাশাপাশি বাস করে। মনে রাখতে হবে আমাদের জীবনের সব নেতিবাচক দোষগুলোকে আমরা চাইলেই ইতিবাচক গুণ এ রূপান্তরিত করতে পারব না। অনেক নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ছোটবেলা থেকে জন্মসূত্রে,পারিবারিক ও সামাজিক সূত্রে আমাদের মধ্যে সিমেন্টের মতো গেঁথে যায় । একমাত্র কঠোর প্রতিজ্ঞা ছাড়া তাকে দূর করা কঠিন । তবে একটু চেষ্টা করলেই তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় । আমরা জানি , ডিজেল হলো অপেক্ষাকৃত কমদামি জ্বালানি তেল যা পেট্রোলিয়ামের চেয়ে কম পরিশোধিত ; কিন্তু ইঞ্জিনে ব্যবহার করতে পারলে তা পেট্রোলিয়ামের চেয়ে কোনো অংশে কম জোরদার নয় । ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলার জন্য সবাইকে ইংরেজি DIESEL শব্দটি মনে রাখতে বলবো । এই শব্দটির মধ্যেই নিহিত আছে সাফল্যের মূল উপাদানগুলো—
D = Direction ( স্থির লক্ষ্য )
I = Inquisitiveness (অনুসন্ধিৎসা)
E = Education (শিক্ষা)
S = Sociability (সামাজিকভাবে মেলামেশার ক্ষমতা )
E = Efficiency (দক্ষতা)
L = Lovableness (অপরের ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্যতা ) লক্ষ্য যদি স্থির থাকে,অন্য কোনো বাধা মূল লক্ষ্যকে বিচ্যুত করতে পারে না ।
লেখার সোর্স: অপ্রত্যাশিত হিমু।