somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আয়েন একটা গল্প পড়ি । পুরাডাই বেহুদা পুষ্ট।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

***যারা এই ফাউল পোস্টটি কষ্ট করিয়া পড়িবেন, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন হইলো এই গল্প থেকে আমরা কি শিখতে পারলাম।

বেশকিছু দিন আগের কার কতা। ছুডু এক পরিবার। বাবা-মা আর এক কিউট বাচ্চা নিয়া সুকের সংসার। সেদিনও বাবা নিয়মকারমত আপিসে যাইবার সুময় বাবুটাকে নিয়া স্কুলে নামায় দিল। স্কুলের ক্লাস চলেছে। ড্রয়িং ক্লাস। চিটার ওহ চরি টিচার সব্বাইকে চেরী ফলের ছবি আকতে কইলো। সবাই আকলো। সেই বাবুটাও। তারপর দেখাইলো টিচারকে। টিচার ছবি দেইখা বাবুটাকে থাপ্পড় লাগাইয়া ক্লাস থেইকা বাইর কইরা দিল। বাবুটা তখন বারান্দায় দাড়াইয়া কাদঁতে আচিল। স্কুলের ম্যাডাম দেইখ্যা জিগাইল তারে কেন কাদেঁ। তখন সে কারন উল্লেখ করিয়া ছবিটা দেখাইল। ম্যাডাম আরো একটা চড় লাগায়া তারে স্কুল থেকেই বের করে দিলো। বাবুটা কাদঁতে কাদঁতে বাসায় চলে আসলো। তখন বাবুটার আম্মু জিগ্গাস করল কেন কাদঁছে। কারন উল্লেখ পূর্বক ছবিটা দেখাইয়া সে আরও একটা চড় খাইয়া বাসার গেটে দাড়াইয়া ক্রন্দন করতে লাগলো। শেষ বিকেলে বাবা বাসায় ফিরে দেখলো বাবুটা গেটে দাড়িয়ে কাদছে। আদর করে তাকে জিগ্গেস করল, "কি হয়েছে সোনামনি কাদঁছো কেন?"
বাবুটা বলল, আব্বু ক্লাসে টিচার আমাকে চেরী ফলের ছবি আকতে দিয়েছিল। আমি একে তাকে দেখালে সে আমাকে চড় মেরে ক্লাস থেকে বের করে দেয়। তারপর ম্যাডাম ছবিটা দেখে আমাকে স্কুল থেকে বের করে দেয়। বাসায় আসলে আম্মুকে ছবিটা দেখাই। আম্মুও আমাকে মারে। বাবা তখন বলে, দেখি কি এমন একেছো যে সবাই রাগ করছে। বাবা বাবুটার চেরী ফলের ছবি দেখে আরও একটা চড় মারে এবং বাসা থেকে বের করে দেয়।
চরমভাবে হতবাক হয়ে বাবুটা পার্কের একটি বেন্চিতে বসিয়া কাদিঁতে লাগিলো। ক্রমে রাত নামিয়া আসিলো এবং বাবুটা টহল পুলিসের হাতে পড়িলো। পুলিশ বাবুটার কাহীনি শুনিলো এবং দুঃখ পাইল। তারপর ছবিটা দেখিতে চাইল। ছবি দেখিয়া পুলিশ বাবুটাকে চড় মারিল না। একেবারে জেলহাজতে নিয়া পুরিয়া রাখিল।
এক এক করে বিশটি বছর কাটিয়া গেল জেল হাজতে। ছোট্ট বাবু থেকে সে এখন যুবক। তখন সে ছাড়া পাইল। সেই ছবিটা হাতে করিয়া তাহার পুরোনো স্কুলে গেল। স্কুল গেটের কাছে এক পিচ্চি বাবুকে পাইয়া সে তার আঁকা ছবিটা দেখাইয়া বলিল, আচ্ছা বলতো এটা কিসের ছবি ? তখন সে উত্তর পাইল , "এইটাতো আমার খুব প্রিয় জিনিস, আমি খাইতে খু্বই পছন্দ করি। এইটা হইলো চেরী ফলের ছবি।
তখন সে ভাবিল আমিতো ঠিকই আকিয়াছি। তাহা হইলে আমাকে এই বিশটি বছর ধরিয়া কেন অন্যায় অত্যাচার সহিতে হইলো। সে তার বাবা-মাকে জি্গ্গেস করবে এই উদ্দেশ্যে বাসার পথে হাটিতে লাগিল। এবং অন্যমনস্ক ভাবে রাস্তা পার হইতে গিয়া গাড়ি চাপায় মারা পড়িয়া দুঃখজনক একটি জীবনের ইতি টানিল।



ডিসকো-লেইমার ... আমি আগেই কহিয়া দিছি এইটা পুরাডাই বেহুদা পুষ্ট। কেউ আমার উপর মাইন্ড খাইয়েন। রোজা দিনে মাইন্ড খাইলে রোজা ছুইড্ডা যাইতে পারে।

>>>>ওকে, আপনাগো খাটাখাটনি করাইয়া লাভ নাই। কইয়াই দেই।
*** এই গল্প থেকে শিখতে পারি যে রাস্তা পার হইবার সময় অথবা রাস্তায় চলাচল করার সময় দেইখা শুইনা চলন লাগে। নইলে জীবনের অনেক স্বপ্ন লইয়া সড়ক দূর্ঘটনার খবর হইতে হইবো পত্রিকার পাতায়। সুতরাং রাস্তায় চলাচলের সময় সাবধানে চলাচল করুন
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৪৯
৭টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×