খিলক্ষেত থেকে ২২ টাকা দামের একটা টিকিট কেটে ফাল্গুন বাসে চড়ে চলে আসা মালিবাগ রেলগেট। রেলগেটের পাশে চায়ের দোকানে ফুটপাথ ঘেঁষে বসে এক কাপ চা খেয়ে আয়েস করে একটা সিগারেট ধরিয়ে চলে আসা রেলগেট পার হয়ে ফরচুন টাওয়ারের সামনে। দূর থেকে দেখা ফাল্গুন কাউন্টারে বসা আবিরকে, খুব চেনা মুখ। আবির সাক্ষী, মালিবাগ রেলগেট সাক্ষী, মৌচাক সাক্ষী। সেখান থেকে হাঁটতে হাঁটতে মৌচাকের পেছন দিয়ে গেলে আনারকলি মার্কেট। চাইলে একটু দাঁড়ানো যায় চা দোকানের সামনের খালি জায়গাটায়, না চাইলে হাঁটা দেয়া যায় মন্দিরের সামনে দিয়ে তারপর টুপ করে ঢুকে পরা যায় বাম দিকের গলিটাতে যেটা শেষ হয়েছে এসে টুইন টাওয়ারের সামনে। ইচ্ছে হলে দাঁড়ানো যায় টুইন টাওয়ারের সামনে অথবা আবার হাঁটা। রাজমনি সিনেমা হল পার হয়ে ডানে মোড় নিয়ে সোজা ওয়াই এম সি এ ভবনের সামনে। নাক দিয়ে বড় করে দম নিয়ে তারপর আস্তে আস্তে মুখ দিয়ে ছেড়ে দেয়া। আরাম আরাম আরাম। আবার হাঁটা। একটু এগুলেই শিল্পকলার বিল্ডিং, নাট্যকলার ভবন পার হয়ে খোলা মাঠ পাড়ি দিয়ে চিত্রশালা। চিত্রশালা থেকে বের হয়ে ডান দিক দিয়ে মৎস্য ভবন পার হয়ে রমনার গেট। পার্কের বেঞ্চিতে একটু বিশ্রাম তারপর মৎস্য ভবন পার হয়ে হাই কোর্ট পার হয়ে দোয়েল চত্তর পার হয়ে বাম দিক দিয়ে সোজা চানখারপুল। পরোটা ও চা। বের হয়ে হাঁটতে হাঁটতে চলে আসা শহীদ মিনার। একটু বসা যায়। চশমাটা ছুঁড়ে ফেলে দেয়া যায় আবার কুঁড়িয়ে নেয়া যায়। বসতে ইচ্ছা না করলে একটা রিক্সা নিয়ে ফুলার রোড দিয়ে সোজা নীলক্ষেত মোড়, পার হয়ে নিউ মার্কেটের পেছন দিয়ে রবিন্দ্র সরোবর পার হয়ে ঢাকা আর্ট সেন্টার । ভালো না লাগলে সরোবরের ভিতরে একটু জিরিয়ে গথে ইন্সটিটিউট এর সামনে ফুটপাথে দাঁড়িয়ে এক কাপ চা আর সিগারেট ।তারপর রাস্তা পার হয়ে উল্টো পাশে গ্রিন স্টোর । খবরের কাগজে একটা পাইট পেঁচীয়ে লোকাল বাস ধরে শাহবাগ। পুলিশ ফাঁড়ি পার হয়ে ছবির হাট। পকেটে টল টল করছে তরল আগুন। উদ্যানের ভেতর ঢুকে গলায় ঢেলে দেয়া দু ঢোক তরল আগুন। জ্বলতে জ্বলতে চলে যাচ্ছে তরল আগুন। সব কিছু জ্বলছে। সব কিছু জ্বালিয়ে দিতে ইচ্ছে করছে......।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৩