somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যখন মেঘের চাদর টেনে আবছা জেগে জোঁছনা টিপটিপ বৃষ্টি, জেনো আমি পাশে তোমার একসাথে ভিজছি

০৯ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অসময়ে নিশির ফোন পেয়ে খানিকটা অবাকই হলাম । ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি সাড়ে এগারোর কিছু বেশি বাজে । সময়টা আমাকে খানিকটা চিন্তিত করল । নিশি এই সময়ে অফিসে থাকে । বলতে গেলে এই সময়টা ক্লাইন্টের ভীড় লেগে থাকে । ফোন করার ফুরসৎ‍ পাবার কথা না ।
আর নিশি আমাকে দরকার ছাড়া খুব একটা ফোন করেও না । তাহলে আজ ?
কোন সমস্যা হল নাকি ?
বাসায় কি সব কিছু ঠিক আছে ?
চিন্তিত ভাবেই ফোনটা রিসিভ করলাম । ওপাশ থেকে কোন আওয়াজ শোনা গেল না । যাবেও না জানতাম । নিশির এই একটা দোষ । যতবার ওর সাথে ফোনে কথা হয়েছে ও কখনই আগে কথা বলে না । চুপ করে থাকে ।
যতক্ষন না আমি কোন কথা জিজ্ঞেস করবো ততক্ষন কোন কথাই বলবে না ।
-নিশি ?
কোন কথা নাই ।
-নিশি কথা বল ! শুনছো ?
নিশি ক্ষীণ গলায় বলল
-হুম !
-ফোন দিলে যে ? কোন জরুরী দরকার ছিল ?
-না । এমনি ।
এমনি !! আমি এবার সত্যিই খুব অবাক হলাম । নিশি আমাকে এমনি ফোন করেছে ? আমার লক্ষ্যি বউটা আমাকে এমনি এমনি ফোন করেছে এটা ভাবতেই আমার মনটা ভাল হয়ে গেল ।
নিশির সাথে আমার বিয়ে হয়েছে মাস ছয়েক আগে । ভালবেসে না আবার ঠিক এরেঞ্জও না । কিভাবে যে বিয়েটা হল !!
যদিও আমার ইচ্ছা ছিল কিন্তু নিশি বিয়েটা করেছে ....
আসলে ও আমাকে যে কি কারনের বিয়ে করতে রাজি হল তা আমি এখনও ঠিক জানি না ।
তবে বিয়ে হলেও নিশি আমার বউ ঠিক মত হয় নি । দুজনের মাঝে কেমন একটা দুরুত্ব ঠিকই রয়ে গেছে । আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম
-কি হয়েছে বল আমাকে ?
-না এমন কিছু হয় নি । তুমি কাজ করছো তো । বিরক্ত করছি না তো ?
-না না কোন বিরক্ত না । তুমি বল ।
নিশি খানিকক্ষন চুপ করে থাকলো । আমার মনের মধ্যে তখন হাজারও চিন্তা আসছে ।
নিশি আজ এরকম আচরন কেন করছে ? তবে ওর আচরন আমাকে খুব আনন্দ দিচ্ছে । যে নিশি বিয়ের ছয়ের মধ্যে আমার সাথে অতিরিক্ত একটা কথাও বলে নি সে আজ নিজ থেকে আমাকে ফোন দিল তাও আবার কোন কারন ছাড়াই । নিশি বলল
-তুমি কি খুব ব্যস্ত ?
-কেন বলতো ?
-না এমনি ।
-নিশি বল প্লিজ ।
-আসলে আমি তোমার অফিসের নিচে । তোমার যদি সময় থাকে একটু নিচে আসবে ?
-নিচে তুমি ? এই কথা তুমি আগে বলবে না ?
আমি আসলে আজ খুব অবাক হচ্ছি ! নিশি আমাকে অবাক করছে । আজ এমন কেন হচ্ছে ? অবশ্য যা হচ্ছে ভালই হচ্ছে !!

নিশির সাথে পরিচয় ভার্সিটি লাইফ থেকে । চিনি বলছি কেন ওকে তখন থেকেই পছন্দ করি । কিন্তু কোন দিন বলতে পারি নি । বলবো কিভাবে ? ওর তখন একটা এফ্যায়ার চলছে । বেশ ভাল ভাবেই চলছে ।
এখন যে মেয়েটার আগে থেকেই একটা বয়ফ্রেন্ড আগে থেকেই আছে তাকে ভালবাসার কথা কিভাবে বলি ? তাই সারাটা সময় কেবল মুখ মুজে থেকেছি !! কোনদিন কিছু বলি নি ।

অফিসের নিচে গিয়ে আমি সত্যিই অবাক হলাম । নিশি মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে । আমি সব চেয়ে অবাক হলাম ওর পোষাক দেখে । নীল রংয়ের একটা চুড়িদার পরেছে । আশ্চার্য কেমন টিনএজ মেয়েদের মত লাগছে । আর একটু সাজ গোজও করেছে খানিকটা । আমাকে দেখে কেমন একটু বিষন্ন ভাবে হাসল । আমি কাছে গিয়ে বললাম
-কতক্ষন এসেছো ?
-এই তো বেশিক্ষন না ।
-কি হয়েছে তোমার সমস্যা হয়েছে ? অফিস যাও নি ?
-না । ভাল লাগছিল না ।
-কেন শরীর খারাপ নাকি ? জ্বরটর নাকি ?
এই পর্যায়ে আমার উচিত্‍ ওর কপালে হাত দিয়ে জ্বর দেখা । কিন্তু সংকোচের কারনে পারলাম না । নিশি কোন কথা না বলে চুপ করে রইল । আমি বললাম
-চল অফিসে চল । অফিসে বসলে ভাল লাগবে ।
নিশি কেমন আদুরে গলায় বলল
-অফিসে যাবো না ।
-তাহলে !
-অপু আজ আমার মনটা ভাল নাই ।
ভাল নাই !!
-কেন ? সকালবেলা তো ভাল ছিল । কি হল এর মধ্যে ?

আসলেই সকালবেলা নিশির মুডতো ভালই ছিল । ভাল ছিল মানে স্বাভাবিক ছিল ! প্রতিদিনকার মত নিশির ডাকেই সকালের ঘুম ভাঙ্গে আজ । নিশির খুব সকালে গোছল করার স্বভাব ।
চোখ মেলে যখন নিশির দিকে তাকিয়ে মনটা ভাল হয়ে গেল । কেমন একটা পবিত্রতা মিশে আছে ওর চেহারায় । আর ওর চুল থেকে তখনও পানি পারছিল ।
আহা !
আর ওর ঠোট দুটো কেমন ভেজা ভেজা লাগছিল । খুব ইচ্ছা করছিল নিশির ভেজা ঠোটটাতে চুম খাই । কিন্তু বিয়ের পর যে আমি ওর হাতটা ঠিক মত ধরি নি ওকে চুম খাই কিভাবে !

আমি আবার বললাম
-কি হয়েছে বলতো ? মন খারাপ কেন ?
নিশি চুপ করে থেকে বলল
-আজ অফিস আসার সময় শাহেদকে দেখলাম ।
এই কথাটা বলে নিশি আবার নিচের দিকে তাকাল ।
শাহেদ ?
আমি কথা হারিয়ে ফেললাম । অস্বস্তি কর পরিবেশ ! শাহেদ নিশির এক্স বয়ফ্রেন্ড ।
ভার্সিটির পরপর নিশি আর শাহেদের বিয়ে হবার কথা ছিল । আমরা অন্তত তাই জানতাম । কিন্তু ঝামেলা বাধল অন্য খানে ।
নিশিরা দুবোন নিশি বড় আর ওদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী । ছোট বোনটা এখনও অনেক ছোট !
আমার মনের ভিতর একটা প্রশ্ন প্রায়ই জাগতো যে শাহেদ ভাই নিশির মা আর বোনটার দায়িত্ব নেবে তো ? কারন নিশি ছাড়া ওদের দেখার আর কেউ নাই ।
নিশির বিশ্বাস ছিল যে শাহেদ তা করবে । কিন্তু শাহেদ ভাই তা করলো না । নিশির প্রতি তার কোন অনাদর ছিল না কিন্তু বাড়তি দুজনের দায়িত্ব সে নিতে চাইল না ।
নিশি হয়তো পারতো শাহেদের কাছে যেতে কিন্তু মা আর বোন নিশির কাছে বেশি জরুরী ছিল নিজের ভালবাসার থেকে ।
এভাবেই চলছিল হঠাৎ‍ একদিন নিশিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসলাম । নিশি আমাকে অবাক করে দিয়ে রাজি হয়ে গেল । কিন্তু ওর কিছু শর্ত ছিল । আমি সব কিছু মেনে নিয়েই নিশিকে বিয়ে করলাম ।

নিশির দিকে তাকিয়ে বললাম
-তারপর ? কোথায় দেখলে?
কিন্তু নিশি আমার প্রশ্নের জবাব দিল না । বলল
-আমার খুব ফ্রাইড চিকেন খেতে ইচ্ছা করছে ।
-মানে ?
কি কথার কি উত্তর ! নিশি এবার সরাসরি আমার চোখের দিকে তাকাল । তারপর একটা একটা শব্দ আলাদা আলাদা করে বলল
-আমার ... খুব ... ফ্রাইড ... চিকেন ... খেতে ... ইচ্ছা ... করছে ।
-এখন ?
-কেন এখন ইচ্ছা করলে সমস্যা কি ?
-না মানে কোন সমস্যা নাই । চল ঐ রেস্টুরেন্টাতে চিকেন বানায় ।
-না আমি এখান থেকে খাবো না । বসুন্ধারায় চল ।
আমি সত্যিই আজ বারেবার অবাক হচ্ছি নিশির আচরনে । এই মেয়েটার আজ হয়েছ কি ?

নিশি বিয়ের পর কোন দিন আমাকে নিয়ে বের হয় নি । কখনই স্ত্রী সুলভ আচরনও করে নি । কিন্তু আজ কি হল মেয়েটার । মেয়েটা আজ এমন কেন করছে ?
শাহেদ ভাই যেদিন প্রথম নিশিকে জানাল যে ওর মা আর বোনের দায়িত্ব তার পক্ষে নেওয়া সম্বব না নিশি আমার সাথে ব্যাপারটা শেয়ার করেছিল । কথাটা শোনার পর শাহেদ ভাইয়ের উপর খুব মেজাজ খারাপ হয়েছিল ।
এতো দিনকার সম্পর্ক ওদের এভাবে চট করে বলে দিলেই হল যে দায়িত্ব নিতে পারবে না । কিন্তু পরে চিন্তা করে দেখলাম আসলে শাহেদ ভাইকে খুব একটা দোষ দেওয়া চলে না ।
শাহেদ ভাইয়ের নিজেরও ফ্যামিলি আছে । সে পরিবারের একমাত্র ছেলে । তারও অনেক দায় দায়িত্ব আছে । সে কিভাবে তা অস্বীকার করবে । আর হ্যা সে যদি নিশিকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানাতো সেটা অবশ্য আলাদা ব্যাপার ছিল । কিন্তু ব্যাপারটা সেরকম ছিল না ।
আবার নিশিও নিজের মা আর ছোট বোন টাকে ছেড়ে নিজের ভালবাসাকে বেছে নিতে পারে নি ! যে যার অবস্থানে ঠিকই ছিল কিন্তু তবুও অবস্থাটা কত জটিল দিকে চলে গেল ।

-খাচ্ছো না কেন ?
রেড চিলিসে বসে চিকেন খাচ্ছিলাম । আসলে আমি ঠিক খাচ্ছিলাম না । নিশির খাওয়া দেখছিলাম আর পুরানো কথা ভাবছিলাম । ওর সাথে বিয়ের কিছু দিন পর মনে হল যে নিশিকে বিয়ে করা হয়তো ঠিক হয়নি । নিশি হয়তো কোন দিন শাহেদ কে ভুলে আমার সাথে ভাল ভাবে জীবন শুরু করতে পারবে না ।
কিন্তু এখন মনে হচ্ছে .....
আমি বোধহয় একটু বেশি বেশি কল্পনা করছি । নিশি আবার বলল
-কি ব্যাপার খাচ্ছ না কেন ?
-এই তো খাচ্ছি ।
বলে হাসলাম একটু ।
-আসলে আমি তোমার খাওয়া দেখছিলাম ।
-মানে ?
-এই যে তুমি ছোট ছোট কামড় দিচ্ছো চিকেনটাতে , দেখতে খুব ভাল লাগছে !
নিশি কিছুক্ষন আমার চোখের দিকে থেকে বলল
-এমন আমার কি কি জিনিস তোমার ভাল লাগে ?
আমি চট করেই কোন জবাব দিতে পারলাম না ! নিশি একেবারে সরাসরি আামর চোখের দিকে তাকিয়ে আছে ! ওর দৃষ্টি আজ কেন জানি কেমন অপরিচিত মনে হচ্ছে ! নাকি আজই আমি ওকে চিনতে শুরু করেছি?

ভার্সিটি জীবনের প্রথম থেকেই নিশির সাথে আমার পরিচয় ছিল ! টুকটাক কথাবার্তা হত আর কি ! কিন্তু একটা দিনের কথা আমার খুব ভাল করে মনে আছে ! একটা বিশেষ দিনে কথা !
সেদিন আকাশ জুড়ে বৃষ্টি হচ্ছিল । বৃষ্টি আমার বরাবরই খুব পছন্দের । আমি বারান্দায় দাড়িয়ে বৃষ্টি দেখছি এমন সময় পেছন থেকে নিশির কথা শুনতে পেলাম
-এই রকম ঝুম বৃষ্টিতে খুব ভিজতে ইচ্ছা করে, না?
-করে । কিন্তু এখন তো সম্ভব না !
-কেন সম্ভব না ?
-আরে তোমার মাথা খারাপ নাকি ? এখন বৃষ্টিতে ভেজার উপায় আছে নাকি ?
-চাইলেই হয় ! দেখ......
এই বলে নিশি যা করলো তার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না । বৃষ্টির মধ্য নেমে নিশি বলল
-দেখলে তো । চাইলেই হয় । আসো ।
-আরে না । মাথা খারাপ নাকি ?
কিন্তু আামর মনে মধ্যে তখন তীব্র ইচ্ছা জেগেছে যে নিশির সাথে বৃষ্টিতে ভিজবো । সত্যি এমন সুযোগ কি আর আসবে জীবনে !
নিশি আবার বলল
-দেখ তোমার মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে তোমার ভিজে ইচ্ছা করছে ! এসো প্লিজ..... আমার একা একা ভিজতে কেমন লাগছে ....
মুখে না না করলেও আমি একটু পর নেমে গেলাম বৃষ্টি তে । কি অসাধারন সেই অনুভুতি ছিল । সত্যি বলতে কি এমন আশ্চার্য আনন্দ আমার আর কোন দিন হয় নি !
ঐদিনের পর নিশির সাথে আমার সম্পর্কের আরো উন্নতি হল ! কিন্তু ওর সাথে বৃষ্টিতে ভেজা হয়নি আর । এমন না যে আর সুযোগ হয় নি । সুযোগ এসেছে ।
বিয়ের পরও নিশিকে অনেকবারই আমি বৃষ্টিতে ভিজতে দেখেছি । কিন্তু কোনদিন ওর পাশে গিয়ে দাড়াতে পারিনি ! দুর থেকে কেবল ওকে দেখতাম ! দুর থেকে হলেও বৃষ্টির পানি আর ওর চোখে পানি কে ঠিকই আলাদা করা যেত !
মনে মনে কেবল বলতাম এতো কেন কষ্ট তোমার ?
খুব কাছে গিয়ে ওর হাত ধরতে ইচ্ছা করতো । বলতে ইচ্ছা করতো এইতো আমি আছি তোমার পাশে !!
তুমি জেনো সবসময় থাকবো !!

-কই বললে নাতো ?
-কি বলবো ?
নিশি আবার ও আমার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলো ।
-আচ্ছা আর একটা কথার উত্তর দেবে ?
-বল ।
-আমাকে তুমি কেন বিয়ে করলে ? তুমি খুব ভাল করেই জানতে আমি অন্য একটা ছেলেকে ভালবাসি । তার কথা ভুলে কোন দিন তোমাকে ভালবাসবো কিনা তার কোন নিশ্চয়তা ছিল না । তবুও তুমি কেন আমাকে বিয়ে করতে চাইলে ?
আমি কি বলবো ঠিক বুঝতে পারছিলাম না । আর আজ নিশির হয়েছেটা কি ?
কেমন যেন আচরন করছে ?
নিশি আবার বলল
-আর আমিতো দেখতে খুব বেশি আহামরি সুন্দরী না, আর আমার বাপের অঢেল সম্পত্তিও নাই । তাহলে?
একটা ছেলে বিয়ে করার জন্য একটা মেয়ের মধ্যে যা যা কিছু দেখে তার কিছুই আমার নাই । তাহলে তুমি কেন আমাকে বিয়ে করতে চাইলে ?
-নিশি আজ তোমার কি হয়েছে বলতো ? এসব কথা কেন বলছো ? কি দরকার এসবের আর !!
-কিছুটাতো আছেই ।
আমি চুপ করেই থাকি । এতো দিন যখন বলি তখন এখন আর বলে কি হবে !
আমার মনে শুরু থেকেই একটা বিশ্বাস ছিল যে নিশি একদিন না একদিন ঠিকই আমার মনের কথা বুঝতে পারবে ।
পারবে কি ?
কে জানে !
-আজ আমি তোমাকে একটা মিথ্যা কথা বলেছি ।
-মিথ্যা কথা ?
-হুম ।
-আজ আমার মন খারাপ না । বরং ভাল । শাহেদের সাথে আমার দেখা হয় নি । আর দেখা হলেও সেটা কোন মন খারাপের কারন হত না । আমি অনেক আগেই শাহেদের স্মৃতি থেকে নিজেকে বের করে এনেছিলাম ।
আমি বেশ পুলকিত হলাম নিশির কথায় ।
নিশি বলেই চলল
-আমি এতো দিন কেবল এই কথাটাই ভাবছিলাম যে তুমি কেন আমাকে বিয়ে করতে চাইলে ? এটাকি কেবলই করুনা করে নাকি অন্য কিছু ?
-করুনা ?
-হুম, করুনা । অসহায় একটা মেয়ে, মা আর বোনকে নিয়ে বিপদে পরেছে । এই মেয়েটার প্রতিতো করুনা তো দেখানোই যায় ।
-নিশি , এটা কি বলছ তুমি ?আমি তোমাকে করুনা কিংবা সিমপ্যাথি জানানোর জন্য বিয়ে করি নি । আমি তোমাকে ...
-তুমি আমাকে .... কি ? বল ।
আমি বলতে পারি না । কোথায় যেন একটা সংকোচ থেকেই যায় । নিশি কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়েই থাকে । ওর চোখ দুটো যেন কিছু একটা শুনতে চাচ্ছে আমার কাছ থেকে ।
কিন্তু আমি কেন বলতে পারছি না ।
অপু আজ আমি জানি তুমি কেন আমাকে বিয়ে করেছো ?
জানো?
-একটা মেয়ে এটা সহজেই বুঝতে পারে । এতোদিন কেবল ধারনা ছিল আজ সিওর হয়েছি ! কিন্তু তবুও তুমি কেন আমাকে বল নি । আমি যখন বৃষ্টি তে কাঁদতাম তখন কি আমার তোমার ভেজা উচিত্‍ ছিল না ? হাতটা ধরে এই কথাটা কি বলা খুব কঠিন ছিল যে আমি তোমার পাশে আছি ?

কি আশ্চার্য !! আমি যা ভেবেছি নিশি তার সবটাই জানে ।
তাহলে কেন এতো সংকোচ করেছি ?
কেন এই কয়টা মাস আমি নষ্ট করেছি কেন একসাথে বৃষ্টিতে ভিজি নি ! ভালবাসি কথাটা বলা কি এতোই কঠিন !
আমি তবুও নিশির দিকে তাকিয়েই থাকি ! ভালবাসি কথাটা কেন যে বলতে পারি না !!!
দেখি আজ বলা যায় নাকি !!
নিশি আমার দিকে তাকিয়েই আছে সেই চোখের দৃষ্টি নিয়ে !




ঈদের আগে এটাই আমার শেষ লেখা ! কাল বাড়ি যাবো ! কতদিন পর বাসায় যাচ্ছি ! কত কিছু ভেবে রেখেছি । কিন্তু তার কিছুই পুরন হবে না আমি জানি । সব থেকে বড় কথা টিয়া পাখির সাথে হয়টো এবার দেখা হবে না ।
যাক সবাই ভাল থাকবেন । অনেক আগেই জানিয়ে রাখলাম
ঈদ মোবারক !!
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:২৯
২৪টি মন্তব্য ২৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×