somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার ছাত্রী যেভাবে আমার গার্লফ্রেন্ড হল এবং অতঃপর

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঘুমানোর সময় কেউ ফোন করলে আমার খুব বিরক্ত লাগে । আর যদি মোবাইলের শব্দে কাঁচা ঘুম ভাঙ্গে তাহলে মেজাজটা এমন খারাপ হয় যে বলার অপেক্ষা রাখে না ।
ঠিক এই সময় তেমন মেজাজ খারাপ হচ্ছে মোবাইলটার উপর । সবে মাত্র চোখটা লেগে এসেছিল আর তখনই যেন ফোনটা বেজে উঠল । কলার কে খুব একটা ধমক দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েই ফোনটা হাতে নিলাম কিন্তু স্ক্রিনে নামটা দেখে অবাকই হতে হল ।
নিহিনের মা ফোন দিয়েছে !
এতো রাতে ?
নিহিন ফোন দিলে না একটা কিছু বোঝা যেত !
নিহিনের প্রায়ই ইচ্ছা করে রাত বিরাতে আমার সাথে কথা বলতে । কিন্তু তাই বলে ওর মা কেন ফোন দিবে ? আর ঐ দিনকার ঘটনার পর তো আমার কাছে ফোন দেবার কোন কথা না ।
তাহলে ?
আমি ফোনটা রিসিভ করলাম ।
-স্লামালাইকুম আন্টি ।
নিহিনের মা সালামের উত্তর দিয়ে খানিকটা সময় চুপ করে রইল । তারপর বলল
-তোমাকে ঘুম থেকে তুললাম ! কিছু মনে কর না । কিন্তু ...
-না আন্টি ঠিক আছে । কোন দরকার ছিল ?
-তুমি কোথায় থাকো ?
কি রে ভাই এই রাত বিরাতে আমার বাসার ঠিকানা কেন খুজে ! আমি বললাম
-এই তো আন্টি মোঃপুর ।
-আচ্ছা বাবা তুমি কি একটু আসতে পারবা আমার বাসায় ।
বাসায় ?
আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম । ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি প্রায় দুইটার কাছাকাছি বাজে । এতো রাতে আমি কিভাবে যাবো ?
আমি বললাম
-আন্টি এতো রাতে ?
-না কোন সমস্যা নাই । আমি গাড়ি পাঠাচ্ছি । তুমি একটু আসো । প্লিজ বাবা একটু আসো ।
আমি আর না বলতে পারলাম না ।
ফোন রাখার পর মনে হল যে সমস্যা কি হল যে নিহিনের মা আমাকে এতো রাতে একেবারে বাসায় আসতে বলল । যাই কিছু হোক না কেন এর সাথে যে নিহিন সরাসরি জড়িত তা আমি নিশ্চিত ।
কিন্তু মেয়েটা আবার কি পাগলামো করলো কে জানে ?
ঐ দিনতো পড়াচ্ছি এমন সময় আমার হাত চেপে ধরলো । এই মেয়েটার কি ভয়ডর কিছু নাই ?
তাড়াতাড়ি হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বললাম
-কি হচ্ছে এসব ? তোমার মা যে কোন সময় চলে আসবে ।
-আসলে আসবে !
এমন একটা ডোন্ট কেয়ার ভাব ! আমি বললাম
-তোমার ভয় লাগে না ?
নিহিন আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-আপনার কেন এতো ভয় লাগে ? আমার আম্মু জানলে কি এমন হবে ? আপনাকে মারবে?
-ব্যাপারটা তা না ! আমি এখানে রফিক ভাইয়ের রেফারেন্সে এসেছি । কিছু এদিক ওদিক হলে ওনাকে কি জবাব দিবো আমি বল ?
-ঐ রফিক ভাইয়ের দোহাই দিয়ে একবার চলে গিয়েছিলেন তাই না ? এবার ...
-এবার?
নিহিন একটু হেসে বলল
-কিছু না ! আর আমার জন্য না হয় একটু বকা শুনলেনই !
আমি আর কিছু বলতেই পারলাম না । নিহিন বলল
-কালকে কি আপনার কোন পরীক্ষা আছে ?
-কেন ?
-আছে কি না আগে বলেন ?
-না । তবে ক্লাস আছে ।
-কাল ক্লাস করতে হবে না । কালকে লালটিপ দেখতে যাবো কেমন ?
আহা কত সহজে বলে ফেলল লালটিপ দেখতে যাবো ।
-দেখো কাল আমার ইম্পর্টেন্ট ক্লাস আছে ।
নিহিন আমার দিকে এমন ভাবে তাকাল যেন এর থেকে অদ্ভুদ কথা আর সে শুনে নাই !

আমি নিচে নেমে আসলাম । ঢাকায় থাকি অনেক দিন কিন্তু রাতে কখনই বাইরে বের হওয়া হয় না ! বাইরে বের হতে না হতেই দেখলাম নিহিন দের লাল টয়োটা হাজির । এতো জলদি কিভাবে আসলো কে জানে ?
আমি গাড়িতে উঠে বসলাম ।
মনের ভিতর চিন্তাটা লেগেই আছে । আসলে কি এমন হল কে জানে ?
এতো জরুরী ভাবে তলব করার মানে কি কে জানে ?
নিহিন কে কি একবার ফোন দিবো ?
না থাক !
ফাকা রাস্তায় গাড়ি চলছে এগিয়ে আমি ভবছি নিহিনের কথা ! মেয়েটা আবার কোন পাগলাম করল !!

ঐদিনের পর নিহিনকে নিয়ে সত্যিই আমাকে লালটিপ দেখতে যেতে হয়েছিল । প্রথমে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল না কিন্তু সকাল বেলা নিহিন ইউনিভার্সিটিতে এসে হাজির । ঐ দিন করা মত । তবে আজ স্কুল ড্রেস পরে আসে নি কালো রংয়ের একটা জিন্স আর কামিজ পরেছ ।
আমি বললাম
-বাসা থেকে আসছো ?
নিহিন মাথা নাড়াল ।
-স্কুল ড্রেস কই ?
-এক বান্ধবীর বাসায় থেকে বদলে নিয়েছি ।
-তোমার ঐ বন্ধু কি বলল ?
-কি বলবে ? ও সব জানে ?
না এই মেয়েকে নিয়ে আর পারা যাবে না । আমি যত চাচ্ছি ব্যাপারটা গোপন রাখার জন্য এই মেয়ে ততই আরো সবার কাছে বলে বেড়াচ্ছে । আল্লাহ জানে কি হবে !!

আমার ভয় ছিল একদিন ওর ফ্যামিলি জেনে যাবেই ! কিন্তু এতো জলদি জেনে যাবে ভাবি নাই । লালটিপ দেখে বাসায় আসার পরপরই রফিক ভাইয়ের ফোন ,
-তোমাকে আমি কি বলেছিলাম ?
-কি হয়েছে ভাইয়া ?
-জানো না কি হয়েছে ? কি করেছ জানো না ? অন্তত আমার দিকটা ভেবে দেখতে ?
আমি কিছু বললাম না । কারন খুব ভাল করেই জানি ভাইয়া কি ব্যাপারে বলছে !
রফিক ভাই বলল
-কাল থেকে তুমি আর ও বাড়িতে পড়াতে যাবে না । নিহিনের মা আমাকে পরিস্কার ভাবে বলে দিয়েছে । আসলে দ্বিতীয়বার তোমাকে বলাটাই আমার ভুল হয়েছে !
প্রথম বার যখন নিহিন কে পড়ানো বন্ধ করে দিয়েছিলাম তখন এই রফিক ভাই ই আমাকে আবার ওখানে নিয়ে গিয়েছিল । এখন মনে হচ্ছে না গেলেই বোধহয় ভাল হত !!
ঐ দিন রাতে নিহিন ফোন দিল কিন্তু আমি ফোন ধরলাম না ! বেশ কয়েকবারই দিল ! আর আজ রাতে এই অব্স্থা !!

আমি যখন নিহিন দের বাসায় পৌছাই তখন সব কিছু যেন নিঝুম পুরি ! নিহিনের বাবা বসার ঘরে মুখ গম্ভীর করে বসে আছে । আমাকে দেখে কিছু বলল না । দেখলাম নিহিনের মা আামর দিকে এগিয়ে এল !
নিহিন কি ঘুমিয়ে আছে ??
আমি নিহিনের মা কে ক্ষীণ গলায় বললাম
-কি হয়েছে ? বস কিছু ঠিক আছে ?
-বসো বলছি !
আমি সোফার এককোনে বসলাম । নিহিনের মা বসলো আমার মুখোমুখি !
-নিহিনের সাথে তোমার একটা রিলেশন চলতেছে, তাই তো ?
আমি কিছু না বলে চুপ করে রইলাম । এই কথার উত্তর দেওায়র মত কিছু নাই ! কিন্তু আমার মনে হল কেবল এই কথা বলার জন্য নিহিনের মা আমাকে এখানে ডাকে নি । অন্য কোন ব্যাপার আছে !
-আমি জানি নিহিনের আগ্রহেই এটা হয়েছে ! নিহিন বলেছে আমাকে । আসলে নিহিন যখন জানতে পারলো যে তোমাকে আমি আসতে মানা করে দিয়েছি ও খুব বেশি রিএক্ট করল না । আমি খানিকটা অবাক হয়েছিলাম । আমি ভেবেছিলাম ও খুব চিৎকার চেঁচামিচি করবে !
নিহিনের মার কথা শুনে আমিও খানিকটা অবাক হলাম । আমারও মনে হয়েছিল যর নিহিন খুব রিএক্ট করবে ! নিহিনের মা বলল
-কিন্তু নিহিনের মনে অন্য কিছু ছিল । নিহিন ঐ দিন থেকে খাওয়া দাওয়া একদমই বন্ধ করে দেয় !! একফোটা পানি পর্যন্তও ও এখনও মুখে নেয় নি !
মাই গড !!
তাওতো দুইদিন আগের কথা ! এই দুইদিন নিহিন কিছু খাই নি !!
-আমরা অনেক চেষ্টা করেছি । কিন্তু কিছুই খাওয়াতে পারি নি ! তুমি যদি একটু দেখতে !!
একাট হিন্দি প্রবাদের কথা মনে পড়ল ।
আব আয়া উট পাহার কি নিচে !!
একবার মনে হল বলি কেন করবো ? তারপর মনে হল, না থাক !!
নিহিন না খেয়ে আছে আমার জন্য !! এটাই আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ন মনে হল !!
নিহিনের ঘরে লাইট জ্বলছে । নিহিন ওর বিছানা শুয়ে আছে ! চেহায়া কেমন যেন শুকিয়ে গেছে !!
আমি সত্যি আশ্চার্য হয়ে গেলাম ওকে দেখ !!
এই মেয়ে আমার জন্য দুদিন না খেয়ে থেকেছে !!
আমি ওর পাশে বসতেই ও চোখ মেলে তাকাল ! কিছু তাকিয়ে থাকার পর মনে হল যেন ওর চোখে পানি জমতে শুরু করেছে ! বললাম
-এমন পাগলামো কেন করলে ?
-কেন করলাম ? আমার মা আপনাকে আসতে মানা করলো সে দোষ করলো আর আপনি আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিলেন ? আমি কি করেছি !
-আচ্ছা ঠিক আছে ? আমার ভুল হয়েছে ! এখন কিছু মুখে দাও !
-না । খাবো না ।
-কেন খাবে না ! এই তো আমি এখানে !
-আমি খাবো না !
-এটা কেমন কথা ?
-আমি খাবো না ।
-আচ্ছা কি করলে খাবে বল ?
-কিছু করলে খাবো না ! আপনাকে সেদিন একটা কাগজ দিয়েছিলাম মনে আছে ?
-আছে ।
-ওখানে কি লেখা ছিল ? আমি বলেছিলাম না আপনাকে ছাড়া আমি মরে যাবো ! এখন সত্যি সত্যিই আমি মরে যাবো !
-আরে বাবা, আমিতো এসেছি । যাই নি তো !
-তাহলে কেন আমার সাথে এমন করলেন ? কেন করলেন ?
আমি কি বলবো ঠিক বুঝলাম না । চুপ করে রইলাম কিছুক্ষন !
তারপর বললাম
-বল কি করতে হবে ? যা চাইবে তাই হবে ?
নিহিন কিছুক্ষন কি যেন ভাবল । তারপর বলল
-আমার হাত ধরে প্রমিজ করেন যে আর কোন দিন আমাকে ছেড়ে যাবেন না ।
-কারলাম !
-হাত ধরে !
আমি নিহিনের হাত ধরেই কথাটা বললাম ।
-আর ?
-আর ......আমাকে একটা কিস করেন ?
-কি ???? তোমার কি মাথা খারাপ নাকি ??
-না হলে নাই । আমি কিছু খাবো না !
আমি অসহায় বোধ করলাম । এই যেমন জেদি যা বলবে তাই করবে !! এখন আমি কি করি ?
-আচ্ছা ! তুমি যা চাও তাই হবে ! এখন কিছু খাও ! তোমার বাবা মা বসে আছে ! কথা দিলাম !
নিহিন কিছু যেন ভাবলো ! তারপর বলল
-প্রমিজ ??
-হ্যা কথা দিলাম !!

কিভাবে কত কিছু হয়ে গেল । আমি তো ভেবেছিলাম আর কোনদিন এই বাসাতে আসা হবে না । কিন্তু ...।


এই হল গল্প ! যেভাবে আমার ছাত্রী আমার গার্লফ্রেন্ড হল । এবার খুব জলদি গার্লফ্রেন্ড থেকে বউ ও হয়ে যাবে !! :!> :!> :#> :#> :#>

আমার ছাত্রী যেভাবে আমার গার্লফ্রেন্ড হল !!
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০৮
২৮টি মন্তব্য ২৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিব নারায়ণ দাস নামটাতেই কি আমাদের অ্যালার্জি?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭


অভিমান কতোটা প্রকট হয় দেখেছিলাম শিবনারায়ণ দাসের কাছে গিয়ে।
.
গত বছরের জুন মাসের শুরুর দিকের কথা। এক সকালে হঠাৎ মনে হলো যদি জাতীয় পতাকার নকশাকার শিবনারায়ণ দাসের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতি মাসে সামু-ব্লগে ভিজিটর কত? মার্চ ২০২৪ Update

লিখেছেন জে.এস. সাব্বির, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মার্চ ২০২৪ সালে আমাদের প্রিয় সামু ব্লগে ভিজিটর সংখ্যা কত ছিল? জানতে হলে চোখ রাখুন-

গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ ছিল জানুয়ারি মাসে। ওই মাসে সর্বমোট ভিজিট ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×