somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মডেল কন্যা রুহী হাসনাত

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


প্রথম বার রিং হওয়ার পরেই রুহী ফোন টা রিসিভ করল । আমি একটু অবাক না হয়ে পারলাম না । ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত তিনটার কাছাকাছি বাজে ! এতো রাতে রুহী জেগে আছে ?
কেন ?
আমার যেমন ঘুম আসছে না সেই রকম ভাবে কি ওরও ঘুম আসছে না ?
নাহ !!
জেগে থাকতেই পারে ! এমনি তে সে ঢাকার মেয়ে ! ঘুমাতে ঘুমাতে একটু তো দেরী হতেই পারে !
রুহীর কন্ঠস্বর শুনে বাস্তবে ফিরে এলাম । রুহী বলল
-এতো রাতে ?
-সরি ! তোমাকে ডিস্টার্ব করলাম !
-না ঠিক আছে ! আমার এমনিতেও ঘুম আসছিল না । জেগেই ছিলাম ।
ঘুম আসছিল না ?
রুহী কি কোন ব্যাপার নিয়ে চিন্তিত ?
কোন ব্যাপার নিয়ে অস্থির হয়ে আছে ?
আমার ব্যাপার নিয়ে ?
নাহ !!
অপু মিয়া বেশি বেশি কল্পনা করতেছ!!
আউল ফাউল গল্প লিখে লিখে তোমার মাথায় কেবল এই গুলাই ঘুরতেছে । এতোই সহজ !
একটা মেয়ের সাথে পরিচয় হল আর তারপরই সে তোমার প্রেমে পড়ে গেল ! মেয়েরা এতো বোকা হয় নাকি ??
মেয়েরা বোকা না হোক কিন্তু আমি তো বোকা !
আমি ঐ মেয়ের প্রেমে পরেছি । এবং ভাল ভাবেই পরেছি !
বলতে গেলে হাবুডুবু খাচ্ছি !!
রুহী আবার বলল
-কিছু বলবা ?
-আসলে ? আমি....
রুহী হেসে ফেলল । বলল
-প্যাচাচ্ছ কেন ? বল ।
আমি খুব বড় করে দম নিলাম । তারপর এক নিঃশ্বাসে বললাম
-রুহী আমি তোমাকে ভালবেশে ফেলেছি !
লাইনটা বলতে মনে হয় আমার তিন সেকেন্ডেরও কম সময় লেগেছে । রুহী ঠিক মত বুঝতে পেরেছে কি না আমি জানি না ! আমি নিজের কানেই আমি ঠিক মত শুনতে পাইনি আর রুহীতো শুনতে পাবার কথাই না ।
বলে ফেলেই মনে হল কি করলাম !
কি দরকার ছিল !
ভালই ছিল কথা হচ্ছিল ! দেখা হচ্ছিল এখন ?
আমি আর একটুও দেরি করলাম না । ফোন কেটে দিলাম সঙ্গে সঙ্গে ! তারপর বন্ধ !
আর কোন কথা নাই । নিজের গালে একটা জুতা মারতে ইচ্ছে করছে !
রুহী কি না কি ভাববে ! এমন করে কেউ কাউকে প্রপোজ করে ! তাও আবার রুহীকে ! রুহী হাসনাত !
নাম করা একজন মডেল !
ঐ মেয়ে কোন দিন আমাকে ভালবাসবে !
কোনদিন না !!
যাও এতো দিন আমার সাথে টুকটাক কথা বলতো এখন তো আর বলবে না ! আমার সাথে হয়তো আর ডেখাই করবে না । আমার নাম্বর থেকে ফোন গেলে ফোন ধরবে না অথবা নাম্বারটাই বদলে ফেলবে ! ফেসবুক থেকে হয়তো আমাকে ডিলিট করে দিবে !
ফেসবুক !!
এই ফেসবুক থেকেই রুহী হাসনাতের সাথে আমার পরিচয় ! বলতে গেলে খানিকটা হঠাৎ করেই ।
আমার ফেসবুকে ফ্রেন্ডের সংখ্যা খুবই কম । অপরিচিত কাউকেই আমি ফ্রেন্ডলিষ্টে যোগ করি না কিন্তু ফ্যান পেইজ মাহশাল্লাহ লাইক দেওয়া আছে হাজার খানেকের উপর । প্রতিদিন কোন যে আপডেট আছে ! এই রকম একটা পেজ থেকে রুহীকে প্রথম দেখতে পাই । পেজটা সম্ভবত কোন মিডিয়া ফটোগ্রাফারের ছিল । রুহীর একটা ছবি দেখলাম ! সাদা রংয়ের সেলোয়ার কামিজ পরা । আসলে আমার সব সময় সাদার প্রতি আমার সব সময় আলাদা আকটা আকর্ষন আছে ! তারপর মেয়েটা ছবির নিচে যখন লিংক দেখলাম একটু কৌতুহল হল মেয়েটার উপর । লিংক ক্লিক করেই দেখলাম রুহীর ফেবু প্রোফাইল ।
বেশ সিকিউর দেখলাম । কোন তথ্যই নেই পাবলিকের জন্য । বেরিয়েই আসব ঠিক তখনই আমার চোখে আর একটা জিনিস বাধলো !
টুডে ইস হার বার্থডে !
আজ মেয়েটার জন্ম দিন !
মেসেজ অপশন ওপেন করা আছে !
কিছুক্ষন ভাবলাম চুপচাপ !
পাঠাবো একটা মাসেজ ?
না থাক কি ভাববে ?
আরে কি ভাববে ! জন্মদিন ! যে কেউ উইস করতেই পারে ! এতে দোষের কি আছে ?
তা অবশ্য ঠিকই আছে ! কিন্তু কি লিখে পাঠাবো ?
কেবল জন্মদিনের লাইন টা ?
আমি লিখলাম

এক টুকরো আকাশ ছিল
সাথে এক টুকরো নীল
লাল সবুজের মেলা ছিল
কোমল শুভ্র ঝিল !
সেই ঝিলেতে ভাসিয়ে দিলাম
মনের যত ঋণ
শুনতে কি পাও বলছি তোমায়
শুভ জন্মদিন !!


মন মত হয়েছে লাইনটা ! সেন্ড অপশনে চাপ দিয়েই দিলাম ।
আমি ভেবেছিলাম কাহিনী এখানেই শেষ ! ঢাকার মেয়ে ! তার উপর আবার মডেল এই মেয়ের তো হাজার খানেক ফেবুতে হাজার খানেক ফ্রেন্ড থাকবে ! আমার মেসেজ হয়তো চোকখেই পড়বে না ! আর পরলেও খুব একটা গুরুত্ব দিবে বলে মনে হয় না !
কিন্তু আমার ধারনা একটু ভুল প্রমানিত হল। সকাল বেলা আবার যখন ফেবুতে লগইন করলাম তখন ইনবক্সে একটা মেসেস দেখলাম । এবং অবাক হবার বিষয় মেসেজা টা পাঠিয়েছে রুহী !
আমি সত্যি একটু অবাক হলাম !
মেসেজে লেখা
আপনার কবিতা ভাল লেগেছে । আরো ভাল লেগেছে কবিতা আমার জন্য লেখা দেখে ! ধন্যবাদ !

এতো সুন্দর রিপ্লে দেখে আমারও ইচ্ছে হল আমিও একটু মেসেজ পাঠাই ।
লিখলাম
সুন্দর মানুষ কে সব সময় সুন্দর করেই বলতে হয় ! ওয়েলকাম !
আমি আমি ভেবেছিলাম এই মেসেজটারও রিপ্লে আসবে । আসলে মেয়েটা যেভাবে মেসেজের রিপ্লে দিয়েছে আর আমি যেভাবে রিপ্লে দিলাম তাতে আর একটা মেসেজ আমি আশা করতেই পারি । কিন্তু এতো জলদি আসবে ঠিক ভাবতে পারি নি ! প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মেসেজ এসে হাজির ।
আমি সুন্দর না ছাই ! আচ্ছা আপনি কি আমাকে চিনেন ?
আমি লিকখলাম
ঠিক চিনি না ! তবে আপনার বেশ কিছু চমৎকার চমৎকার ছবি দেখেছি ! আপনি মনে হয় প্রিন্ট মডেল !
রুহী রিপ্লে দিল
হুম ! কিছু শাড়ি আর কামিজের মডেল হয়েছি !
আমি লিখলাম
সুন্দর ! আসলেই সুন্দর !
.........
......
এভাবেই শুরু ! তারপর ফেবুতে রিকোয়েষ্ট পাঠানো ! চ্যাটিং তারপর ফোনে আলাপন । সবার শেষে দেখা !
মাজর ব্যাপর হল রুহীর বাসা মুহাম্মদপুরেই ! মুহাম্মাদ পুরের লালমাটিয়াতে ! একদম আমার বাড়ির কাছেই !
প্রথম আমাদের দেখা হল ।একদম হঠাৎ করেই । ক্লাস ছিল । বাসস্ট্যান্ডে দাড়িয়েছি বাসের জন্য ! হঠাৎ পেছন ঠেকে আমার কাধে কারো হাতের ছোয়া পেলাম । পেছন ফিরে দেখি রুহী দাড়িয়ে !
আমি প্রথমে ঠিক মত চিনতে পারি নি ! আসলে যখন মডেলিংয়ের ছবি তোলে তখন তো হাজারও রকমের মেকআপ দেওয়া থাকে তাই আসল চেহারা খুব একটা ফুটে ওঠে না ।
কিন্তু বাস্তবের জীবনে তো আর সেরকম হবে না । রুহী মনে হয় আমার মনের কথাটাই বুঝে ফেলল । বলল
-কি চিনতে কষ্ট হচ্ছে ? পিসি স্ক্রীনে দেখা চেহারার মত সুন্দর লাগছে না, তাই না ?
আমি লজ্জা পেয়ে একটু হাসলাম ।
-আরে না । কি যে বল ? তুমি এমনিতেই সুন্দর ! তোমাকে এভাবে এখানে আশা করি নি । তাই একটু অবাক লাগছে !
-কেন ? আমি তো এখান থেকেই বাসে উঠি প্রতিদিন ।
-আমি অবাক হয়ে বললাম
-তুমি বাসে চলাচল কর ?
আমার থেকেও রুহী বেশি অবাক হয়ে বলল
-কেন ? বাসে ছাড়া আর কিসে চলাচল করবো ! প্রতিদিন যদি রিক্সা বা সিএনজি তে করে ভার্সিটিতে যেতে হয় তাহলে তো আমার খবরই হয়ে যাবে !
-খবর ?
-না না ! আমার খবর না আমর বাবার পকেটের খবর হয়ে যাবে ! হাহাহাহা !
আমি সত্যি একটু অবাক হলাম । মেয়েটাকে প্রথম যেরকম ভেবেছিলাম মেয়েটা একদমই সে রকম না ! একদম আমাদের মতই !

এভাবে প্রায়ই দেখা হত । কথা হত ! একদিন আমাকে ওকে স্টুডিও তে নিয়ে গেল । কোন একটা সেলোয়ার কামিজের মডেলিং ছিল মনে হয় ।ও বিভিন্ন পোজে ছবি তুলছিল ! আমার দিকে আড় চোখে তাকাচ্ছিল ! আমিতো কেবল ওর দিকেই তাকিয়ে ছিলাম ।
আমি যে ওর প্রেমে পরেছি অনেক আগেই বুঝতে পারছিলমা । কিন্তু গতকাল ব্যাপারটা আমার কাছে আরো স্পষ্ট করে ধরা পড়লো ! গতকাল আমাদের একসাথে রবীন্দ্রসরবরে যাবা কথা ছিল । কি একটা প্রোগ্রাম নাকি হবে । আমাকে বলেছিল পাঞ্জাবী পরে আসতে !
তাহলে নিশ্চই ও শাড়ি পরে আসবে ! শাড়িতে ওকে এর আগে ছবিতে দেখেছি । বাস্তবে দেখি নি ! আজকে দেখবো ! আমাকে বলেছিল বাস স্টেন্ডেই দাড়াতে । আমি ওর জন্যওয়েট করছিলাম । ঠিক সময়ে ও এসে হাজির !
শাড়িতে !
ও মাই গড !!
মেয়েদের খুব বেশি সাজাগোজা আমি পছন্দ করি না । কিন্তু আমি রুহীকে দেখে বলতে গেলে একদম মুগদ্ধ হয়ে গেলাম ।
রুহী হালকা খয়েরী রংয়ের কাজকরা করা একটা শাড়ি পরেছে !
হাত ভর্তি লাল কাঁচের চুড়ি ! সাথে হাত মেহেদি ! বেশ গাঢ় করেই মেহেদি দেওয়া !
কপালে লাল টিপ আর ঠোটে হালকা লাল লিপস্টিক ! আর চোখে হালকা করে কাজল দেওয়া ! চোখের পাতার উপর আবার কালার করা ! একে কি বলে কে জানে ?
চুপ সম্পুর্ন ভাবে বাধে নি । কিছুটা বাধা আবার কিছুটা ছাড়া ! চুলে দুটো রক্তজবা গোজা !
আমি অনুভব করলাম আমার বুকের ভিতর একটা তোলপাড় শুরু হয়েছে । রুহী আমার কাছে এসে বলল
-কি ?
-কিছু না ।
ওর সাথে যখন রিক্সায় উঠলাম মনে হচ্ছিল যেন আমি সব থেকে সুখি একজন মানুষ ! চারিপাশে লোকজন কেমন করে যেন তাকাচ্ছিল আমাদের দিকে । এতো দিন কেবল আমি দেখে গেছি এমন করে আজ মানুষ আমাকে দেখছে ! আর মনে মনে ঈর্ষার জ্বলছে । এর থেকে আন্দের আর কি হতে পারে ?
কোথায় কি প্রোগ্রাম হচ্ছিল আমার কিছু ক্ষ্যাল ছিল না । আমি কেবল রুহীকেই দেখছিলাম । অন্য কিছু আমার চোখেই পরছিল না ।

আর বাসায় আসার পর থেকে শান্তি পাচ্ছিলাম না কিছুতেই । ঘুমও আসছিল না । তাই বলেই দিলাম । লাইনটা বলেই ফোন বন্ধ ! প্রথম প্রথম একটু বুক ধড়ফড় করলেও এখন অবশ্য শান্তিই লাগতেছে !
যাক !! বলে ফেলেছি ভাল করেছি !
কিন্তু ও যদি না করে দেয় ?
তাহলে ?
এইটা তো একটু চিন্তার বিষয় !!

সকাল বেলাতেও ফোন বন্ধই রাখলাম । ভার্সিতে যারার কথা ছিল তাও গেলাম না । এমন কি একটা বার পিসিও অন করলাম না ! রুহী কি মেসেজ পাঠিয়েছে কে জানে !!

বিকেল বেলা একটু বের হতে হল । বাসায় কিছু খাওয়ার ছিল না । নিচে গিয়ে নাস্তা খেতে হবে । আমি গেট দিয়ে বের হব ঠিক এই সময় আমার মনে হল আমি একটু ভুল দেখছি । কারন রিক্সা করে দেখলাম রুহী আসছে ! মুখটা একটু গম্ভীর !
আমি মনে মনে বললাম এটা হতে পারে না । রুহী আমার বাড়ির ঠিকানা কই পাবে ? আমি ঠিক করে তো কোন দিন বলি নাই । নিশ্চই অন্য কেউ হবে ! কিন্তু আমার ভুল ভাঙ্গলো যখন রিক্সাটা আমার সামনে এসেই থামলো !
থামতেই পরে !
কিন্তু রিক্সার আরহী যখন বলল
-রিক্সায় উঠে বস !
তখন আর বুঝতে বাকী রইলো না যে রুহীই !
আমি একটু অবাক হয়ে রুহীর দিকে তাকিয়ে ! ভাবছি এই মেয়ে আমার বাড়ি চিনল কিভাবে ?
আশ্চার্য বিষয় !!
-কি হল ? কথা কানে যায় না ? রিক্সায় উঠতে বললাম না ?
আমি আরো অবাক হলাম রুহীর কন্ঠস্বর শুনে ?
এই আমাকে ধমক দেয় ক্যান ?
রুহীর সাথে আমার পরিচয় প্রায় চার মাসে মত । কোন দিন একটু জোরেও কথা বলে নি ! আর আজকে কি হল ?
তখনই আমার কাল রাতের কথা মনে হল !
অপু মিয়া তুমি ফান্দে পরছো !
এতো দিন সে তোমার বন্ধু ছিল তাই কন্ঠস্বর ছিল এক রকম ! আর কালকে তুমি যেই কামডা করছো কন্ঠস্বর কি আগের মত থাকে ??
না মামা না !!

আমি আর একবার ধকম খাওয়ার আগেই রিক্সায় উঠে বসলাম । রিক্সা য়ালা কে মনে হয় আগে থেকেই বলা ছিল রিক্সায়ালা রিক্সা ঘুড়িয়ে চালাতে শুরু করলো !
কিন্তু মনের ভিতর একটা প্রশ্ন রয়েই গেল !
রুহী আমার বাড়ি চিনলো কিভাবে ? আমি রুহীকে বললাম
-তুমি আমার বাড়ি চিনলে কিাভবে ?
কিন্তু রুহী আমার কথার জবাব না দিয়ে বলল
-কালকে রাতে ফোনে তুমি কি বলল?
আমি আরো অবাক হলাম ! এই মেয়ে এতো জোর গলায় কথা বলা শিখলো কিভাবে ? :-/ :-/
আমি খানিনটা নিচু স্বরে বললাম
-আর কোন দিন বলব না !
-আর তারপর ফোন বন্ধ কেন ?
আমি আবার বললাম
-আর কোন দিন ফোন বন্ধ করবো না ।
-ফেসবুকে কতগুলো মেসেজ পাঠাইছি তোমাকে ?
-বিশ্বাস কর আমি আর কোন দিন ফেসবুক খুলবো না !
-আরে ধুর ! কাল রাতে কি বললা আবার বল !
-আমি.....।
-বল !
আমি আবার একটু দম লিলাম ।
এবার রুহী একটু ধমক দিয়েই বলল
-বল
আমি আবার কালকের মত মুখস্ত বলার মত করে করে বললাম
-আমি তোমাকে ভালবাসি !
রুহী আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-কালকে এটা বলেছিলে ? ঠিক আছে এটাতেও চলবে ! এখন আমাকে বল কালকের সাজ গোজ দেখে আমার প্রেমে পড়েছ নাকি ....
-না বিশ্বাস কর আমি অনেক আগে থেকেই.....
-তাহলে এতো দেরি করলে কেন বলতে ? আর এমন ভাবে বললে যেন মুখস্ত বলতেছে ! এ ফর অ্যাপেল বি ফো বল ! একটা মেয়েকে প্রোপজ করতেছ একটু সুন্দর করে করতে হয় ! তার উপর আবার মোবাইল বন্ধ ! এমন মেজাজ গরম হচ্ছিল না তোমার উপর !!
আমি চুপ করে রইলাম ! রুহী আবার বলল
-শোন এখন আমরা লেকপাড়ে যাচ্ছি ! ওখানে আমার একটা খুব পছন্দের জায়গা আছে । সেখানে গিয়ে তুমি আমাকে খুব সুন্দর করে প্রোপজ করবা ! মনে থাকবে ?
-হুম !
-হুম ! কি ?
-থাকবে !
রুহী একটু হাসলো ! সুন্দর করেই হাসলো ! বলল
-যদি সুন্দর করে প্রোপজ না করতে পারো দেখো সারা জীবন তোমার কপালে দুঃখ আছে ! আর কিছু বলার আছে ?
-হুম !
-কি ?
-তুমি আমার বাসার ঠিকানা কিভাবে পেলে ?
রুহী কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে থেকে হেসে ফেলল । বলল
-আমি তোমাকে এতোক্ষন কি বললাম সেটা নিয়ে তোমার টেনশন নাই ! তোমার বাড়ির ঠিকানা কিভাবে পেলাম সেটা নিয়ে তুমি চিন্তিত ।
আরো একটু হেসে বলল
-পন্ডিট কোথাকার ! নিজের ফেসবুক ইনফোতে যে নিজের ফ্লাট নাম্বার পর্যন্ত দেওয়া আছে সে ক্ষ্যাল আছে
আরে তাই তো !!
আমার তো মনেই ছিল না ।
রুহীর কথা শুনে আমি একটু হাসলাম । ঠিক তখনই আমার মনে হল আমরা লেকের খুব কাছে চলে এসছি ! এখনই আমাকে আবার প্রোপজ করতে হবে ! তাও আবার সুন্দর করে !!
কিভাবে ???
কাল ফোনেই বলতে গিয়েই আমার অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল ! আজ সামনা সামনি কিভাবে বলবো ??
আম্মু !!
আমাকে বাঁচাও !!!!


সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৩
৩৭টি মন্তব্য ৩৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×